সামনে আবার একটা নির্বাচন আসছে। নির্বাচন না হলে সেনা শাসন হবে। এর মাঝামাঝি আর কোন রাস্তা সেই। পাকিস্তানে আছে, কিন্তু বাংলাদেশে নেই। আমি যেসময়ের মানুষ তাতে গণতন্ত্রের প্রতি ইতিবাচক হতে বাধ্য হওয়ার কোন বিকল্প আমার সামনে নেই। নির্বাচনে জিতে যেই ক্ষমতায় আসুক পাঁচ বছর পর পর চাকা ঘোরা অব্যহত রাখতেই হবে, এইটুকুই আমি বুঝি। যারা ২০০৭-২০০৮ আমলে ফখরুদ্দীন সাহেবকে রাজনৈতিক বিকল্প হিসাবে দেখেছেন অনেক চেষ্টা করেও তাদের মত আশাবাদী হতে পারিনি। হয়তো আমার দেখার চোখ ছোট। কথা হচ্ছে সেই তো হয় নৌকা নয় ধানের শীষ। এর মাঝামাঝি দুই দলের দ্বারা সুযোগমতো ব্যবহৃত হতে জামাত আর জাতীয় পার্টি। এদের কোন বিকল্প এখনও ভোটের রাজনীতিতে ভোটারদের সামনে নেই। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় কখনো কখনো ভোটাররা নিজেরাও বিকল্প তৈরী করে নিতে পারেন। সেটা না ভোট দিয়ে নয়। যে সৎ লোকটাকে "এই লোকরে ভোট দিয়া লাভ নাই...এ জিতবেনা" বলে আপনি আপনার যে মূল্যবান ভোটাটাকে নৌকা/ধানের শীষে দাঁড়ানো চোরডাকাতকে দিচ্ছেন, একবার নিজের সিদ্ধান্তে সেই ভোটটা সেই সৎ লোকটাকে দিয়ে দেখেন। আপনার ঐ এক ভোটে কিন্তু সে একটা ভোট এগিয়ে যাবে। দেখবেন একবার এই কাজটা করে ফেলতে পারলে নিজেকে অন্তত ক্ষমতাসীন বা প্রধান বিরোধীদলের কোন অপকর্মের ভাগীদার মনে হবে না।
এই কথাগুলি মূলত আওয়ামী লীগ আর বিএনপি সমর্থকদের বললাম। জাতীয় পার্টির হায়াত এরশাদের(৮৩) উপর নির্ভরশীল। জামাত ধ্বংসের মুখে। এমন কি আওয়ামী লীগ যদি তাকে এই যাত্রা বাঁচিয়েও দেয় সামনে জামাতের জন্য কময় কঠিণ। কারণ একেরপর এক জামাতের শীর্ষনেতা ১৯৭১ সালে গণহত্যায় অংশগ্রহণের দায়ে দণ্ডিত হচ্ছেন। এই মুহুর্তে শিবির করা বায়াসড মানুষের যাই মনে হোক না কেন কাল যে কচি ছেলেমেয়েদেরকে জামাতীরা শিবির বা ছাত্রীসংস্থায় রিক্রুট করতে যাবে তাদের সামনে এই রায়গুলি থাকবে।
আশাবাদী হতে ভালো লাগে। সামনে আশাবাদী হবার কারণ নেই বললেও চলে। তবুও বেঁচে থাকলে আশাবাদী হতেই হবে।