somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

দেবশ্রী চক্রবর্ত্তী
আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।নহি দেবী,নহি সামান্যা নারী।পূজা করি মোরে রাখিবেউর্ধ্বেখসে নহি নহি,হেলা করি মোরেরাখিবে পিছেখসে নহি নহি।যদি পার্শ্বে রাখ মোরেসঙ্কটে সম্পদে,সম্মতি দাও যদি কঠিনব্রতেসহায় হতে,পাবে তবে তুমি চিন

কারাগারে ধর্ষণ

১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কারাগারে ধর্ষণ

দেবশ্রী চক্রবর্তী



পুরুষদের ক্ষেত্রে কারাগারে পুরুষ কর্তৃক পুরুষের ধর্ষণ একটি গুরুতর সমস্যা। একাধিক গবেষণা থাকে জানা যায়, পুরুষ-পুরুষ বন্দী ধর্ষণ ধর্ষণের সর্বাধিক পরিচিত একটি ধরন। অথচ এই ধর্ষণের সংবাদই সবচেয়ে কম প্রকাশ্যে আসে। কয়েকটি গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে এই ধরনের ধর্ষণের সংখ্যা সাধারণ জনসংখ্যায় পুরুষ-নারী ধর্ষণের মাথাপিছু ও আনুমানিক সংখ্যার চেয়েও বেশি।প্রসঙ্গত, পিতৃতন্ত্র পুরুষকে শিখিয়েছে সব বিষয়ে আপন চাহিদা পূরণে তার পৌরুষগত অধিকার প্রয়োগের বিষয়টি। এমন কি, যৌনতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। গবেষণার মাধ্যমে এই একতরফা পুরুষতন্ত্রীয় আগ্রাসনের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে: বাংলাদেশ যার মধ্যে অন্যতম। অন্য পাঁচটি দেশ হলো: শ্রীলঙ্কা, পাপুয়া নিউগিনি, কাম্বোডিয়া, চিন ও ইন্দোনেশিয়া। দশ হাজার পুরুষের অভিমত নিয়ে সম্পন্ন এই সমীক্ষার ফল বলছে, তাদের সিকিভাগ পুরুষ এক বা একাধিক পুরুষকে ধর্ষণ করেছে। এবং, যারা ধর্ষণ  করেছে, তাদের অর্ধেক পুরুষ মনে করে, আপন যৌনকামনা পূরণের জন্য একটি পুরুষকে মহিলা ভেবে ব্যবহার করার অধিকার তার ‘স্বত্বাধিকার’ বা ‘সেকশুয়াল এনটাইট্লমেন্ট’! পরিসংখ্যানগুলোর  বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় স্বাভাবিক। কিন্তু স্বত্বাধিকারের ধারণাটি তাৎপর্যপূর্ণ। এই ধারণার মর্ম বুঝতে পারলে ধর্ষণের প্রাদুর্ভাব এক ভিন্নমাত্রা পায়। যে পুরুষ মনে করে, পুরুষদের ওপর তার যৌনস্বত্ব আছে, নারীকে সে প্রকৃতপক্ষে আপন সম্পত্তি হিসেবে  দেখে থাকে। নিজের সম্পত্তি ভোগ করার  সময় কেউ সম্পত্তির অনুমতি গ্রহণ করে না। অনুমতি  নেয়ার প্রয়োজনই যদি না থাকে, তবে ধর্ষণের কথা ওঠে কীভাবে? এই হলো গবেষণায় মতামত প্রধানকারী পুরুষদের সোজা যুক্তি। এই ধারণায় পিতৃতন্ত্রের উগ্র প্রকাশ স্পষ্ট।হিসাব পাওয়া গেছে অন্তত অর্ধেক ধর্ষণ হয়ে থাকে, যখন ছেলেটি প্রাপ্তবয়স্ক নয়, এমন অবস্থায়। এর একটি কারণ অনুমেয়। মেযেদের ওপর স্বত্বাধিকারের ধারণাটি পুরুষ তার বড় হওয়ার  সঙ্গে সঙ্গেই, বড় হওয়ার  প্রক্রিয়াতেই আত্মস্থ করে নেয়। অর্থাৎ সেই পুরুষ বড় হয়, নারীর ওপর নির্যাতন ও ভোগদখলকে একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে গণ্য করে, যা তাকে শিক্ষা দেয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোজাতব্যবস্থা।  