পবিত্র ইসলাম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাকের মনোনিত র্ধম। আর এই ইসলামের সর্বশেষ নবী হচ্ছেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি একক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার সর্ব শেষ রসূল ইহা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করাকে বলে মুসলমান।
বাংলাদেশ হচ্ছে একটি মুসলিম দেশ। আর এই দেশের ৯৭% লোক হচ্ছে পবিত্র ইসলাম বিশ্বাসকারী অথ্যাৎ মুসলমান।
সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘সবুজ পাতা’র একটি সংখ্যা বাজার থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। যে সংখ্যাটির প্রথম নিবন্ধের ৯নং পৃষ্ঠায় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ এর আলোকে দলীলভিত্তিকভাবে উলেখ্য করা হয়েছে, আমাদের প্রাণের নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র রেহেম শরীফ মুবারক হতে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক আনেন। নিবন্ধটিতে আরো বলা হয়েছে “হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে অর্থাৎ উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হবে।” সুবহানাল্লাহ
কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, নিবন্ধে উলেখিত বিষয়গুলোকে মিথ্যা বলে অপবাদ দিয়ে সেই সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত করে দেয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক শামীম আফজাল। বলার অপেক্ষা রাখে না, ঘটনাটি গভীর ষড়যন্ত্র ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে।
এছাড়াও গত ৪ বছর ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত শামীম আফজালের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে সে কাঙালিনী সুফিয়াকে এক অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসে এবং তার গান ও নৃত্য উপভোগ করে। এর আগে বিমানবন্দরের কাছে হাজী ক্যাম্পে ইফার আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির করা হয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরকে। ২৭ নভেম্বর ২০১০ ঈসায়ী ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে প্রশিক্ষণরত ১০০ জন ইমামের সামনে আমেরিকার ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফপ্যান্ট এবং মিনি স্কাট পরিহিত একদল তরুন-তরুণী জড়াজড়ি করে ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করে। নাচের পর সে সব নৃত্য শিল্পীর সঙ্গে হাত মিলায় এবং তাদের জড়িয়ে ধরে। দেশের সব পত্র-পত্রিকায় এর ছবি এবং সংবাদ প্রকাশিত হয়। তখন আফজালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি ব্যালে ড্যান্স ছিল না, ছিল স্যুইং ড্যান্স’। নাউযুবিল্লাহ
এতোসব অপকর্মের পরেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে শামীম আফজালকে এখনো অপসারণ করা হচ্ছে না কেন? কোন শক্তির বলে সে বারংবার এদেশের ঈমানী চেতনা তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় আঘাত দেয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়ে চলেছে? দেশবাসী এর জবাব চায়! প্রতিটি মুসলিম এর জবাব চায়!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




