"বুক থেকে উঠে আসে কান্নার দলা"
(উৎসর্গঃ- প্রবাসী ডাঃ দীপান্বিতা অবন্তী রায়-কে)
তারপর দীপা বলল-
আজ আট মাস হয়, শয়ন কক্ষ আলাদা করেছি কর্তার!
ধ্রুব, আর সহ্য করতে পারছিলাম না তার ল্যাংগুয়েজ টর্চার।
এখন আমিই মানসিক রোগী যদিওবা আমি ডাক্তার-
হাই সোসাইটির হিলে ভর করে আজ আমার বুকে নিঃসঙ্গতার পাহাড়।
তবে কি এমন প্রয়োজন ছিল বিমানে উঠার?
কি এমন প্রয়োজন ছিল ওপাড়ে যাবার?
গিয়েছ যখন সুখেই তো থাকার কথা ছিল তখন-
তবে আজ কেন অশ্রু ভরা দু'নয়ন!
ভেবেছি, একটায় তো মাত্র জীবন, একটায় এবং একবার,
আমার এক তরফা জিদের কারণে তাই রাখিনি তোমার কোন আবদার।
ভেবেছি যত সুখ তা ঐ প্রবাসে, আজ সবই মিছে-
মিছে- ডিগ্রী, মিছে তুমিহীন সুখের বাসনা, সত্য ছিল তোমারি বুকের নিচে।
দীপা, আমি আজো কল্পনায় স্পর্শ করি তোমার চুলের খোঁপা,
তুমি আমার পয়লা বিন্দু, আমি বৃত্ত নামের ঐ ঘরের পাহারাদার বোকা।
আমার বুকের বৃত্তের আঙ্গিনায় তোমার নগ্নতার রক্তাক্ত অপারেশনে-
তুমি হৃদপিণ্ড খণ্ড খণ্ড করেছো সৌখিন বিলাসীতার প্রয়োজনে।
ধ্রুব, অনেক বড় ভুল করেছি, তার শাস্তিও পেয়েছি,
দু'দণ্ড সুখ কোথাও পাইনি, স্বীকার করছি অনেক খুঁজেছি।
বিশ্বাস করো- আজ আমি নিঃসঙ্গতায় বড় একাকী, বুকে শুধু জ্বালা-
বিশ্বাস করো রোজ রাতে বুক থেকে উঠে আসে কান্নার দলা।
ভালোবাসার ভুলে হয়েছি দোষী তাই বলবনা আর ভালোবাসি,
মধ্যবেলায় সূর্যের মৃত্যু হতে দেইনি এঁকেছি নতুন সুচি।
বড়লোকের সব বড় বড় কারবার-
আমি ধ্রুব কে কোথাকার!
ধ্রুব, তোমার দেওয়া শাস্তি নিতে ফিরছি আগামী ফাল্গুনে,
আমি জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হতে চাই তোমার বুকের আগুনে।
বিধাতার কাছে প্রার্থনা করি দু'হাত তুলে-
তুমি শাস্তি দিও সব ভালোবাসা ভুলে!!!
আমাদের আর দেখা হবে না ইহজনমে..............................
(চার্জ শেষ। সংযোগ বিচ্ছিন্ন) মোবাইল ফোনে।
১৩/০১/২০১৬ইং
শ্যামলী, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