পরবর্তী জীবনেও এই ধারণাই তাকে চালনা করে। বস্তুত, শিশুবয়স হতে পুরুষ এই ধারণা নিয়েই বড় হয় যে, বাড়ির  ছোট  ছোট দাবি-দাওয়া হতে শুরু করে বৃহৎ বিশ্বের যে কোনও কিছুতেই তার অধিকার প্রশ্নাতীত। সে শিখে নেয় যে,  কোনও কিছুর সাপেক্ষে পুরুষ নয়, বরং পুরুষের প্রয়োজন সাপেক্ষে সমস্ত নিয়ম ও আচরণবিধি। এবং পিতৃতন্ত্র মেয়েদেরও শিক্ষা দেয় যে, পুরুষ মুখ্য, নারী গৌণ। নারী প্রচলিত মূল্যবোধ ও সমাজব্যবস্থা থেকে জানতে পারে যে, তার  জীবন-যাপন পুরুষের সাপেক্ষে। পুরুষ যেমনটি চায়, তাকে সেই অনুসারেই জীবন ধারণ করতে হবে। সে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় যে, তার ওপর পুরুষের স্বত্বাধিকার আছে। আধিপত্যের ধারণা এইভাবেই নারীমনে প্রোথিত হয় এবং নির্যাতনের বিষয়টি অনেক নারীর কাছেও স্বাভাবিক ঘটনা বলেই চিহ্নিত ও প্রতীয়মান হয়। তারা এটাও ভাবতে পারে না যে, ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার। বরং তারা  সেই সব অত্যাচার সহ্য করে পুরুষকে সুখী ও সন্তুষ্ট করার জন্য। এমন কি, বিশ্বের দেশে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা ও বিচারিকব্যবস্থাও এক রকম নয়। ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, বিচার ও অভিযুক্তের শাস্তিপ্রদানের হার বিভিন্ন বিচারব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচার পরিসংখ্যান ব্যুরো’র  হিসাব অনুসারে সেদেশের ধর্ষিতদের মধ্যে ৯১% মহিলা ও ৯% পুরুষ এবং ৯৯% ক্ষেত্রেই অপরাধী পুরুষ। মহিলাদের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যারা তাদের ওপর যৌন অত্যাচারের কথা স্বীকার করেন, তাদের মাত্র দুই শতাংশ বলেন যে তারা  কোনও  অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিত  হয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে কারাগারে পুরুষ কর্তৃক পুরুষের ধর্ষণ একটি গুরুতর সমস্যা। একাধিক গবেষণা থাকে জানা যায়, ‘পুরুষ-পুরুষ বন্দী ধর্ষণ’ ধর্ষণের সর্বাধিক পরিচিত একটি ধরন। অথচ এই ধর্ষণের সংবাদই সবচেয়ে কম প্রকাশ্যে আসে। কয়েকটি গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে, এই ধরনের ধর্ষণের সংখ্যা সাধারণ জনসংখ্যায় পুরুষ-নারী ধর্ষণের মাথাপিছু ও আনুমানিক সংখ্যার  চেয়েও বেশি। ধর্ষণ ও যৌন ক্রীতদাসত্ব বহুপরিচিত ও বহু-অনুশীলিত অভ্যাস হলেও এটি মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হয়। এছাড়াও ধর্ষণ গণহত্যা অপরাধের একটি উপাদান; বিশেষত যখন কোনও  জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণত বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিয়ে ধর্ষণ সংঘটিত হয়। এখানে মনস্তাত্ত্বিকভাবে পুরুষের বিকৃত কাম ও রাজনীতি ও সমাজের প্ররোচনা কাজ করে। যখন  পৌরুষে হিংস্রতা অন্তর্লীন হয়, তখন নারীর ওপর নির্বিচারে ধর্ষণ বা অন্য আক্রমণ হয়। তখন এই হিংস্রতার রূপ প্রকট হয়। অন্যান্য সময় তা হয়তো প্রকাশ পায় না।  কিন্তু সুপ্তভাবে পুরুষ-আধিপত্যের বিভিন্ন রূপের মধ্যে সেটা  নিহিত থাকে, যে আধিপত্যকে সতত স্বাভাবিক ও স্বতঃসিদ্ধ বলে ধরে নেয়া হয়। বহু পুরুষের ‘যৌন স্বত্বাধিকার’-এর ধারণাটি এরই এক অঙ্গ। হিংস্রতাকে যখন সাদা চোখে  দেখা যায় না, তখন তা দ্বিগুণ বিপজ্জনক, কারণ না চিনলে তাকে  মেনে নেয়াই স্বাভাবিক, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্ভাবনা ক্ষীণ। পৌরুষের এই ধারণাকেই প্রশ্ন করা জরুরি। জরুরি তার পশ্চাদ্বর্তী সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন। পুরুষকে তার আধিপত্যের ও স্বত্বাধিকারের ধারণা হতে সরিয়ে এনে সমাজ যদি মেয়েদের সমানাধিকারকে যথার্থ মর্যাদা দিতে না পারে, তবে নারীর বিরুদ্ধে হিংসার উৎসমুখ বন্ধ হবে না। যদিও সামাজিক গবেষণা ও সমীক্ষার সংখ্যাগত নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সর্বদাই প্রশ্ন থাকে, কিন্তু সংকেতটি সুস্পষ্ট।
