ঈদ চলে গেছে কিন্ত এখনও রয়ে গেছে ঈদ এর রেশ। ব্লগার শায়মা আপুর ঈদ সংখ্যা দেখে স্বাদ হল ঈদ নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার । প্রবাসীদের অবস্য ঈদ নিয়ে এত আনন্দ করার সুযোগ নাই। ছুটি মেলে কেবল ঈদের দিনে। ঐ এক দিনেই প্রবাসী বাঙ্গালীরা একত্রিত হয়ে ঈদ উদযাপনের চেষ্টা করে। পোষাক পরিচ্ছদ , খাবার দাবারে সবাই চেষ্টা করে দেশীয় আমেজ ধরে রাখতে।
আমার আজকের পোস্ট ঈদের সেমাই নিয়ে। সেমাই এর সাথে ঈদের একটা সম্পর্ক আছে। ঈদ মানেই বাসাবাড়ীতে সেমাই রান্না হবেই। ছোটবেলায় আমি দুই প্রকার সেমাই এর সাথে পরিচিত ছিলাম। জর্দা সেমাই ও দুধ সেমাই। এর বাইরে আর কোন প্রকার সেমাই কখনও খেয়েছি বলে মনে পড়ে না। ঈদের দিনে মায়ের রান্না করা জর্দা সেমাই এর কথা মনে হলেই মনটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। কি যে অমৃতের মত স্বাদ ছিল সে সেমাই এর। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবের বাসাতেও এই একই স্টাইলের সেমাই রান্না হতে দেখেছি। সে সময়ে ঘন দুধে বানানো সেমাই গরম গরম খেতে বেশ লাগত।
এখনকার ঈদে কোন বাসায় আমি আর জর্দা সেমাই বা দুধ সেমাই রান্না হতে দেখি না। এখন চল শুরু হয়েছে নবাবী সেমাই এর। নবাবী নামকরনের ইতিহাস আমার জানা নাই। আগের যুগের নবাব বাদসাহেরা কি এই সেমাই খেত কিনা বলতে পারছি না। আমার কাছে জিনিষ্টা সেমাই ও পুডিং এর ককটেল বলে মনে হয়েছে। তবে অনেক রকম বাদাম সহকারে বানানো এই ডেজার্ট খেতে খুবই মজাদার। এক বাসায় খেলাম কুনাফা নামের আরেক প্রকার সেমাই। এরাবিয়ান স্টাইল খুব সম্ভবত। সেটা তেমন ভাল লাগে নাই। কেমন যেন শক্ত , শন পাপড়ির মত খেতে। নাড়িকেল মিশিয়ে সেমাই এর বরফিও বানাতেও দেখলাম আরেক বাসায়। তবে সেমাই এর এত নিত্য নতুন পদ আবিষ্কারের মধ্যে একমাত্র নবাবী সেমাইটাই সবচেয়ে মজাদার লেগেছে।
নবাবী সেমাই এর রেসিপি জিজ্ঞাসা করলে দিতে পারুম না। ব্লগার শায়মা আপু ও মিরর ডল আপু রেসিপি দিবে । আর ব্লগাররা দেবে এবারের ঈদে কে কোন ধরনের সেমাই খেয়েছে , সেই অভিজ্ঞতার বিবরন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১