somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের এ চাওয়ার সমাপ্তি হবে না হতে পারে না!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ লজ্জা রাখব কোথায়!!বাঙ্গালী জাতী যে অপমান একবার হয়েছিল ৭১ এ-আজ তার ষোল কলা পূর্ন করে দিল এ দেশের আদালত।স্বাধীনতাকামি মানুষের চাওয়া পাওয়াকে পায়ে মাড়িয়ে ন্যায্য অধীকার থেকে বঞ্চিত করে বুলেট ব্যায়নেট দিয়ে যেভাবে ক্ষত বিক্ষত করে ৩০লক্ষ বাঙ্গালীকে হত্যা আর ৩লক্ষ নারী শিশু যুবতিকে ধর্ষন করে উন্মত্ততা দেখিয়েছিল পাকিস্থানী হায়েনা আর তাদের দোসর এ দেশের রাজাকার আল বদর আল শামস্‌ বাহিনীর কুলাঙ্গেরেরা-সেই দুদ্ধাপরাধের বিচার এর নামে প্রহসন করে বাংলার মানুষকে তাদের হৃদয়ের চাওয়াটাকে সমাধি দিল আজকের ট্রাইবুনালের বিতর্কিত রায়! হায়রে বাংলার বিচার ব্যাবস্থা-হায়রে বাংলার বিচারক-মানুষের অন্তরের হাহাকার তোমার কানে প্রবেশ করে না। বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে-আজ তা তুমি প্রমান করে দিলে!?

এ রায় আমরা মানিনা-মানব না কোনো দিন! পুনর্বিচার চাই-সরকার যদি না করে সে বিচার জনগন করবে।রাষ্ট্র যদি হয় জনগনের-তবে সে রাষ্ট্রে আইন ও হতে হবে জনগনের জন্য আর আইন প্রয়োগ এর ক্ষমতাও জনগনের।সংবিধান মানুষের জন্য-মানূষ দ্বারা তৈরি,যা পরিবর্তন-সংশোধন করা সম্ভব।শোনা যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারবে না যদি না কাওকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়!আপিল করতে পারবে আসামীপক্ষ তার সাজা কমানোর জন্য! এটা কোনো আইন হলো? বিচার প্রার্থীর বিচার চাইবার অধিকার থাকবে না-অধিকার থাকবে আসামীর?

তেমন যদি হয়-তাহলে সেই আইন আমরা কেনো মানতে যাব?এই ধোঁকাবাজি রুখতে হবে-সরকারকে বাধ্য করতে হবে আইন সংশোধন করে আপিলের সুযোগ তৈরি করতে।কষাই কাদের মোল্লা কিছুতেই পার পেয়ে যেতে পারে না।যদি সে রেহাই পেয়ে যায়-তবে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ বীরাঙ্গনার কাছে কি জবাব দেবে বাংলার স্বাধীনতার পক্ষের মানূষ?তাদের অতৃপ্ত আত্মা কি আমাদের প্রতিনিয়ত অভিশাপ দেবে না?

আমাদের আইনজীবীদের কাছে অনুরোধ-আপনারা মাথানিচু করে এই অন্যায় কে মেনে নিয়ে অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না।সরকার অসহায় হতে পারে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কিন্তু আপনারা কেনো এই পরাজয় মেনে নেবেন? রাষ্ট্র যদি আপিল করতে না পারে তাতে কি সব শেষ হয়ে যাবে? কিছুই কি করার নেই? হাতে গোনা কয়েকজন আইনজবী না হয় সরকারের বেতন ভুক্ত-তাঁরা হয়ত আইনের মার প্যাঁচে ধরাশায়ী।এর বাইরে যে সমস্ত দেশপ্রেমিক বিজ্ঞ আইনিজীবী আছেন তাঁরা কি পারেন না জনগনের পক্ষে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে?নিশ্চয় পারেন-কারন আইনজীবীরা তো রাষ্ট্রের পক্ষের কেও নন তাঁরা রাষ্ট্রের জনগনের প্রতিনিধি।সমগ্র দেশের সাধারন সংখ্যাগোরিষ্ঠ জনমানুষের কন্ঠ আজ প্রতিবাদি-তারা চায় এই রাজাকারের ফাঁসি হোক।আপনাদের সামনে আজ সুযোগ এসেছে মানুষের জন্য দেশের জন্য কিছু করে দেখাবার।এর বিনিময়ে যদি আপনারা পারিশ্রমিক পেতে চান-তবে এ দেশের সাধারন মানূষ দু-হাত ভরে দেবে সেই পারিশ্রমিক তাদের কষ্টার্জিত পয়সা দিয়ে।তবুও আপনারা এই লড়াইটা করুন-দেখবেন দেশের জনগন আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে!!

কাদের মোল্লার মামলার যাঁরা স্বাক্ষী ও বাদী-আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো আপনারা ভেঙ্গে পড়বেন না।যে সাহস এতোদিন দেখিয়ে এসেছেন তা হারিয়ে ফেলবেন না তাহলে নৈতিকভাবে আমরা পরাজিত হয়ে যাব।সমস্ত মানূষ আপনাদের সাথে আছে।সরকার বা কোনো আইনজীবী যদি কোনো ব্যাবস্থা না নেয় সেটা তাদের ব্যাপার।উচ্চ আদালতে আপনারা পুনর্বিচারের আবেদন করুন।যতক্ষন না ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে ততক্ষন চালিয়ে যেতে হবে এই আন্দোলন।আপনারা যদি থেমে যান-বিজয়ী হবে ঐ যুদ্ধাপরাধীরা-ওরা তো এটাই চায়-আপনারা থেমে যান।সংবিধানে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ না থাকতে পারে কিন্তু বিচার প্রার্থীর তো আছে! সর্বপরি-এ দেশ যে জনতার সেই জনগনের অধিকার আছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উচ্চাদালতে আপিল করবার।তাই এবার সময় এসেছে চোঁখের জল মুছবার-সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়াবার।আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই-যতক্ষন পর্যন্ত একজন ও যুদ্ধাপরধী বেঁচে থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের এ চাওয়ার সমাপ্তি হবে না হতে পারে না!
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×