সমাজে কোনো মানুষ যেমন ধর্ষক হয়ে জন্ম গ্রহণ করে না, তেমনিভাবে হঠাৎ করে একজন মানুষ ধর্ষকের ভূমিকায় নামতে পারে না। শুধু ধর্ষকাম, রতিসম্ভোগ ধর্ষণের জন্য দায়ী নয়। এর পেছনে দীর্ঘ পারিবারিক, মনোঃসামাজিক ও ধর্মীয় ইতিহাস থাকে যার সূত্রপাত ঘটে ছেলেবেলায়। এ পৃথিবীটা পুরুষতান্ত্রিক, পুরুষশাষিত সমাজে ভরপুর, তাই ধর্ষণে পুরুষরাই অগ্রগামী। তবে, নারী কর্তৃক ধর্ষণ কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক সমাজে মেয়েরাও পুরুষদের ধর্ষণ করে , জোর করে নারী সমকামিতায় লিপ্ত হয়। ধর্ষণ কেবল যৌনসম্ভোগ হলে তিন বছরের মেয়ে, পয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিত হত না। ধর্ষণ শুধু নারীর দেহপ্রাপ্তি হলে নিরীহ পশুপাখিরাও মানুষের ধর্ষণের স্বীকার হতো না। জাগ্রত অতৃপ্ত বাসনা সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো, কারো কারো জীবনে সে কোনদিনও অগ্নুৎপাত ঘটায় না, আবার কারো জীবনে সে হঠাৎ করে লাভা উদগীরণ করে দেয়। নারীবিহীন জীবন হলেও ধর্ষণের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় না, কারাগারে। বৃহন্লারাও ধর্ষণ করে, ধর্ষিত হয়। জ্বালামুখ না থাকলে অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় না, বিষ্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
ধর্ষণের সুখানুভব শুরু হয় গ্রাম্য পত্রিকাওয়ালাদের কাছ থেকে। কৈশোরে ঐ সব পত্রিকা-সাময়িকী খুঁজে খুঁজে ধর্ষণের রমনীয় ঘটনাপ্রবাহ পড়ার একটা মজা আছে। তারপর শকুনীর চোখ দিয়ে ধর্ষিত শবদেহের ছবি (বর্তমানে প্রতিকী ছবি ব্যবহার করা হয়) খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। অর্ধ-নগ্ন দেহের রঙিন ছবিটার উপড়ে লেপ্টে থাকা সামান্য কাপড়টুকুও সরাতে গিয়ে মাঝে-মধ্যে পাতাটাই ছিঁড়ে ফেলা ।
আমাদের জীবনে যৌনতা কখনো শিক্ষা হয়ে ধরা দেয়নি, নারী কখনো মানসী হয়ে ওঠেনি। যৌনাচার কখনো সভ্যতা রূপে আসেনি, নারী কখনো সঙ্গী হয়ে ওঠেনি। পুরুষ নারীদেরকে যৌনসঙ্গী মেনে নিয়েছে, জীবনসঙ্গী নয়। সৃষ্টির আদি থেকে নারী-পুরুষের মাঝে লৈঙ্গিক সম্পর্ক আছে, মানুষের সম্পর্ক ক্ষণে ক্ষণে কালে কালে ভেঙে পড়েছে বারংবার। যেভাবে ধীরে ধীরে একটি জৈবিক পুংলিঙ্গ সমাজে বেড়ে ওঠে সেভাবে দণ্ডধারীর মনুষত্ব বেড়ে উঠছে না। জৈবিক পুংলিঙ্গ কোনো মায়ের সন্তান নয়, কামজ এক পুরুষ; ও কোনো বোনের ভাই নয়, লোলুপ এক পুরুষ; কোনো সীতার স্বামী নয়, লৈঙ্গিক এক পুরুষ; কোনো মেয়ের পিতা নয়, লোলাঙ্গী এক পুরুষ। এ পুরুষ ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ নয়, মানুষের খোলশে পুরুষ জীব। যৌনতা এর ধর্ম আর ধর্ম রক্ষার্থে ধর্ষণ করা এর জৈবিক অধিকার। এরা মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা চায় না, নারী চায়- যোনিসর্বস্ব রক্তমাংশের একজন নারী। ইদানীং মনে হচ্ছে গরু ,ছাগল, মুরগীর মতো অন্যান্য স্ত্রী বাচক প্রাণি হলেও চলে। মনে হচ্ছে পশুপাখিদেরও হিজাব পরিধানের সময় এসেছে।
