চার,শ কটি বছরের পুরোনো এই গ্রহে
আজ়ো পেয়ে চলেছি অনেক নতুনের স্বাদ ,
কিংবা আয়াত্ত্ব করেছি পুরাতনকেই নতুন ভাবার আশ্চর্য এক কৌশল ,
তাই আজ যদি বাজারের থলে থেকে মাছ না বেড়িয়ে
বেড়িয়ে আসে গইয়ার কুজো ,
তবুও অবাক হবোনা আমি ,
যেমন অবাক হইনা হাড্ডিসার কোন ডাস্টবিন পুত্রকে দেখে ।
আমার হাতের কালো রেখা গুলিকে
আমি মুছে দেই ম্যারি ক্লেয়ারার বদান্যতায় ,
তাই তুমি খুব ভালো করে তাকালেও দেখতে পাওনা
ভয়ঙ্কর কুতসিত সেই রেখা গুলিকে ।
বরং আমার হাতদুটোকে প্রমিথিঊসের হাত ভেবে চুমো খাও ,
সহ্য করে নাও আগ্নেয়গিরির লাভায় ঠোট বিধস্ত হওয়ার ব্যাথা ।
এরপর যদি কোন মুহুর্তে নক্ষত্রের তীব্র আলোয়
উদ্ভাসিত হয়ে যায় কুতসিত সেই রেখাগুলো ,
আমার মুখেই ভেসে ঊঠে ভ্লাদ তেপেসের অবয়ব ।
তাতেও নেই কোন আফসোস আমার,
কারন যাদুর থলি থেকে যে কোণ তীক্ষন মুহুর্তে
বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় আছে ভালোবাসা নামক এক তুরুপ।
অতি সহজ পথেও আমি ছক কেটে কেটে গোলোক ধাধা সাজাই
আর তুমি তা তিচের পরিহাস ভেবে মেনে নাও ,
আমিও উদাস হই কিন্তু বদলে যাইনা ।
মাঝ রাতে শহরের সব চেয়ে নিঃসঙ্গ গলিকে
যে পথিক সঙগ দেয় পরম মমতায় ,
সেও তোমার মুখ পানে তাকিয়েই প্রথম
জেনেছিলো নিজের নিঃসঙ্গতার কথা।
কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে নয় এই আধুনিক কালেও
আমি সেই পথিকদেরই একজন থাকতে চেয়েছিলাম,
আমি আমাজনের বিশাল সব বৃক্ষের মাথার উপর দিয়ে
উড়াতে চেয়েছিলাম আমার ঘূড়ি ,
যে ঘুড়িকে পালক দান করেছিলো তারুণ্যের তীব্র স্বাদ
পাওয়া এক দাড় কাক ।
কিন্তু এসবের কোন কিছুকেই আমি,দেইনি জেগে উঠার অধিকার,
খুব কৌশলে এড়িয়ে এসেছি
দাড় কাকের উৎসাহী দৃষ্টি আর
শরতের কোমল মেঘের মত ঘুড়ির উদাত্ত আহ্বান ।
তবু পলিমার যুগের এই ভাবলেশ হীন পরিবেশেও
যখন মাঝে মাঝেই মস্তিষ্কের কোঠর থেকে বেড়িয়ে আসে তোমার অস্পষ্ট সত্বা
তখন আবারো ফিরে পেতে চাই দাড় কাক কিংবা ঘুড়িকে
আর আমার হাইড ক্ষমা পেতে চায় আমারই কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩১