গত সপ্তাহে বিজ্ঞান মেলার রিভিউ লিখেছিলাম । এই সপ্তাহে শুরু হয়েছে ডিজিটাল উদ্ভাবণী মেলা । তো যথারীতি মেলায় গেলাম । তবে এইবার কোনো স্টল খালি নেই । ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্কুল কলেজ সবাই আছে মেলায় ।
গতবার এই মেলায় আমরা পাচটা প্রজেক্ট শো করেছিলাম । সবচেয়ে পপুলার স্টল ছিলো । তবে এইবার দেবেন্দ্র কলেজ অতটা আকর্ষনীয় কিছু দেখাতে পারে নি ।
হাইস্কুল ও তাই ।
তবে সবচেয়ে বেশী যেটা লক্ষণীয় তা হল প্রেজেন্টেশন । বিল গেটস যদি বাংলাদেশে আসতেন তবে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতেন । কারন তার মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট অ্যাপটা এতটা জনপ্রিয় বোধহয় অন্য কোথাও নেই । বাংলাদেশে এখন বাধ্যতামূলক পাওয়ার পয়েন্ট শিক্ষা চালু হয়ে গেছে । সরকার কোটি কোটি টাকা ঢালছে শিক্ষকদের এই সফটওয়্যার শিখাতে । মজার ব্যাপার হল শিক্ষকরা বারদিন এই ট্রেনিং করে এসে নিজেদের কম্পিউটার জিনিয়াস ভাবতে শুরু করলেও আসলে তাদের দৌড় এই পাওয়ার পয়েন্ট পর্যন্তই । যার বড় ধরনের প্রতিফলন এই মেলায় পড়েছে । ডিজিটাল মানেই স্লাইড শো ।
অথচ যাদের জন্য এই তোড়জোড়, সেই ছাত্ররা কি পাচ্ছে? একটা তালাবদ্ধ ক্লাসরুম । তাতে পরিপাটি চেয়ার টেবিল আর একটা প্রজেক্টর । জানালা দিয়ে উকি মেরে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই ওদের ।
একটা ছোট্ট ঘটনা । এইচ এস সি এর আইসিটি প্রাকটিকাল পরীক্ষা । স্যার এসে ছাত্রকে জিজ্ঞেস করল, কম্পিউটার চালাতে পার?
-জ্বি স্যার ।
-কি কি পার?
-ইয়ে মানে স্যার, আমার মনে নেই কম্পিউটার চালানো । এইটা কোন অধ্যায়ে আছে?
এই হল দেশের অবস্থা । তবে হ্যা । এতে আমরা হতাশ হবো না । কারন, কেবলতো শুরু । আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ।
মেলায় নানাপদী পাওয়ার পয়েন্ট শো দেখে বিনোদিত হয়ে বাড়ি ফিরে এলাম ।