আড়ং থেকে ৪২০০ টাকার পান্জ্ঞাবী সাথে চোষ পায়জামা ফ্রী, দিলিপের সাথে ধানমন্ডির পিজ্জা হাট বাবদ ১৫০০ টাকা, চটি স্যান্ডেল বাবদ ১৮৫০ টাকা (ট্যাক্স দেয়া হয়নি), পারসোনার ১.৫০ ঘন্টার লাইনের পর ৪০০ টাকার স্পাইক।
কারন আজকে ১ টার সময় নওরীন, ২:৩০টায় সাবাহ, ৩:৩০টায় মুক্তাকে নিয়ে বইমেলা সাথে শাহরুখ আর দিলীপ। পুরো ৩০০০টাকার বাজেট যার মধ্যে ৩৫০০ টাকা শাহরুখের কাছ থেকে ধার (৫০০ টাকা কেনাকাটায় এক্সট্রা ধার ফ্রম শাহরুখ)।
সকালে উঠেই ম্যারাথন দিলাম টয়লেটে,কিন্তু পানি নেই। বাড়ীওয়ালার বাড়ী মহা উৎসবে গেলাম। কারন তার আছে সুন্দরী কন্যা। আহ কি সুন্দর সকাল, নক করার আগেই দেখি তার কন্যা দাড়িয়ে আছে দরজা খুলে। আমি একটা সুন্দর হাসি ঝুলিয়ে বললাম," আরে সুন্দর টাইমিং, আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি আপনাদের বাসায় আসছি?"
তার অমলিন জবাব," ভিক্ষুক এসেছিলো, বার বার মাফ করতে বলাতেও যখন যাচ্ছিলো না তখন দরজা খুলতেই হলো।"
আহ কি সুন্দর মুক্তঝরা কথা!
আমি ভুলেই গেলাম কি জানি বলতে এসেছিলাম, তবুও হাওয়া থেকে কথা নিয়ে ভাব জমানোর নিঃস্বার্থ চেস্টা," জ্বী গতকাল রাতে অনেক কস্ট করে প্রিপারেশন নেয়ার পর বুঝতে পারলাম না, আজকে ব্যস্ততা কিসের...?"
-ও আচ্ছা। মটর জ্বলে গেছে, মেকানিক অলরেডী সেরে ফেলেছে। শব্দ শুনছেন মটরের, ওটা অলরেডী চালুও হয়ে গেছে!
আমি আর কি বলব বুঝলাম না। বোঝা গেলো আজকে তরকারীতে লবন বেশী হবার কারনে তার মুখটা তেতো হয়ে গেছে। নো হার্ড ফিলিংস দো!
রুমে ঢুকে যখন চাট্টিপাট্টি গুছিয়ে যখন বাথরুমে যাবো এরকম সময় শুনি টয়লেটে শাহরুখের পাদের শব্দ। ধ্যত্তরি!
প্রথমে গেলাম বনানীর ফুলের দোকানে, কিন্তু ফুল কোথায়? যাও আছে একটা গোলাপ ১০০ টাকা দর। একটা রজনী গন্ধা ৮০ টাকা তাও ধ্বজভঙ্গ! কিন্তু ওয়েট করলে মনে হয় আমার আম ছালা গাছ সহ সবই হারাবো!
কিনে নিলাম হাতে যা পেলাম, দৌড়ালাম ভার্সিটির পানে। আজকে সকালে একটা ক্লাসই করবো, তারপর আমার সিডিউল।
কিন্তু ক্লাশে গিয়েই চক্ষু মাথায় উঠলো। কারন নওরীন, মুক্তা দুজনেই ক্লাসে তাও আবার পাশাপাশি! ভেজাল হয়ে গেলো।সিডিউল এখন রিসিডিউল করতে হবে। এই হলো দিন!
দিনের প্রথমটাই শুরু হলো পেচগী দিয়ে। পরে যেটা সল্যুশন হলো সেটা হলো তিনজনকে নিয়েই সাথে শাহরুখ আর ওর সাথেরটাকে নিয়েই যেতে হলো বই মেলায়। ভালোই কাটলো সময় কারন মুক্তা আজকে গাড়ী এনেছে। তবে ওখানে গিয়ে লাভ হয়েছে কারন বালামের কনসার্ট আর ফাকে ফাকে নওরীন অথবা সাবাহ, অল্টারনেটিভ টাইমিং ইন রমনা অর টিএসসি! তবে মুক্তা বেশ মুড দেখালো। কোনো কিছুই টাইম মতো হলো না। তবে মুখে যখন হাসি ফুটেছে, তাহলে ফুল একদিন ফুটবেই।
এত জ্যামের পর আবার বাসায় এসে দেখি পানি নেই কলে। মনে হলো আরেকবার বাড়িওয়ালার বাসায় যাই। তবে ও মনে হয় এখনও আসেনি, কারন লাল গাড়ীটা পার্কিং এ নেই, এছাড়া মটরের শব্দও পাচ্ছি না।
ওয়েট করছি মামু, কত ধানে কত চাল ফুটে এই দিনে নাকি সবই ইন্ডিয়ার খেল!