আমি, আমরা ইভ টিজার,কিন্তু
কেন..................??
আমি প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ি, যে টুকু সময়ে কম্পউটারে সামনে থাকি বাংলা দেশের সংবাদ পত্র আমার সাথেই থাকে. ২৪ ঘন্টা দেশের কোথায় কি হচ্ছে তা জানা যাই.
ইদানিং একটা খবর খুবই বেশি দেখতে পাই . আর তা হলো ইভ টিজিং
তখনই কষ্ট পাই যখন দেখি কিছু প্রাণ চলে গেল. আবার খুব হাসি পাই যখন দেখি কিছু ছেলে দের কান দরিয়ে দাড় করিয়ে রাখে আর তাদের বুকে লিখা থাকে আমরা ইভ টিজার.
সত্যি হাত তালি পাবার যোগ্য, এ দের এই বিচার দেখে শয়তান ও লজ্জা পাবে সেখানে আমাদের কথা নাই বললাম.
আমার এক বুন্ধু একটা আর্টিকেল লিখল এর জন্য না কি আমাদের এই সমাজ দায়ী. আমি ও তার সাথে কিছুটা এক মত কিন্তু পুরো পুরি নয়. শুধু সমাজ কে দায় করলেও হবে না এর জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা এমন কি আমাদের পরিবার, আমরা ও দায়ী.
শিক্ষার কথা বলি
আমরা যতই আধুনিক শিক্ষার কথা বলি আসলে আমরা কি তা হতে পারলাম? যদি পারতাম তা হলে আজ আর এমন টি হত না. সমাজের সব জায়গায় আধুনিক শিক্ষার নামে অশিক্ষা বিরাজ করতেছে. একজন মানুষ বিজ্ঞান, কলা, সাহিত্যে জ্ঞান থাকলে শিক্ষিত হয় না তার জন্য তাকে ধর্মীয় শিক্ষা ও জানতে হয়,আফসোস আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার কোনো মুল্য নাই,
এটা ঠিক আধুনিক সমাজে হয়তো ধর্মীয় শিক্ষা কাউকে ভালো চাকুরী দিতে পারবেনা কিন্তু নৈতিকথা দিতি পারবে,এটাই আজকের সমাজের জন্য সব চেয়ে জুরুরী.
ধর্ম বলতে আমি শুধু ইসলামের কথা বলতেছি না সব ধর্মের কথায় বলি. কোনো ধর্মেই মানুষ কে অনৈতিক কাজ করতে বলে না তেমনি ধর্মীয় পোষাক ও মানুষ কে নিরাপদ রাখে. আজ পযন্ত কেউ বলতে পারবেনা ধর্মীয় পোষাক পরার কারণে কারো শীলতা হানি হলো কেউ অপমানিত হলো. যে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে সে কাউকে ইভ টিজিং করলো বা সে ইভ টিজিং এর শিকার হলো.
আজ আমাদের সমাজে কোথাও ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মীয় আচার আচরণ নিয়ে আলোচনা হয়না বরং এর বিরোদ্ধে বলা হয়. এই তো কিছু দিন আগে আমাদের এক বিচারক এক রায় দিলেন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্টানে কাউকে ধর্মীয় পোষাক পড়তে বাধ্য করা যাবেনা .
এটা কি ধর্মের উপর এক প্রকার ইভ টিজিং নয় ?
আমার প্রশ্ন এই রায় কাদের পক্ষে গেল ? এতে করে কারা উত্সাহিত হবে ? কাদের লাভ হবে? আমাদের মা আর বোনেরা কি নিরাপত্তা পেল ?না কি আধুনিকতার নামে তাদের কে বেপর্ধা করা হলো ?
