আজ অনিচ্ছা সত্বেও স্বীকার করতে হচ্ছে-
আমার দেহের একমাত্র সক্রিয় অংশটির নাম জননাংগ ।
তবে তার কর্ম পটুতায় আমি যেন খানিকটা আতংকিত
তাই স্থাপন করেছি চীনের প্রাচীর
নিয়োগ করেছি সামরিক বাহিনী
নির্ধারন করেছি শত-সহস্র কর্মপন্থা ,
আর বেমালুম ভুলে আছি,তার মাত্র ফুট খানেক
দুরেই দাঁড়িয়ে থাকা মস্তিষ্কটির কথা।
আমি কিংবদন্তীটি কখনোই শুনতে চাইনি
তারপরও জেনেছিলাম ছুটতে হবে চিলের পেছনে
তাই পদযোগল সবল হওয়া মাত্রই ছুটছি ।
আমি মেনে চলি প্রথা যা আমার নয় ,
তবুও উত্-সিক্ত এ উপ-গিরিতে ।
আমি খুব বেশি স্নিগ্ধ হয়ে উঠি ,
যখন নামের আগে বা পরে বসিয়ে দিতে পারি
দু-একটি ভীন দেশি শব্দ ।
বহু অপেক্ষার একটু অবকাশেই আমি হই কল্লোলিত ,
আমার জননাংগও বোধ করে স্বস্তি
যেন মানিয়ে চলাতেই দ্বীগ বিজয়ী সাফল্য ।
আমার বোধের সমুদ্রের নিঃস্তরংগতাতেই তৃপ্তি
আর তরঙ্গের কাপনে বোধ করি অসুস্থ্যতা ।
চোখ দুটো যদি দেখে ফেলে রক্তাক্ত আকাশ বা হিমালয়ের মত স্বপ্ন
তাই চোখ বুজেই নির্ধারন করেছি এ জীবনের অর্থ।
শব্দ তরঙ্গের উপর আরোপ করেছি সেন্সরশীপ
যেন কিছুতেই কোন শ্লোগান প্রবেশ করতে না পারে , আমার শ্রবন ইন্দ্রিয়ে।
জননাংগ আজ সকল আধেয়ের আধার
যেন জীবনের সমস্ত মাহাত্ন্য ধারন করেছে সে
তাই ধর্ষিত হলেই দিতে হবে জীবন ,হতে হবে লাঞ্চিত ,
আর লুন্ঠিত হবে নিজের একান্ত আপন বিশ্ব।
এবার বলতেই হচ্ছে “ আপনার বুদ্ধিমত্তা চমৎকার”
তাই সহজেই বুঝতে পেরেছেন-
হ্যা,আমি আমোনের মত জননাংগ নিয়েও
নপুংশক হওয়াদের একজন ,
আমি এই ২০১০ সালেও সবুজ-লালের ভুখন্ডে
“বেচে” থাকাদের একজন ।