হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। ইতোমধ্যে বাজারে ইসলামী বই, সিনেমা, সিডি, গান, নাটক, পোষাক, ব্যাংক, বীমা, টিভি, কোপারেটিভ এসে পড়েছে। সেদিন ইসলামি টিভি তে দেখলাম 'ইসলামি কনসার্ট' চলছে! সম্ভবত: ইংরেজীতে হামদ/নাত, প্রচলিত বাদ্যযন্ত সমেত। কাল দেখলাম কুমার শানুর 'লোকের মুখে রটে যাবে, আমাদের প্রেম কাহিনী' (মুল হিন্দি গান মনে নাই)র সুরে একদল পাজামা পান্জাবি পরিহিত শিল্পী 'ইসলামি গান' গাইছে। গানের কথা ভিন্ন (এবং ভালো)।
এধরনের নির্লজ্জ অনুকরন: মহান জীবনাদর্শ ইসলামের অপমান বৈ কিছু নয়। নিম্নমেধা ও মননের উদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের ইত্যকার 'ইসলামি ব্স্তু'র আবিস্কারকদের নিয়ত খুব ভালো জানি, কিন্তু মুলধর্ম ইসলামের জন্য এটা একধরনের পরাজয়। নি্য়তের পাশাপাশি ইসলাম শিক্ষা, কৌশল, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, সংগ্রাম কে প্রচন্ড জোর দেয়। আজ কথা বলি পোশাক নিয়ে-
ইসলামি পোশাক বলতে কোনো পোশাক নেই, থাকার কথাও না। লম্বা আচকান আরবি-আফগানি-পাকি পোষাক। আরবের জলবায়ু ও অভ্যাসের সাথে এর সম্পর্ক। বাংলার সাথে নয়। আরবের মানুষ শক্ত খাবার খায়। পানি কম পান করে। তাদের মল ছাগলের লাদির মত গুটি গুটি। তাই পানি দিয়ে শৌচকর্ম না করলেও চলে। আমাদের পরিস্থিতি ভিন্ন। ঝোল, পানি ছাড়া অচল। এহেন জবরজং আলখেল্লা মোটেও সুবিধের নয়। শখ করে ঈদে-উৎসবে পড়ি সে আলাদা কথা। প্লাস, শুধু নবী করীম (স নয়, তৎকালীন আবু জাহেল, আবু লাহাব এবং মুসলিম/ কাফের সব আরবই সেইম পোশাক পরতেন!
অথচ এহেন পোশাককে ইসলামি পোশাক বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করানো হচ্চে। শুধু তাই নয়, পান্জাবি ও টুপির ডিজাইন ভেদে সঠিক ও বেঠিক গোত্রের মুসলিম বলা হয় 'মাদ্রাসা' কমুনিটিতে। কওমি জাতের লোকগুলো তো এর বাত্যয় হলে- 'বিপথগামি' বলছে তাদের ছাত্রদের। পাচঁকল্লি (ওহাবি/কওমি), গোল(কড়া সুন্নি), জিন্নাহ(জামাতি ও মুসলিমলিগ), বিবিধ (আমরা বাকিরা) টুপিধারি লোক পাওয়া যাচ্চে দেশে। কাটা পান্জাবি পরার দায়ে (শিবির হওয়ার লক্ষন!) 'গোল' শ্রেনির সুন্নি/কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বহিস্কার করা হয়। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