শরীর আর শরীরে যৌনমিলন হয়না। শাররীক অঙ্গের মাধ্যমে আত্মার সাথে আত্মার মিলন হলো যৌন সম্পর্ক। শক্তি দিয়ে "রেপ" করা যায়। কিন্তু অন্তরঙ্গ শাররীক মিলনের জন্য প্রয়োজন যার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করছেন তার প্রতি আপনার যত্নশীলতা এবং ভালবাসা। একজন নারী কিংবা পুরুষ তখনি যৌনতৃপ্তি অনুভব করেন যখন মানসিক ভাবে সঙ্গীর সাথে সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। আমার ভাষায় আমি বলি "ঘৃণা দিয়ে কেউ আমার একটা পশমও ছিড়তে পারবে না - কিন্তু ভালবাসা দিয়ে যদি কেউ আমার বুক কেটে কলিজা টান দিয়ে ছিড়ে নিয়ে যায়, আমি ব্যথায় উহ্ শব্দটি করবোনা"। যৌনসুখ শুধুমাত্র কিছু সেক্স ট্রিকস্ কিংবা পৌরুষ শক্তির উপর নির্ভর করেনা। যৌন জীবন সুখি করতে চাই মিলন পরবর্তী/পুর্ববর্তী সময়েও স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, আজকাল মোবাইল কিংবা অন্যকোন ভাবে পরিচিত হয়ে (বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত) যারা শাররীক সম্পর্ক করছেন তারা শুধুমাত্র "চরিত্র নষ্ট করছেন"। ভালবাসা ওখানে নেই। কারন ভালবাসায় "মন প্রধান - শরীর গৌন"। এখনকার বেশিরভাগ অবৈধ সম্পর্ককে আমি "গরম পানি বিসর্জন" বলে অবিহিত করতে চাই। আগে যে কাজ একজন যুবক টয়লেটে হাত দিয়ে সেরে নিত এখন নষ্টা নারী সহজলোভ্য হবার কারনে হাতের বদলে নারী শরীরযন্ত্র ব্যবহার করে সাদা রঙের গরম পানি টয়লেটের বদলে নারী যোনীতে (ভ্রম্যমান কমোড) ত্যাগ করছেন। পুরুষের ক্ষেত্রে টয়লেট কিংবা নারী দুটি স্থানের বীর্য বিসর্জনে অনুভুতি প্রায় একই - নারীর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তিনি "চরিত্রহীনা" খেতাবটি অর্জন করছেন। গ্যরান্টি দিয়ে বলতে পারি - গরম পানি বিসর্জনের এই প্রক্রিয়া নারী কিন্তু বিন্দুমাত্র উপভোগ করেন নি। কারন ছেলেটি মিলন স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে ছাদের সিড়ি ঘর কিংবা বন্ধুর খালী বাড়ী। তার মস্তিস্কে কাজ করে ভয়; এই বুঝি কেউ এসে গেলো, ধরা খেয়ে গেলো বুঝি - কোনরকম ১/২ মিনিটে কার্য সমাধা করে ছেলেটি ততক্ষনে জিপার আটকিয়ে দিয়েছে। সিড়ি ঘরের উক্ত কর্মে মেয়েটির কাজ ছিল পাজামা হাটু পর্যন্ত নামিয়ে অস্বস্তিকর কুকুরী ভঙ্গিতে হাটুর উপর হাত রেখে কিংবা সিড়ির রেলিং ধরে চোরের মত এদিক ওদিক চাহনি! তার শরীর যন্ত্রে মাঝের অংশে কি হচ্ছে তা অনুভব করার আগেই সুবিধাভোগী পুরুষের কার্য সমাধা হয়ে গেছে। ফলাফলঃ নারী নিয়ে নিলেন সারা জীবনের জন্য চরিত্রহীনা টাইটেল। পুরুষ পেয়ে গেলেন সারা জীবন উক্ত নারীকে যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে; এমনকি দশবছর পর পাঁচ মিনিটের দেখায় অন্তত স্তন টিপে দেবার সার্টিফিকেট।... ছিঃ ধিক্কার জানাই তাদের)।
এই কথা গুলোয় কিছু নারী ক্ষেপে গেছেন হয়তো এতক্ষনে। রাগের সাথে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চাইছেন আমাকে "সবদোষ নারীর?" আমি বলি হ্যঁ আপনার দোষ! কারন একটি ছেলে গহীন বনে একা একটি মেয়ের সাথে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না - যতক্ষন পর্যন্ত না মেয়েটি তা করার সম্মতি (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতে) না দেয়। একজন পুরুষ এবং একজন নারী একা থাকলে তাদের সাথে ৩য় ব্যক্তি হিসেবে শয়তান উপস্থিত হয়। গোপন কথা বলার জন্য আপনি খোলা পার্কে যেতে পারেন। ছাদের সিড়ির গোড়ায় কিংবা খালি প্ল্যাটে আসার মানেই হলো আপনি ছেলেটিকি টিকিট দিয়ে দিয়েছেন। ইদানিং অবশ্য পার্কগুলোরও অবস্থা কথিত এসব নষ্ট যুগল বাদ রাখেন নি। বেহায়াপনার চরম অবস্থা কমবেশি সবাই দেখেছেন। নারী না চাইলে কোন পুরুষের (দুর্দর্ষ খুনি হলেও) সাহস আছে খোলা পার্কে ওড়ানার নিচে হাতের কাজ সারে? বাংলাদেশে কোটি মানুষ বাস করে - আমি যাদের কথা বলছি তারা হাতে গোন। তাই দয়করে নিজের গায়ে নিতে চেষ্টা করবেন না (যদি আপনি ওরকম পুরুষ/নারী হন)। সব কথার শেষ কথা বিবাহিত বৈধ সম্পর্কের বিকল্প নেই। মনে ভয় থাকবেনা - জীবনে অপরাধবোধ তাড়া করবেনা। অন্য কেউ আপনার শরীর দিয়ে নোংরামী করতে পারবে না। বিধাতা তথাকথিত স্মার্টদের সুমতি দিন।
এই লেখাটি ফেইসবুক এর একটি পেইজ থেকে নেয়া

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