মা কিংবা বোন যাই বলেন, সব ধর্মেই তাদের কে সন্ম্মান জনক স্থান দেওয়া হলো. এই ক্ষেত্রে ইসলাম সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, যাদের ইসলাম সম্পর্কে ভালো কোনো জ্ঞান নেই তারাই ইসলামী পর্ধা কে অন্ধকার সমাজের সাথে তুলনা করে. তারা কি জানে, কোন অন্ধকার যুগে ইসলামের অবির্বাব হলো? তখন ঐ সমাজ টা কেমন ছিল? সেই সমাজে মেয়েদের তো জিবিতেই রাখত না থাক তাদের সন্ম্মান .সেই স্থান হতে ইসলাম তাদের কে মায়ের আসনে অদিস্ঠ করলো, কি করে হলো?
একমাত্র ইসলামী আইন এবং ইসলামী সমাজের জন্যেই.(আমরা ৮৫% মুসলিম তাই ইসলামী সমাজের কথা লিখলাম )
আমাদের সমাজ এখনো সেই অবস্থায় আসেনি যার জন্য যুগে যুগে নবী রসুল কিংবা মনসীদের অভির্বাব হতে হলো. আমরা এখনো অনেক ভালো অবস্থায় আছি আল্লাহ এখনো আমাদের উপর সদয় আছেন,
হাতে গোনা কিছু মানুষের জন্য আজ আমরা আমদের এই সমাজকে দায়ী করতেছি
আমাদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করা, শিক্ষার সর্ব জাগায় ধর্মীয় শিক্ষাকে উন্তর্ভুক্ত্ত করা. ধর্মীয় এবং আধুনিক শিক্ষায় নুতন প্রজন্ম কে শিক্ষিত করে তোলা.
এ ক্ষেত্রে আধুনিক শিক্ষা আমাদের বিজ্ঞানময় করে তুলবে আর ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের নৈতিকতায় আলোক ময় করে তুলবে. যা সমাজ থেকে ইভ টিজিং সহ আরো অনেক সম্যসা দূর করবে.
আসুন বিচার ব্যবস্থায়
শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বিচারকের রায়ের কথা উল্লেখ করলাম. সেই রায়ে বলা ছিল কাউকে ধর্মীয় পোষাক পড়তে বাধ্য করা যাবেনা. যার মানে যার ইচ্ছা সেই পারবে, যার ইচ্ছা হয় না সেই পরবেনা.
আমাদের দেশে ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজেস্ব পোষাক পড়ে যাওয়া বাধ্যতামুলুক কেউ এর ব্যতিক্রম করেনা সেই ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন এই রায় দেওয়া হলো?
ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে আমরা সধারণত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বলি সেই ক্ষেত্রে তারা যে পোষাক পরে আসতে বলে ত়া পরা উচিত.
ধর্মীয় পোষাক কি সেই ব্যবপারে পরে একদিন আলোচনা করব . আজ ইভ টিজিং নিয়ে বলতেছি.
কিছু দিন হলো দেখলাম ভ্রাম্যমান আদালত ইভ টিজার দের ধরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিতেছে,এটা সাময়িক ভাবে কিছুটা ইতিবাচক বঠে কিন্তু এর পরিনাম অনেক ভয়াবহ.
ধরুন একজন ইভ টিজারকে ৩ মাসের কারাধন্দ দেওয়া হলো সেই ৩ মাস পরে যখন বাহির হবে তখন কি মাথায় টুপি পরে ৫ ওয়াক্ত নামজ পারবে, মন্দিরে গিয়ে পূজা করবে? না কি প্রতিশোধের নেশায় আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে?
তাহলে আমাদের এই আইন টা কি সেই ছড়া মত হয় নি ? ..... তাদের মাথায় দুটু শিং তারা মাঠে পাড়ে ডিম,.... এই ডিমের যেমন কোনো অস্ত্তিত নেই তেমনি এই আইনের ও কোন ভবিষ্যত নেই.
ত়াহলে আমাদের কি করা উচিত, কি করে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?