সমাজের প্রতিটি জৈবিক পুংলিঙ্গ ক্রমাগত উত্তেজিত হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়াচ্ছে আধুনিকতা, উত্তেজনা বাড়াচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। সুরার বীণায় সুরের মাতাল ঝংকার অসুরের মতো দণ্ডের মুণ্ডে সদাই ওঙ্কার-ডঙ্কার নৃত্য করে চলেছে। রাজপুত্র বা রাস্তার পুত্র, বয়স পনের কি পঞ্চান্ন- সবাই উত্তেজিত, কিন্তু প্রশমিত নয় কারণ উত্তেজিত হবার ক্ষমতা থাকলেও সবার সমান প্রশমিত হবার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকে না। তাই ঘরের কোনে, বাস/ট্রেনের ভীড়ে, রেস্তোরার আলো-আঁধারিতে, নিভৃত শৌচাগারে, লিটনের ফ্লাটে, পার্কের নির্জনে, রিক্সায়, সিএনজিতে, হিউম্যান হলারে, মাইক্রোবাসে, ট্রাকে, বাসে, নৌকায়, পাটক্ষেতে, পাঠশালায়- যে যেখানে পারছে সেখানেই ঘর্ষণে ঘর্ষণে বর্ষণের স্পৃহা প্রশমণ করার চেষ্টা করছে। অন্যেরা যার জন্য যা করে, ধর্ষকেরাও তাই করে। তবে অন্যেরা সেভাবে করে ধর্ষকেরা সবটুকু ঠিক সেভাবে করে না। ওদের কাছে সঙ্গীতে সঙ্গীতে মিলনে সঙ্গম হয় না, পৌরুষের অনাকাঙ্খিত প্রবেশের নাম সঙ্গম।
যৌনতা মানব জীবনের চালিকা শক্তি, যৌনাচার পরম ধর্ম। যৌনাচারের বিকৃত রুচির নাম, সহিংসতার নাম যৌন অত্যাচার। এদের একটি সভ্যতা আর একটি অসভ্যতা। ধর্ষণের বিরুদ্ধে লেখালেখি ধর্ষণ বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি করে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে নারীদের সোচ্চার হবার সাহস, উদ্দীপনা যোগায় তবে এভাবে ধর্ষককে নিবৃত্ত করা যাবে বলে মনে হয় না। আইন করে ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, বন্ধ করা যাবে না। মনুষ্য চেতনার যে স্তরে মানুষ ধর্ষণে প্রবৃত্ত হয় সে স্তরে কোনো নীতিবোধ কাজ করে না, কোনো আইনের ভয়ও নেই সেখানে। আমরা যৌনাচারের উর্ধ্বে কোনো অতিমানব নই, নপুংসকের মতো যৌনাচারের নিম্নেও নই। আমরা স্বাভাবিক মানুষ, আমাদের যৌনতা অস্বীকারের কোন উপায় নেই। অসুস্থ যৌন অত্যাচার প্রতিরোধে সুস্থ যৌনাচারকেই অধিক প্রাধান্য দিতে হবে- নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যৌন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে; যৌন উত্তেজক ওষুধ/মাদক/পানীয়ের অবাধ বিচরণ রুখতে হবে; যৌন আবেদনমূলক যেকোনো ধরণের শিল্প-কলা-সাহিত্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; অবাধ ইন্টারনেটের যুগে যতটা সম্ভব পর্ন ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে, মোবাইলের মাধ্যমে পর্ন যেন সবার হাতে হাতে না পৌঁছাতে পারে সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। সন্তানদের জীবনে সুস্থ যৌনাচার শিক্ষার প্রথম স্তরে পরিবার, দ্বিতীয় স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তৃতীয় স্তরে সমাজ, চতুর্থ স্তরে মিডিয়া ও সর্বশেষ স্তরে রাষ্ট্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
যতদিন সমাজে যৌনাচারকে একটি স্বাভাবিক জৈবিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না ততদিন পর্যন্ত অসুস্থ বা বিকৃত রুচির হলেও যৌনতাড়িত মানুষ যৌন উত্তেজনার বশে জৈবিক চাহিদা নিবারণের জন্য বার বার ধর্ষণ করবে- দণ্ডকারণ্যের দণ্ডী, দণ্ডাঘাতের ফলে হবে দণ্ডিত।গাড়ি চুরির দায়ে কারাগারে যাওয়ার পর কুইন্সল্যান্ডের এক নারীকে সেখানে অন্তত দুই হাজার বার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়ান নিউজের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ৯০ এর দশকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই হিজরা নারী।
