সক্রেটিসের আত্নজদের জেগে ঊঠার কোন সুযোগ নেই ,
রবীন্দ্রনাথও কবরেই ঘুমিয়ে থাকতে চাইছেন ,
এবং প্রেমিক-প্রেমিকারা থাকতে চাইছেন খ্রীষ্টপূর্বাব্দে
তাদের কেউ কেউ নেমেছেন মল্ল যুদ্ধে ,
আবার কেঊ অবর্তীন হয়েছেন তীরন্দাজের ভুমিকায় ।
কিন্তু তারা হতাস কারন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পংক্তিটি
আজ আর কেউ রচনা করছেন না।
নটরডেমের কুঁজো আজো জড়িয়ে ধরে আছে
তার প্রেমিকার দেহ ,
যদিও ভিক্টর হুগো এযুগে শুধু তা স্বপ্নেই পারতেন ভাবতে ।
এদিকে প্রেমিকারা হচ্ছেন প্রতারিত ,
কারন তাদের প্রেমিকের নামে সুইস ব্যাংকে যে একাউন্ট আছে
তাতে মুদ্রার বদলে গচ্ছিত আছে হৃদপিন্ড ,
যা এশতাব্দীতে অযোগ্যতা বলেই মানা হয়।
আর উত্তরাধুনিক প্রেমিকেরা মাংসের ভাজে
খোজে চলেছেন ভালোবাসার গভীরতা ।
শুধু ক্লিওপেট্রাই চাইছেন আরেক জীবনের সুযোগ ,
কারন তিনি জানতে পেরেছেন,এ শতাব্দীতে
মস্তিষ্কের চেয়ে পলিশ করা চেহেরার মুল্য অনেক বেশি।
শহরের খাদ্য গুদামগুলো আগের মতই আছে
লাইনে দাঁড়িয়ে আছে অগনিত মানুষ ,
কিন্তু প্রকৃত ক্ষুধার্তদের জন্য নেই কোন জায়গা।
মানব জাতির মধ্যবিত্ত শ্রেনীটি আজো টিকে আছে বহাল তবিয়তে ,
যেমন তারা টিকে ছিলেন খ্রীস্টের মৃত্যুর দিনে ।
আজো তারা ক্ষুধার্ত শিশুর কাধে ভর দিয়ে
চেটে চলেছেন তাদের উপর তলার ঈশ্বরের পা।
প্রত্যেক নগরেই আছে একটি করে ওয়াল স্ট্রীট ,
শুধু মাত্র তারাই জানেন গনিতের নিয়ম
এবং তারা মুনাফা নামক একমাত্র নিয়মে শেখান আধুনিকতম গনিত।
গ্রীক দার্শনিকের একজন এখনো আছেন বেচে ,
যদিও তিনি জন্মেছেন অন্য এক ভূখন্ডে ।
তিনি অদৃশ্য হাতে ধরে রেখেছেন সক্রেটিসের হাত ,
আর সান্ত্বনা দিয়ে চলেছেন দেবী আফ্রোদিতিকে।
আমিও দশ লক্ষ বছর ধরে
প্রতিদিন উঠছি শিঊলি ঝরা ভোরে ,
নিজেকে রাঙ্গাচ্ছি মাছরাঙ্গার পালকের রঙ্গে ,
আর প্রস্তুতি নিচ্ছি অতিবাহিত করতে আরো একটি দিন
সিসিফাসের মতই অর্থহীন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫২