মেশিনম্যানের পর দেশ থেকে যে হারে মানুষ চাদে গেল, তার হিসাব করতে হিমশীম খেতে হবে। খালেদা, নিজামীসহ অনেকেই দেখালাম চাদের দেশে। কেপ ভেরদের আমার এক শুভাকাঙ্খি জর্জ আমাকে ইমেইল করে চাদের একটা ছবি পাঠালো। ভয় পেলাম যখন দেখলাম, সেখানে মানুষ মারামারি করতেছে এবং দেখলাম সেখানে আমার নাম লিখা আছে। ভালোমত খেয়াল করে দেখলাম, একটা অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করা হল । ভয় কেটে গেল। ঠিকানাটা দেখে বুঝলাম আমার চাদে যাওনের দরকার নাই, আমার আশেপাশেই অনুষ্ঠানটা হবে।
ঘটনাটা একটু বলি, কিছুদিন আগে আমাদের বাংলাদেশি একজন থেকে রোমানিয়ানরা অস্ত্র ঠেকিয়ে সাথে যা পায় সব নিয়ে যায়। এ ঘটনাটা নিয়ে আমরা ছিলাম বিব্রত এবং ভীত। এ ঘটনা নিয়েই জজ একটা নাটক রচনা করলেন। সে নাটক মন্চস্থ করা হবে তাই আমার আমন্ত্রন পাওয়া। প্রথম ভাবলাম শুধু অতিথি হিসাবে যাব, পরে দেখি না আমাকে একজন ভিকটিম হিসাবে অভিনয় করতে হবে। সারা জীবন অভিনয় দেখলাম, এবার অভিনয় করলাম
শুরুতে কিছুটা ভয় পেলেও জর্জের সহযোগীতায় মানিয়ে নিলাম
আমাকে সহযোগীতা করছে জর্জ।
আমি দেশে আমার পরিবারের প্রতিনিধি, আর বিদেশে আমার দেশের প্রতিনিধি।
আমার আচরনে একজন বিদেশী বুঝবে আমার দেশ কেমন। কেপ ভেরদের লোকদের সাথে চলে একটা অসাধারন দেশের সাথে পরিচিত হলাম।
কেপ ভেরদের সম্পর্কে একটু বলি, ৪০০০ কিলোমিটারের দেশ কেপ ভেরদে। মধ্য আটলান্টিকে যার অবস্থান। ১৫০০ শতকে তারা পুর্তগীজদের কলনী ছিল। তাদের ভাষা পুর্তোগীজ। এর আগে তাদের সম্পর্কে আমার তেমন জানা ছিল না। আমি যেহেতু পর্তুগীজ জানি, তাই তাদের সম্পর্কে সহজে অনেক জানলাম। তাদের অনেক প্রোগ্রামেও গেলাম। আফ্রিকার মানুষকে সাধারনত মাথা মোটা বলা হয়। ক্যালচার আর সভ্যতা নিয়ে তারা ভাবে না। তারা আইন মানে না। ইউরোপ আমেরিকায় অনেক জায়গায় পুলিশও তাদের ভয় পায়। এক্ষেত্রে কেপ ভেরদের মানুষরা সম্পূর্ন ভিন্ন। আমার এ যাবত দেখা সব কেপ ভেরদেকে দেখলাম অনেক ভদ্র, নম্র এবং শিক্ষিত। তার প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকদের নিয়ে নানা কালচ্যারাল প্রোগ্রাম করে থাকে। তাদের অনুষ্ঠানগুলোতে নানা বৈচিত্র থাকে। অনুষ্ঠানটা শুধু নাটকে সীমাবদ্ধ রাখলেন না। নানান আফ্রিকান আর ইউরোপীয়ান খাবারের আযোজন ছিল। অসাধারন অফ্রিকান জাদু আর নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।
আরো কিছু ছবি
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪১