কতৃর্ত্বের মজা লুটা, একে ওকে হুমকি/মারধর, ফাও খাওয়া, ঠিকাদারের চাঁদা, অন্যান্য বখরা, আগে ভাগে সিট পাওয়া, ভালো রুম নিশ্চিত করন, শিক্ষকদের সমীহ আদায় (!), ভিসি/প্রোভিসির বাসায় দাওয়াত, নরমাল এপ্রোচে কাজ না হলে হুমকি দিয়ে সুন্দরী (বা যাহা পাওয়া যায়!) ছাত্রী দখল ও তৎপরবর্তী মধূর সম্ভোগ, বাসে সিট রিজার্ভ ইত্যাকার নানাবিধ সুযোগ সুবিধা অনায়াসে পেতে চান? তাহলে কয়েকজন বন্ধু মিলে ছাত্রলীগ (বা দল যখন যা সুবিধা) নাম দিয়ে হল গুলো দখল করুন। এটাই আসল কথা, বাকি সব কথার কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতীয়তাবাদ, মুজিব বা জিয়া ঐটা কইতে হয়। ক..ন..। ভরা তারুণ্যের ০৯ বছর (৪ বছর অনার্স+২বছর মাস্টার্স+ ৩বছর জ্যাম) বিরাট দুটি পাবলিক ভার্সিটিতে কাটিয়েছি। অনেক দেখেছি। ভোগেছি। এখন শুনছি বা দেখছি বা পড়ছি। একরত্তিও বদলায়নি। একটুও না।
ডাকসাইটে লীগ নেতা বন্ধু ছিল। ভয়ে ভয়ে কইলাম 'দোস্ত, মুজিব চেতনা জিনিসটা কি? একটু বুঝা তো। ভাল্লাগলে যোগ দিয়েই দিব।' বন্ধু শুধু মুচকি হাসি দিল। লীগ বন্ধুর অবস্থা দেখে দল বন্ধুর কথাও বুঝার বাকি রইলনা জিয়া চেতনা বলতে উনারা কি বুঝেন।
যাহোক, সাধারন ছাত্র হয়ে 'ভালো ছেলে' নাম কামাবেন। কামান। অসুবিধা নাই। তবে ঘাড়টা কিন্চিৎ নামিয়ে চলাফেরা করবেন। মিছিলে যেতে বলবে, যাবেন। জয়বাংলা, জিয়ার সৈনিক, নারায়ে তাকবীর যা বলার বলবেন। নিজেকে আগাগোড়া ভেড়া মনে করে চলতে হবে। টুকটাক গোস্তাকির কারনে চড়থাপ্পড় খেতে হলে অনুরোধ করবেন যাতে সিনিয়র কাউকে দিয়ে এক্সিকিউট করানো হয়। শিক্ষকরাও আপনার উপর খড়গ থাকবে। সতর্ক থাকুন। এমনকি কর্মচারিও ধমকাতে থাকবে নানা কারনে। টিভি রুমে পিছে বসতে হবে। ইচ্ছা না করলেও বিটিভি দেখবেন। ওখানে সরকারি বয়ান চালানো হয়-যা সুনাগরিকের জানা কর্তব্য। এমনকি আপনাকে চাঁদা/ এয়ানত/ কন্ট্রিবি্উসন এরুপ জিযিয়া দিয়ে হলে থাকতে হতে পারে। কারন- আপনি ২য় শ্রেনীর ছাত্র।
সুতরাং প্রথম শ্রেনীর ছাত্র হোন। দখল করুন। রিস্ক নিন। হাত, পা, ইট, লাঠি, রামদা, হকিস্টিক, কাটা রাইফেল, পিস্তল যার যা আছে হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়ুন। এতেই লাভ!
নিন্দুকরা শুয়োর বলবে, বলুক। ভেড়াদের কথায় কি আসে যায়। জায়গামত বাহবা পাবেন। চাই কি শিক্ষক, ভিসি, এম পি, মন্ত্রি ও হয়ে যাবেন। কপালে কি আছে কে জানে! গুড লাক।