ওই নারী বর্ণনা দিয়েছেন কিভাবে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে পুরুষ বন্দিদের সঙ্গে একই কারাগারে থাকার কারণে।
সময়টা ৯০ দশকের মাঝামাঝি। গাড়ি চুরির দায়ে কারগারে যেতে হয়েছিল মেরিকে (আসল নাম পরিবর্তিত)। শাস্তি শোনার পর জেল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করেছিলেন তাকে যেন পুরুষদের সঙ্গে এক সেলে রাখা না হয়।
তবে ওই কথায় কান দেয়নি কুইন্সল্যান্ড কারগার কর্তৃপক্ষ। যার ফলে তার ঠাঁই হয়েছিল পুরুষদের সেলেই। কারগারে রিসেপশনে পা দিয়েই মেরি বুঝে গিয়েছিলেন কারাগারের সেলে তাকে বেশ খানিকটা লড়াই করতে হবে।
আশপাশের লোহার গারদ থেকে উঁকি মারা চোখগুলোর তার প্রতি কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টি ছুড়ে দিচ্ছিল। কিন্তু জেলের অভিজ্ঞতা ঠিক অতটা ভয়ানক হবে সেটা বোধহয় নিজের দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মেরি।
ওই নারী জানান, সেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মেরির পুরুষ সহবন্দিরা জোর করে তার পোশাক খুলে দেয়। শুরু হয় যৌন নির্যাতনের পালা। এর পর থেকে প্রতি দিন অন্তত এক বার করে ধর্ষিত হতে হয়ে তাকে।
ওই নারী বলেন, প্রতিদিন অমানসিক এই অত্যাচারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বার বার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। টানা চার বছর চলেছে এই নারকীয় নির্যাতন। অন্তত ২০০০ বার ধর্ষণ করা হয় আমাকে।
সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়েছেন ওই হিজরা নারী। এখনও সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অজানা আতঙ্কে শিউরে ওঠেন তিনি।
মেরিকার অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের টুটউইলার মাহিলা কারাগার এরইমধ্যে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
ওই কারাগারে কয়েদি হয়ে আসার পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া, এ ধরনের আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মন্টগোমারি-ভিত্তিক এনজিও ইক্যুয়াল জাস্টিস ইনিশিয়েটিভের আইনজীবী চারলোট মরিসন।
তিনি জানান, তারা টুটউইলার মাহিলা কারাগারের ৫০ জনের বেশি নারীর সাক্ষাতকার নিয়েছেন এবং সাক্ষাতকারে এসব নারীর সবাই বলেছেন- তারা প্রত্যেকেই ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অথবা তারা অন্য নারীকে ধর্ষিতা হতে কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছেন।

মনিকা ওয়াশিংটন নামে এক নারী ওই কারাগারে আসার পর কারারক্ষীর ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ালে কারারক্ষীকে ধর্ষণের দায়ে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি বরং তাকে যৌন বিষয়ক অসদাচরণের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আমেরিকার কারাগারগুলোতেই শুধু এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা সীমাবদ্ধ নেই, দেশের বাইরে যেসব মার্কিন কারাগার রয়েছে সেসব জায়গায়ও একই ধরনের অবস্থা বিরাজমান।