এর জন্য আমাদের কিছু কাজ করতে হবে আর ত়া হলো এই বিচার ব্যবস্থা কে পরিবর্তন করতে হবে
এই আইনে সাজার সাথে সাথে তাদের শোধরাবার ও ব্যবস্থা করতে হবে.
এবং কারা ইভ টিজার, কেন তারা ইভ টিজিং করে সেই দিক গুলি বাহির করতে হবে.
আসুন দেখি কারা ইভ টিজার ?
এই ক্ষেত্রে ৩ শ্রেনীর লোক জড়িত
১. নিম্ন বিত্ত (যাদের লেখা পরা তেমন একটা নেই )
এরা খেঁটে খাওয়া মানুষ, সারা দিন পরিশ্রম করে নিজে দের দুমুটো ভাতের জন্য. প্রশ্ন হলো এরা কখন ইভ টিজিং করে এবং কেন করে?
এরা ইভ টিজিং আমাদের সমাজ থেকে শিখে নিল সমাজই এদের কে শিক্ষা দিল,
কেমন করে? শুনুন,
এই লোক গুলো বিনোদন খুবই পচ্ছন্দ করে আর তাই তারা বাংলা (ছি: নেমা, নামটি আলফিন থেকে নেওয়া) সিনেমার একটা বড় ফ্যান. আর আমাদের বর্তমান ছি : নেমার কথা বলে শেষ করা যাবেনা এটা বিনোদন নামে উম্মাদনা ছাড়া আর কিছুই না, অপ্রিয় হলেও সত্য যে এই সিনেমা গুলোর পোস্টার বেশির ভাগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে লাগানো হয় আর এই পোস্টার গুলো দেখার জন্য ঐ লোক গুলো স্কুলের সামনে দাড়িয়ে থাকে যখনি সুযোগ পায় তখন কোনো মেয়ে দেখলে খারাপ উক্তি করে. আর যখন মেয়ে টি কোনো প্রতিবাদ করে তখন বলে আমি তোমাক বলিনি বলেছিলাম ঐ হাতি মার্কা নায়িকাকে.আর প্রতিবাদ না করলে এই ভাবে চলতে থাকে.
মূল কথা এদের ইভ টিজিং এর জন্য এই জিনিসটাই অনেক দায়ী, এই ছাড়া ও আরো অনেক কারণ আছে যার মধ্যে পারিবারিক ভাবে নৈতিকতার কোনো শিক্ষাই দেওয়া হইনি.
আমরা ইচ্ছা করলে এই ছি : নেমার পোস্টার গুলু কে পরিবর্তন করতে পারি, শিক্ষা কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে না লাগিয়ে অন্য কথাও লাগাতে পারি
যে বিনোদন সমাজকে কুলোসিত করে ত়া না থাকাই ভালো.
এই ক্ষেত্রে ধর্ম এদেরকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারে আইন নয়.
২. মধ্য বিত্ত
এই যুবক গুলো ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত, এরা এত টাই বেপরোয়া আইন ও এদের কাছে অসহায়. মন্ত্রী, এম.পি দের দোয়াই দিয়ে এরা সব রকমের অপকর্ম করে থাকে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাই রাজনৈতক নেতারা এদের কে সাপোর্ট করে. সেই ক্ষেত্রে এদের কে কি করে এই ইভ টিজিং থেকে পেরানো যাবে?
আর তা হলো এদের পরিবার কে এগিয়ে আসতে হবে তাদের বুজতে হবে আজ সেই যাকে নিয়ে ইভ টিজিং করতেছে সেই তার মত কারো না কারো বোন, তার মনের ভিতরে ধর্মীয় চেতনার জাগরণ করতে হবে, রাজনীতিক নেতাদের আরো সচেতন হতে হবে.যাতে করে তাদের নাম দিয়ে তারা এই সব অপকর্ম করতে না পারে.
