somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

The Equalizer মুভি রিভিউ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম ছবি দেখবো। এই ছুটিতে একটা ছবি না দেখলে হয়? ও বলে নেয়া ভালো আমি এখন ১৫ দিনের ছুটিতে আছি। ঢাকার বাইরে যেহেতু কোথায়ও যাচ্ছিনা তাই একটু ছবিতো দেখাই যায়। সারাদিন মিটফোর্ড এর অলি-গলি আর মার্কেট দেখে দেখে যখন ক্লান্ত তখন খুঁজতে লাগলাম নীরব হোটেল। নীরব হোটেলে খেয়ে বের হতে হতে ৪টার বেশি বেজে গেলো। গুলিস্তান এসে মনে হলো ছবি দেখি। আর বাসে করে বসুন্ধরা পৌছতে পৌছতে ৪.৩০ টার ও বেশি বেজে গেলো। তাই আমাদের অপেক্ষা করার পালা ৬.৩০ আর ৭.০০ টার শো গুলোর জন্য।

এসে যে ছবিগুলো দেখলাম তার মধ্যে The Equalizer কেই ভালো লাগলো। বিশেষ করে Denzel Washington এর জন্য। তার প্রতিটি ছবিই আমার বেশ ভালো লাগে। অসাধারন তার অভিনয়।

এইবার ছবি বিষয়ে কিছু কথা বলি।
ছবির নামঃ The Equalizer
পরিচালকঃ Antoine Fuqua
সঙ্গীত পরিচালকঃ Harry Gregson-Williams
নায়কঃ Denzel Washington
IMDb রেটিংঃ 7.5/10
প্রকাশঃ September 22, 2014

এইবার ছবির ঘটনায় আসি। ডেনজেল ওয়াশিংটন একজন কোমান্ডো। তিনি মিথ্যা মৃত্যুর পর এক সাধারণ মানুষ হিসাবে কাজ করেন একটি কাঠের দোকানে কাজ করেন। নাম হোম মার্ট। প্রতিদিন একই রুটিন। সকালে উঠা, কারখানায় যাওয়া, বিকালে সমুদ্রের পাড়ে যাওয়া, রাতে একটা হোটেলে বসে কফি খাওয়া আর বই পড়া। বইটির নাম আমরা পাই দি ওল্ড মেন এন্ড দি সী। এখানেই দেখা হয় Chloë Grace Moretz এর সাথে। সে একজন দেহ পসারিনী। তার বয়স মাত্র ১৯। দু দিন দেখা হওয়ার পর একদিন ডেনজেল তার জন্য একটা খাওয়ার জিনিস নিয়ে আসে। এটা খেতে খেতেই তার সাথে কথা হয়। আর জানতে পারে তার গান করতে ভালো লাগতো। এই পথ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু এই পথ খুব ভয়ংকর। মেয়েটিকে নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়ার একটি গ্রুপ। একদিন মেয়েটির সাথে বের হয় হাটতে হাটতে কথা বলতে থাকে মেয়েটি। এদিকে ফোন আসলে তা কেটে দেয়। এতে ক্রুদ্ধ হয় সেই রাশিয়ান দল। মেয়েটিকে ডেনজেল এর সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় আর ধরিয়ে দেয় একটা কার্ড। যদি দরকার হয় তবে যেন ফোন দেয়।

এরপর দিন দেখা যায় মেয়েটি মর্মান্তিক ভাবে আহত হয়ে ভর্তি হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে মেয়েটিকে নিয়ে আসে তার এক বান্ধবী। ডেনজেল তার সাথে কথা বলে। এরপর যায় সেই রাশিয়ান বারে। তাদের কে অনুরোধ করে মেয়েটিকে মুক্ত করার জন্য। এরজন্য একটা খামে করে দিতে চায় প্রায় ৯০০০ এর মতো ডলার। এটা জমাতে তার বেশ অনেক দিন লেগেছে। বলা যায় এই তার সম্বল। লোকগুলো হাসে। ডেনজেলের একটা অভ্যাস হলো ঘড়ি ধরে কাজ করা। সে বের হয়ে আসার সময় দাঁড়ায় দরজার সামনে। তিনবার দরজাটা লাগাতে থাকে খুলতে থাকে। এরপর ভালো করে বন্ধ করে ঘুরে দাঁড়ায়। সকলে সাবধান হয়। কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যেই সকলের অবস্থান দেখে ঘড়ির দিকে তাকায় আর স্টপ ওয়াচ চালু করে। সকলকে মেরে ফেলার পর ঘড়ির স্টপ ওয়াচ বন্ধ করে মাত্র ১৯ সেকেন্ড। বলা যায় ঘটনা এখান থেকেই শুরু।

এরপর? পুরো ছবিটি দেখতে না হয় চলে যান বসুন্ধরাতে। এই মাস খানেক আগেই মুক্তি পাওয়া ছবিটি আমার বেশ লেগেছে। পুরো গ্যাংটি ধ্বংস হওয়ার পর মেয়েটিকে দেখা যায় ডেনজেল সাথে কথা বলতে। সে একটা ক্যাসেট বের করেছে। ডেনজেলকে মেয়েটি ধন্যবাদ দেয়। কিন্তু মেয়েটি জানতেও পারেনা, তাকে কেবল এই পথ থেকে সরিয়ে আনার জন্য কি কি ঘটনা ঘটে গেছে। গল্পটি শেষ হয় এভাবে, ডেনজেল ল্যাপটপে একটা ই-মেইল পান অন্য কোথায়ও কিছু অন্যায় কিছু ঘটছে, সে তার সাহায্য প্রার্থী। বোঝাই যাচ্ছে The Equalizer এর সিকুয়াল আসতে পারে।

ছবিটি দেখে আমার সাথে থাকা সবুজ আমাকে জিজ্ঞাস করলো, 'ভাইয়া আমাদের দেশে এমন ছবি কবে হবে?' আমি কেবল বললাম, হবেনা।

আর শেষ করতে চাই এই বলে যে, ছবিটি দেখে আপনি হতাশ হবেন না। আপনার সময়টি বেশ যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪১
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×