সম্প্রতি মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব জাস্টিস স্ট্যাটিস্টিক্স থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- দেশব্যাপী শতকরা ৯.৬ ভাগ কারাবন্দী একবার কিংবা বহুবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া, শতকরা ৫.৪ ভাগ সাবেক বন্দী জানিয়েছেন- তারা অন্য কয়েদিকে ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছেন। আর এসব যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শতকরা ৫.৩ ভাগ প্রিজন স্টাফ জড়িত।
আরেকটি ঘটনা এই প্রসঙ্গে তুলে ধরছি , ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কারাগারে নারীবন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারা পুলিশ নারীবন্দিদের রুটিন করে ধর্ষণ করছে এমন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ফ্রিডম ফর টর্চার। বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, মেডিকেল রিপোর্ট থেকে প্রমাণিত হয়েছে ৩৪ জন নারীবন্দি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সরকারবিরোধী রাজনীতি করার শাস্তি হিসেবে তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। কারাগারে পুলিশের নির্যাতনের শিকার ১৮ থেকে ৬২ বছর বয়সী এসব নারীরা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। এবার আমার নিজের দেশের এমন একটি ঘটনা বলবো যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে । দিনের পর দিন বন্দিদের হাতে ধর্ষিত হওয়া৷ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও বিশেষ লাভ হয় না৷ বেঁচে থাকতে গেলে প্রত্যেক দিনের নারকীয় অত্যাচার সহ্য করে পেশাদার 'যৌনকর্মী' হয়ে যাওয়া, অথবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া৷ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় জেল তিহারের অধিকাংশ বন্দির অবস্থা এমনই৷ চার দেওয়ালের ভিতরে বন্দিদের সঙ্গে ঠিক কী কী ঘটে, তা নিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চান না জেল আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রাক্তন পুলিশকর্মী বা জেলখেটে বেরোনো আসামিদের কাছ থেকে জেলের নারকীয় অবস্থার কথা শুনলে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়৷

২০০৭-২০১১-এর মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে স্পষ্ট বিভিন্ন জেলে অধিকাংশ আত্মহত্যার পিছনেই থাকে সমলিঙ্গ ধর্ষণের ঘটনা৷ ২০১৩-এর মার্চে নির্ভয়া গণধর্ষণের অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিংয়ের তিহার জেরে আত্মহত্যাও তেমন সম্ভাবনাই উস্কে দেয়৷ তিহারেরই এক কারা আধিকারিকের দাবি, রাম সিংকে তিনি যখন সেলে ঢোকাচ্ছিলেন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সে প্রশ্ন করেছিল, 'আমি জেলে নিরাপদ থাকব তো? অন্য বন্দিরা কিছু করবে না তো?' কারারক্ষী আপাতভাবে আশ্বাস দিলেও রাম সিংয়ের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছিল, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর আইনজীবী৷ দুর্বল রাম সিংকে নাকি প্রতিদিন জেলের অন্য বন্দিদের হাতে ধর্ষিত হতে হতো৷ কারা কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ নির্ভয়া গণধর্ষণের আরও এক অভিযুক্ত বিনয় শর্মাও বেশ কয়েক বার সহবন্দিদের হাতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন, কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রেও পাত্তা দেননি কারা কর্তৃপক্ষ৷
