তাৎপর্যহীন খবরের পূন:পূন: প্রচার, টেলপ, সেটার উপর বিশ্লেষন, রেকর্ডেড টক শো, লাইভ টক শো, গভীর রাতে পত্রিকার উপর আরেক প্রস্থ গেজানো এভাবেই চলছে ঢাকা ভিত্তিক টিভি গুলো। সবকটি চ্যানেলের একই দশা। এক মতিউর রহমান চৌ, না ই খান, শ্যামল দত্ত, আসিফ নজরুল ইত্যাদিরা ঘুরে ফিরে সব চ্যানেলে। এমনকি একই সময়ে একাধিক চ্যানেলে একই ব্যক্তির 'সারগর্ভ' নছিহত। সাংবাদিকতার চৌহদ্দি ডিঙিয়ে পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, অর্থনীতি, ব্যবসা, আইন, অনু-পরমানু কিছুই তাদের ' গভীর বিশ্লেষন' থেকে 'মুক্তি' পাচ্ছেনা। ভদ্রলোকদেরকে দোষ নেই। এহেন লাইভ 'জ্ঞান দানের' মওকা পেলে কে ছাড়ে। কিন্তু চ্যানেল ব্যবস্থাপকগুলোর কেমন আক্কেল? বিবিসিতে হার্ডটক দেখি মাঝে মাঝে। উপস্হাপক স্টিফেন রিলেটেড একজনকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেন। বিবিসি বাংলা সংলাপের প্যানেল ও রিলেভেন্ট। এসব দেখেও তো শেখা যায়। মগজ যদি নাইবা থাকে। আর সব চ্যানেল শিয়ালের পালের মত একই বিষয়ে হোয়াক্কা হুয়া করার কি আছে? নাচ, গান, নাটক, ছিনেমা, ম্যাগাজিন কে সিরিয়াসলি নিয়েও তো কমপক্ষে একটি চ্যনেল হতে পারে। অফিস থেকে বাসায় গিয়ে মানুষ একটু হালকা হতে পারতো। হয়তো হচ্ছে- বিদেশী চ্যনেল তো মাত্র এক ক্লিক দুরে! ব্লগার ভাই/বোনরা কি বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