বাংলাদেশি হিসাবে নিজ কে নিয়ে খুব অহংকার ছিল আমার। কিন্তু এখন আমার সেই অহংকার নেই. মনে হয় হারিয়ে গেল. আর খুজে পাব কিনা জানিনা. একটা ঘটনা গঠল, এইত অল্প কিছু দিন আগে। বাংলার সোনার ছেলে ড. ইঊনুস বিশ্ব শান্তির জন্য নোবেল পুরষ্কার পেলেন। খুসি তে আমি আত্মহারা। যা সারা বিশ্বের মিডিয়া গুলো প্রচার করল। তার ব্যতিক্রম আমাদের এ খানেও হয় নি । মধ্য প্রাচ্যের সবচেয় জনপ্রিয় আল-জাজিরা তে প্রচার হল. আমি সবাই কে ডেকে বলাম দেখ এটা আমাদের বাংলাদেশ। আমরা নোবেল পরুষ্কার পেলাম. ।সেই দিন আমার দোকানে অনেক দেশের লোক ছিল এরা মুলত মধ্য-পাচ্যের. সবাই তা দেখল. অভাক হায়ে আমার দিখে তাকাল। অনেকে ধন্যবাদ দিল আমাকে।
দেবার এই কথা এই মধ্য-প্রাচ্যে আমার মোত হাজার হাজার বাঙ্গালী কাজ করে.
এবং আমারা ই এক মাত্র জাতি যারা অত্যান্ত কম মূল্যে শ্রম বিক্রি করি।মাসিক ৭৫ রিয়েল বেতনে চাকুরি করতেছে হাজার বাঙ্গালী, যারা এই ৭৫ রিয়েল কাজ করে তারা যে মানবতার জীবন যাপন করে তা চোখে না দেখ লে বিশ্বাস হবে না,কিন্তু কিছুই করার নেই। জীবনের তাগিদে আমাদের বাধ্য হয়ে আরো অনেক কাজ করতে হয়। যাহা এদের চোখে অতি বেমানান। তাই পৃথিবির অতি নিম্ন জাতি হিসাবে এরা আমাদের জানে।আমাদের অভিযোগ শুনার মত কেউ নেই। কি দেশে কি বিদেশে।সবাই ত আমার বাঙ্গালী। পৃথিবির যত মজার মজার কৌতূক আছে তা আমাদের নিয়ে রচনা হয়। এতে আমারা পূলকিত হয় বটে।কারন আমাদের স্বভাব ই এটা। কিন্তু সেই ইতিহাস ভেঙ্গে আজ আমারা নোবেল বিজয়-ই জাতি। তাই সেই দিন তারা আমার দিখে কেন এভাবে তাকিয়ে ছিল। আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হয় নি। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০