এক কেজি ঢেড়স ১২০ টাকা, চালের দাম উদ্ধগতি, সবকিছু মানুষের ক্রয় সীমার বাহিরে চলে যাচ্ছে। দেশে দিনের বেলা চাপাতি দিয়ে মানুষ মারা হয়,সারা দেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস. জনগন আর নিরিহ ছাত্ররা অসহায়, মানুষ খুন আর গুম, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকায় বিশ্ব ব্যাংক, এত কিছু দেখে আমাদের চিরাচরিত নিয়মে আগামী দিনে বিএনপির ক্ষমতা যাওয়া ঠেকায় কে? একারনে হয়তোবা আমাদের আপোষহীন নেত্রী ফুরফুরা মেজাজেই ছিলেন মনে হয়। তেমন একটা আন্দোলনে তিনি যান নাই। অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর মত অবস্থা। এ শাহবাগটাই যত সমস্যা। এরকম সমস্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে পড়েনি বলে মনেহয়, কোন দিকে যাবে? একদিকে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র রাজাকার জামাত আরেক দিকে তরুন প্রযন্মের সাথে সারা বাংলার মানুষ। প্রথমে কোন মন্তব্য নয়, দেখি কি হয়, এবার মন্তব্য, এটা সরকারের কারসাজি, আবার মন্তব্য আমরা আন্দোলনের পক্ষে তবে, তবে তবে তবে....
অবশেষে খোলসমুক্ত করে বের হলেন,এবার সরাসরি আন্দোলনের বিরোধীতা। যারা আমার দেশের প্রতাকা পদদলিত করল, যারা শহীদ মিনার ভাঙ্গল, যারা সাধারন মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়ে খেলে। ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে, যারা নানা ভ্রান্ত ফতোয়া দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। যারা বলে, যারাই শাহবাগ যায় তারা নাস্তিক, ব্লগে লিখলে নাস্তিক, জামাত ছাড়া সব মোসলমানদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা,মহিলারা সব পতিতা, ফটোসপ করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। আমাদের আপসহীন নেত্রী তাদের সমর্থন দিলেন হাঙ্গামা করার। শাহবাগের আন্দোলন যে দিক থেকেই আসুক, এ আন্দোলনে সব স্তরের জনগনের সমর্থন আছে এটা আর বলার দরকার পড়ে না। ৪২ বছরের জজ্ঞাল কাটিয়ে আমরা চাই নতুন অহিংস বাংলাদেশ। বিএনপির একটা সুযোগ ছিল আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে ভন্ড প্রতারক মওদুদী রাজাকারী জামাতকে জেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন প্রযন্মের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তারা সেটা না করে, অবশেষে আমাদের দুভাগে ভাগ করার চেষ্টা করছে বলেই মনে করি।