শুধু বন্দিদের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়াই নয়, এ ব্যাপারে বিশেষ কথাও বলতে চান না জেল আধিকারিকরা৷ তবে, দিল্লির হরিনগর থানা সূত্রে মিলেছে বেশ কিছু খবর৷ তিহার জেল এই থানারই অন্তর্গত৷ সেই থানার তথ্য থেকেই স্পষ্ট, ২০১৫-এর ১০ মে, এক পুরুষ বন্দির হাতে অন্য এক বন্দির ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল৷
গত বছর এ ধরনের সমলিঙ্গ ধর্ষণের সাতটি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল৷ ২০১৩, ২০১১ ও ২০১০-এ এমন কোনও অভিযোগই জমা পড়েনি৷ আর ২০১২ সালে এমন ঘটনার সংখ্যা মাত্র এক৷ অথচ ধর্ষণের ঘটনা তিহারের বন্দিদের কাছে নিত্যদিনের দুঃস্বপ্ন, এমনটাই জানাচ্ছেন তিহারের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলকর্মী৷ তাঁর কথায়, 'অনেকে এই যন্ত্রণা নিয়েই বাঁচতে শিখে যান৷ কেউ আবার অত্যাচারের ভয়ে চুপ করে থাকতে থাকতে পেশাগত যৌনকর্মীতে পরিণত হন৷ আবার অনেকে স্বেচ্ছায় ধর্ষিত হন শুধুমাত্র টাকা ও মাদকের লোভে৷'
ডাকাতির অভিযোগে বেশ কিছু বছর তিহারে কাটাতে হয়েছিল ওমপ্রকাশকে (নাম পরিবর্তিত)৷ তাঁর কথায়, 'তিহার জেল কর্তৃপক্ষ যতই বন্দিদের সংশোধনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, তিহার জেলের মতো নিষ্ঠুর জায়গা খুব কম আছে৷ বিশেষ করে সেই সব বন্দিদের জন্য, যাঁরা নিগ্রহকারীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন না৷' অনেকটা একই মত খুনের মামলায় অভিযুক্ত এক বন্দির৷ সম্প্রতি জামিনে মুক্ত তিনি৷ তাঁর দাবি, তিহার জেলে বেশ কয়েকটি গ্যাং সক্রিয়৷ আর নিরাপত্তার জন্য বন্দিদের কোনও না কোনও একটা দলকে বেছে নিতেই হয়৷ একটা গ্যাং বিরোধী গ্যাংয়ের বন্দিদের হাতের কাছে পেলেই যৌন হেনস্থা, পায়ুসঙ্গম করে৷ আর তাদের মধ্যে খুব আগ্রাসী কয়েক জন বন্দি থাকেন, যাঁরা শারীরিক অত্যাচারও চালান৷
তিহারের ডিআইজি (কারা) মুকেশ প্রসাদের অবশ্য বক্তব্য, 'তিহারে সমলিঙ্গ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, কিন্তু বাইরে যতটা বাড়িয়ে বলা হয়, ততটা নয়৷ জেলে তো এমনিতেই বন্দিদের সংখ্যা বেশি৷ এ ধরনের কাজ করার জায়গা কোথায়! তবে অভিযোগ পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিই৷' তিহার জেলের প্রাক্তন ডিজি কিরণ বেদী অবশ্য এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন৷ তাঁর দাবি, তিহারে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে৷ জেলের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে মানে বুঝতে হবে সেই ক্যামেরার নজরদারি ঠিক মতো হয় না৷ তাঁর মতে, বন্দিদের পড়াশোনা, খেলাধুলো বা যোগব্যায়াম শেখানোয় ব্যস্ত রাখতে হবে৷ তবে, একইসঙ্গে বেদীর অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ অনেক সময়ই বিত্তবান বন্দিদের নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন, যে গরিবদের দিকে নজরই দেওয়া হয় না৷ আর এই গরিবরাই ধর্ষণের মতো ঘটনার শিকার হন৷
রাম সিংয়ের সঙ্গে কি এই ঘটনাই ঘটেছিল? ধর্ষণে অভিযুক্ত কি নিজেই ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন? এর উত্তর তিহারের গরাদের ভিতরেই আটকে থেকে গিয়েছে৷

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×