ব্লগীয় স্বাধীনতা বনাম গঞ্জু গাবগাছ কথা
প্রিয় মডারেটার আমার একটা কবিতা মুছে দিয়েছেন এবং আমার স্ট্যাটাস মঈন থেকে সা’কা’ কিংবা সাঈদী এ নামিয়ে এনেছেন, অর্থাৎ জেনারেল থেকে পর্যবেক্ষনে। আর আমাকে সতর্ক করা হয়েছে আর বাড়াবাড়ি করলে সোজা ক্রসফায়ারে নেয়া হবে, মানে ব্লগ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি অপরাধী, তবে মরতে চাই না, আমি অপরাধ উগলাতে চাই, আমি স্বীকার করতে চাই আমার অপরাধের ভয়াবহতা, ব্লগীয় রাজত্বের রস, রৃপ, সুধা আরো কিছুদিন পান করতে চাই।
অপরাধ স্বীকারঃ-
কি ছিল সে কবিতায়, ওয়েল কিছুটা সত্য কথন (সত্য কথন আমাদের সমাজে অবশ্যই অপরাধ!) ছিল। আমাদের এই তৃতীয় বাংলায় গঞ্জু গাবগাছ নামে এক ছায়াধারী আছে সে এক ধরনের কোবতে লিখে, আপসুস তার কোবতে কেউ পড়েনা এ জন্য সে সবার উপরে মহাখাপ্পা, সে চেষ্টা অপচেষ্টার কোন কমতি রাখেনি তার কোবতে যাতে গছাতে পারে তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে। এক সম্পাদক একদিন কথা প্রসঙ্গে জানালেন এই খচ্চরের কোবতে তাদের অফিস ডাস্টবিনের সৌন্দর্য বাড়াতো। এই সম্পাদকের পায়ে সে লিটার লিটার তেল মালিশ করতো শুধুমাত্র সামান্য লিফটের আশায়, তেল মালিশ কার না ভালো লাগে বলুন, সেই সম্পাদক কিছুক্ষনের জন্য গলে গিয়েছিলেন, তেল মালিশে তিনি তেলাল (সিলেটি শব্দ শুদ্ধ বাংলা তৈলাক্ত) হয়ে দু একটা কলা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বাঁদরটার প্রতি অর্থাৎ তার দু একটা কবিতা ঐ সম্পাদকের পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। গঞ্জু গাবগাছ এতোই আপ্লুত হয়েছিলো যে পরবর্তী তে তার এক চটি কোবতে ঐ সম্পাদকের নামে উৎসর্গ করে ফেলে। আমাদের দুঃভাগা সম্পাদক জানতেন না যে তিনি দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষছেন যখন বুঝতে পারলেন তখন ছোবল বসিয়ে দিয়েছে, খচ্চরটার উদ্দ্যেশ্য সফল হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে আমাদের সেই সম্পাদক সাপের বিষমুক্ত হয়েছেন আর সাপের মুখে ছিটিয়ে দিয়েছেন পোড়া রশুন। খচ্চরটার সফলতা কি ছিল খানিকটা বলি তার সফলতা ছিল সে দু একটা ব্যাঙাচি অথবা চামচা তার চারপাশে জড়ো করতে পেরেছিলো।
সময় বহিয়া যায় তাকে এবং তার ব্যাঙাচিদের আর কেউ পুছে না। সে মনে মনে আবার ফন্দি আঁটে কি করা যায়, কি করা যায়। তার ধূর্ত মস্তিস্কে খেলে যায় খেলা নিজের ধূর্তামিতে নিজেই হেসে ফেলে। তাকে তো আর কেউ পাত্তা দেবে না তাই তার এক চামচাকে এগিয়ে দেই হঠাৎ ঘোষনা করে বসে তার এই চামচা তৃতীয় বাংলার শ্রেষ্ট কবি শুনে তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে হাসির রোল পড়ে (আপনাদের একটু স্বরণ করাই, কয়েক বছর আগে দাদাদের দেশের এক বানিজ্যিক সাহিত্য পুরস্কার আমাদের বাংলা একাডেমি কে দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে, বাংলা একাডেমি এমন পুরস্কার গ্রহনে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্রোধিত হয়, প্রতিশোধের মানসে সে পুরস্কার তারা বিতর্কিত লেখিকা তসলিমাকে প্রদান করে, দাদাদের এমন বেওকুফি/নিল্লর্জতায় তখনো সারা দেশ হেসেছিলো।) এই চামচা তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে জোকার হিসেবে পরিচিত। এই শিম্পাঞ্জি শ্রেষ্ট কবি ঘোষনা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, উঠে পড়ে লেগেছে তার চামচাকে দিয়ে একটা সংগঠন জাতীয় কিছু দাড় করাতে, এখন সে ও তার চামচা জনে জনে ঘুরে বেড়াচ্ছে কবিতা পরিষদ নামে তথাকথিত এক সংগঠনের সম্পাদক (সভাপতি নাকি সেই জোকার) পদের অফার নিয়ে, এই ভন্ডদের অফার ইতিমধ্যে আমি রিফিউজ করেছি তবুও তারা পিছু ছাড়ছে না। বাঁদরদের বাঁদড়ামি কত সহ্য হয় বলুন। তো তৃতীয় বাংলার কেউ বাঁদর কিংবা তার চামচাদের কবি বলে না বাংলাদেশের কথা না হয় বাদই দিলাম। (আপনাদের ভালো লাগলে এই বাঁদরের বাংলাদেশের কীর্তি কলাপ পরবর্তী পোষ্টে দেয়া যাবে। কোথায় কোথায় বাঁদরামি করেছে বিররণ সহ।) তো বিলেত বাংলাদেশ গেলো বাকী কি থাকলো, আছে বাকী আছে, দাদারা বাকী আছে এই শিম্পাঞ্জি এখন পানি পেতে দাদাদের কিংবা দিদিদের তেল মারতে শুরু করেছে, তো কবিতায় আমি এই কথাই লিখেছিলাম। দাদাদের তেল মারার খবর ছিলো কবিতার বিষয়বস্তু কিংবা আমার অপরাধ। প্রিয় পাঠক এ অপরাধ নিশ্চয় ভয়াবহ, যে কারণে খোদ মডারেটার কে খবরধারি করতে হচ্ছে। তবে ভিতরের খবর নিয়ে জানলাম এই বাঁদর তার চামচা এবং তাদের হাজারো নিক মডারেটারের কাছে ধন্যা দিয়েছে আমাকে উৎক্ষ্যাত অথবা ব্যান করার জন্য, কিছুটা সফল তারা হয়েছেও বটে। মডারেটার আমার চলা ফেরা রেস্টিক্টেড করে দিয়েছেন।
কুচ পরোয়া নেহি...
তবু আজ যতক্ষন দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে ক’রে যাব আমি—
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার [/si
পাদটিকাঃ- আমার স্ট্যাটাস তো এখন সাকা কিংবা সাঈদীর মতো, বাইরে বেরুবার অনুমতি নাই অর্থাৎ ব্লগের প্রথম পাতায় প্রবেশাধিকার নাই, তো এই টেক্সট কি কাজে লাগবে! ওয়েল, অবশ্যই লাগবে যাদের উদ্দ্যেশে লেখা তারা নিজেদের মুখচ্ছবি আরশিতে দেখার আশায় দিনে অন্তত ডজন খানেক বার আমার বাড়িতে ঢু মেরে যায়, অতএব আমার উদ্দ্যেশ্য অবশ্যই সফল হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৮