কতটা খাঁটি সু'উঁচ্চ মনের অধীকারি হলে , মানুষ নিজের উৎদীপ্ত শ্রেষ্ঠ যৌবন সময় দেশপ্রেমের তরে আকুন্ঠ বিলীয়ে দেয় , সৃষ্টি হয় বাংলার শ্রেষ্ঠ সম্পদ, সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, একজন অতিমানবীয় সপ্নদ্রষ্টা মানুষ - বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ । ৭’ই মার্চের ভাষনে সাত কোটি বাঙ্গালীর আপনা রক্ত চলাচল হয়ে ওঠে উচ্চ গতি, সমস্ত শরীর কাঁপুনি দিয়ে লোম হয় শিহরিত , বিপ্লবী স্পন্দিত বুকে প্রতিজন বাঙ্গালী হয়ে যায় অপ্রতিরুদ্ধ, এক একজন মৃত্যুঞ্জয়ী " মুজিব " সেনা । এর পর ৯ মাস ধরে এক নদী রক্ত আর ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, পৃথিবীর বুকে আমরা অর্জন করি বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র,বাঙ্গালী নামের একটি জাতি । লাখো শহীদের সপ্ন রক্ত স্রোতের উপর দাঁড়িয়ে যে দেশ,যে জাতি,যে ভাষার পরিপূর্ণতা আমরা পেয়েছি, সেই লাল সবুজের সপ্নের সোনার বাংলা মাটিতে আমার জন্ম যথার্থ এবং আমি গর্বিত, আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ ।
আমি সেই দেশের নাগরিক, যে দেশ আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নয়শীল দেশ আজ শেখ হাসিনার উন্নয়ন ফর্মূলা গ্রহণ করে দেশকে উন্নয়নে বদলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার বহুমুখী উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আজ বিশ্বে বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার হাত ধরে আমার মায়ের ভাষা আন্তর্জাতিক স্বকৃতি অর্জন করেছে , সমগ্র বিশ্বে প্রতি বছর পালিত হচ্ছে আমাদের মাতৃভাষা দিবস ।সুমদ্র বিজয় আমাদের দেশের একটি শ্রেষ্ঠ অর্জন,এক যুগান্তকারী সফলতা, এর মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে লক্ষ কোটি টাকার অফুরন্ত মহামূল্যবান সম্পদ ।দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে যখন সিমান্তের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ হারিয়েছিল মানবিক ও নাগরিক অধিকার , অভিভাবক হীন মানবেতর জিবন যাপন আর দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জিত ছিলো প্রতিটি পরিবার , ঠিক তখন পূর্ণতা পেলো সেই সপ্নের ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি ,সীমান্তের মানুষেরা পেলো জিবন যাপনের সকল নাগরিক অধিকার, বাংলাদেশের ভূখন্ডের সাথে যোগ হলো ১৭,০০০একর এর কিছু বেশি ভূমি ।
একথা ভাবতে গর্ববোধ করি যে, আমার দেশে বর্তমান মাথাপিছু গড় আয় ১৪০০ ডলারের অধিক,ব্যাংক রিজার্ভ রেকর্ড ২৮০০ কোটি ডলার, যা দেশের ১০ মাসের আমদানির সমান ।দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭০-এর ওপরে ।
এই ১ম বাংলাদেশে নতুন যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে , মহাআকাশে ২০১৭ সালের মধ্যে উড়বে লাল সবুজের পতাকা, সত্যিই এ এক অভাবনীয় অগ্রযাত্রা । এদেশের তরুনেরা এখন আধুনিক বিজ্ঞান কে নিজেদের করে নিয়েছে,তারা এখন ড্রোন তৈরি করতে শিখেছে । একজন বাঙ্গালী ঘরে বসে সমগ্র পৃথিবীর যেকনো প্রান্তে সব ধরণের লেনদেন ও কর্মকান্ড সরাসরি সম্পর্ন করতে পারছে ।ডিজিটাল বাংলা পবিত্র কোরআন বাংলাদেশী মুসলিমদের জন্য এক অনন্য অর্জন, অজপাড়া গায়ের দিনমুজুর আজ তার কন্যাকে বাংলাদেশের সেরা ডাক্তার /বিজ্ঞানী বানানোর সপ্ন দেখছে , দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, কৃষক,কামার, কুমার, জেলে ,তাঁতী সকলের মুখে এখন আত্মতৃপ্ততার হাসি লেগে থাকে ।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আজ ক্রমান্বয়ে সর্ব দিকদিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা আর নিরলস পরিশ্রমের কারনে বাংলাদেশ আজ স্বনির্ভর দেশে পরিনত হয়েছে,সমগ্র বিশ্বে আজ আধুনিক বাংলাদেশের যুগান্তকারী পদ যাত্রা শুরু হয়েছে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলা হবে মধ্যম আয়ের দেশ ।
সপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে মহান চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্টের জন্ম হয়েছিলো, আজ সেই চেতনা সপ্ন পরিপূর্ণতা অর্জন করতে চলেছে ,এখন একজন মানুষ বাঙ্গালী হিসাবে বিশ্বে তার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করছে ।
এই সুজলা সুফলা পরিপূর্ণ সোনার বাংলা মাটিতে জন্মনিয়ে আমি এবং প্রতিটি খাঁটি দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী ধন্য,গর্বিত,আত্মতৃপ্ত ,আমরা তোমায় ভালোবাসি,হে প্রিয় বাংলাদেশ ।।
###
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