somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথামালা-১০

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত ছিলো দুই নরনারী। তারা কেউ কারো দিকে সরাসরি তাকাতো না। আড়চোখে তাকাতো। সরাসরি কথা বলতো না যেন কথা প্রসঙ্গে কথা বলতো, সম্বোধনহীন। ফেসবুক তাদের একদিন কাছাকাছি নিয়ে এলো। তারা একে অপরের বন্ধু হলো। এরপর গুটুর গুটুর করে চলতে লাগলো তাদের কথামালা। সহকর্মী হিসেবে দু’জনের মনের লেনদেনের কিছু টুকিটাকি জানতে পেরেছিলাম সময়ে সময়ে। সেই সব নিয়ে এই ফেসবুক কথামালা। অপূর্ব আর মৃদুলা। তাদের ভেতরের সম্পর্কগুলো আজও আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। তাদের হৃদয়ের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা মাপার নিক্তি আজো পাইনি আমি। তবে সেই সব কথামালাগুলো হারিয়ে যেতেও ইচ্ছে হলো না। এর জন্য যদি কোনো শাস্তি পেতে হয়, মাথা পেতে নেবো।

কথামালা-১০

- দু’ দিন দেখলাম না, কোথায় ছিলেন?
- ট্রেনিংয়ে
- হুম, ট্রেনিং। কি শিখলেন?
- অনেক কিছু…
- ও, তার কিছু কিছু কি জানতে পারি?
- ট্রেনিংয়ে গেলেই জানবেন।
- ও জানাবেন না?
- না, না, মজা করছিলাম।
নতুন প্রডাক্ট আসছে, তার সম্পর্কেই জানলাম।
- আচ্ছা…
- কেমন লাগে ট্রেনিং করতে?
- ভালোই
- শুধু ভালো?
- আসলে অনেকের সাথে দেখা হয়, কথা হয়
পরিচয় হয়, এইটা বেশ লাগে।
- আর?
- আর অফিস করতে হয়না,
বাসা থেকে খাবার আনতে হয়না,
ছয়টার পরেও অফিসে থাকতে হয়না,
- আর কিছু?
- আর আবার কী?
- কোথায় জানি পড়েছিলাম জানেন?
যে কোনো পেশার মানুষেরই ফী বছর
কম হলেও চল্লিশ ঘন্টা ট্রেনিং করা উচিত।
- তাই নাকি?
- হুম!
- আর কয় ঘন্টা ট্রেনিং দিতে হয়?
- মানে?
- আপনি যে ট্রেনিং দিতে ডাক পেয়েছেন সে তো জানি
- কি করে,
আমি তো কাউকে বলিনি!
- স্যারের কাছে যে ফ্যাক্স আসছে সেইটা দেখেছি।
- ও, আর কে কে জানে?
- খুব কম মানুষই জানে, তবে
কাল মিটিংএ হয়তো সবাই জানবে।
- আসলে আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি, জানেন?
- কেন?
- না, আমি যে ট্রেনিং দিতে পারি বা
আমি অন্যদের ট্রেনিং দিবো এইটা কখনো মাথাতেই আসেনি।
- এখন কেমন লাগছে?
- এইতো, একটা প্রেজেন্টেশন তৈরি করেছি
- বিষয় কী?
- ওই আমার যা বিষয়, গ্রাহক সন্তুষ্টি।
- আমাকে একটা স্লাইড দিবেন?
- হ্যাঁ, কেন না? কিন্তু আপনি এটা দিয়ে কি করবেন?
আপনার ডিপার্টমেন্ট তো আলাদা।
- আপনি কিভাবে আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি করেন
এইটাই জানা আর কী বলতে পারেন।
- বেশ, মেইলে পাঠিয়ে দিবো
- হুম, মনে থাকে যেন
আপনার যে ভুলো মন।
- এখনই পাঠিয়ে দেয়া যায়, তবে
একটু বাকী আছে যে।
- শেষ করেই পাঠান, সমস্যা নেই।
যাচ্ছেন কোথায় কোথায়?
- এখনো ঠিক জানিনা।
- কি মজা আপনার না,
অফিস করাও হলো, আবার ঘোরাঘুরিও হলো।
- আর ঘোরাঘুরি, বৃহস্পতিবার রাতে যাও
শুক্রবার সারা দিন ট্রেনিং করিয়ে
রাতেই ঢাকা ফিরো
- কিন্তু সম্মানতো অনেক
- হ্যাঁ, এই একটা কথা চিন্তা করেই বেশ লাগে।
আমার সাথে জয়েন করেছে এমনতো আছে অনেকেই
আবার অনেকেই আমার বেশ সিনিয়র,
সবাইকে বাদ দিয়ে আমাকে যে সিলেক্ট করেছে
এতেই আমি খুশি।
- ফিরছেন কবে?
- আরে এখন তো ঢাকাতেই হবে,
পরে পর্যায়ক্রমে ঢাকার বাইরে।
- ও, আজ আসি।
- যাবেন?
- হুম, বেস্ট অব লাক
- ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×