৩. উচ্ছ বিত্ত
এরা যেমন টাকা পয়সার মালিক তেমনি ভালো শিক্ষিত , এদের আবার কেউ শিক্ষাকে পেশা হিসাবে নিয়ে নিল, এই পেশা টা যে অত্যন্ত সন্মানের তা আর লিখতে হবেনা, কিন্তু আজ এই পেশা টা কে কল্কিত করলো হাতে গুনা কিছু শিক্ষক এর জন্য. আমরা প্রায় দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলোতে শিক্ষক দের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এরা ছাত্রীদের শীলতা হানির চেষ্টা করে. যা কোনো ভাবে কাম্য নয়.
এখন প্রশ্ন হলো এরা কেন এমনকরে ? এদের কিসের অভাব? সব কিছুই তো এদের আছে? এর পর এরা এত বেপরোয়া কেন?
এর সহজ উত্তর হলো এদের নৈতিকতা বলতে কিছুই নেই, খোজ নিয়ে দেখুন এরা যে ধর্মের এই হোক সেই ধর্মকে এরা পালন ও করে না এবং জানেওনা. এরাই এমন পরিবার থেকে আসলো যারা এদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলল কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা দিতে পারেনি কিংবা দেই নি.
কিছু দিন আগে দেখলাম একজন শিক্ষক কে ১ বছরের সাজা দিল তাও আবার এই ইভ টিজিং এর জন্য.
এই ৩ শেণীর লোক ছাড়া ও আমাদের পরিবারও কিছুটা দায়ী, যেমন আপনার মেয়ে, বোন যখন বাহিরে যাবে তাদের কে বলুন এমন পোশাক পরে যেন বাহির না হয় যা অন্যকে তার প্রতি খুব বেশি আকর্ষণ করে,
মনে রাখতে হবে আপনি এক জন মেয়ে আপনার ইজ্জত আপনাকে রক্ষা করতে হবে রাষ্ট, আইন পুলিশ এরা কেউ পারবেনা ,এরা পারবে সেই অপরাধিকে ধরে সাজা দিতে কিন্তু আপনাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেনা.
আমি বলতেছিনা আপনি এমন পোষাক পড়ুন যা আমাদের আফগানীদের(তালেবান) কথা মনে করিয়ে দেই, আপনি যে ধর্মের লোক হন সেই খানেই আপনার পোষাক সম্পর্কে বলা আছে সেই পোষাক পরে বাহিরে যান, দেখবেন আল্লাহ ও আপনার উপর রহমত করবেন,আপনিও নিরাপত্তা পাবেন.
একটু চিন্তা করে দেখুন আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও আমাদের দেশে এরই রকম ইভ টিজিং ছিলনা, থাকলেও এত ব্যপক ভাবে বিস্ত্তার লাভ করেনি, তা হলে আজ কেন এমন হলো.
সত্য কথা হলো আমরা যতই আধুনিক হয়না কেন ধর্মীয় নৈতিকতায় দ্বারে কাছেও যেতে পারিনি
আসুন আমার যার যার ধর্মের শিক্ষা গুলো কে আমাদের জীবনে কাজে লাগায়, আর আপনি যদি মুসলিম হন সেই ক্ষেত্রে ইসলাম হলো পুর্নাংগ জীবন ব্যবস্থা, সব সমাধান আপনি কুরানে পাবেন ইনশাল্লাহ.
আল্লাহ পাকের বাণী দিয়ে শেষ করব, আর তা হলো..
'' হে নবী! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়৷ এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চিনে নেয়া যায় এবং কষ্ট না দেয়া হয়৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়৷''
আল আহযাব ৫৯ আয়াত
এই আয়াত টি হতে পারে ইভ টিজিং এর বিরদ্ধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার . ( এর ব্যখ্যা তাফিমুল কুরানে পাওয়া যাবে)
'''' লেখা লেখিতে আমি শিশু, গঠন মূলক সমালোচনা করে আমাকে বড় হবার সুযোগ দিন, শিশুর ভুল গুলু যেমন ক্ষমা করা হয় আমার টা ও করে দিবেন.''
[email protected]