somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নরপিচাশ থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে হবে নিজেকে!!!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছোট বালুকার কণা, আর বিন্দু বিন্দু জল দ্বারা যেমন মহাদেশ, সাগরের সৃষ্টি হয় তেমনি ছোট ছোট অপরাধ সম্পাদনকারীও কোন ক্ষেত্রেই বাধা না পেতে পেতে একদিন বড় ধরনের অপরাধী হয়। যে আজ লুকিয়ে চুরি করেছে, বাধা না পেলে কাল সে ছিনতাই, আর পরশু সগর্বে ডাকাতি করবে, ঠিক তেমনি আজ যে একটা মেয়ের সাথে যেকোনো ধরনের অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে, কাল সে এর চেয়ে বড় কিছু করবে এবং পরশু তার চেয়েও বেশি কিছু। বেশিরভাগ অপরাধই সংঘটিত হয় পারিবারিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে। কারণ সবাই দেখেও না দেখার ভান করে থাকবেন, কেউ আবার এক কাঠি সরেস হয়ে চোরের সাক্ষী মাতাল হতে যাবেন। তাহলে অপরাধটা কমবে কিভাবে?
আর যারা মাদ্রাসায় পড়া মানে হুজুর কুরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করবে আমাদের সন্তানদের ,সেখানে দিন দিন কি হচ্ছে তাতো আমরা নিজেরা পশ্রয় দিচ্ছ । হুজুর মানে সাত খোর মাপ । আল্লাহর সাথে তাদের কানেকশন তারা আমাদের বাচ্ছাদের কুরআনের আলোকে বরো করবে। ছুঁতে পারবেনা কোন পাপ তাদের। সবকিছুতেই সঠিক শিক্ষা দেওয়া হবে ।কতটুকু শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে তাতো আজ নিজের চক্ষে দেখতে পারছি । কোমল মতি বাচ্ছাগুলোকে আমরা নিজেরাই হিংস্র একটা থাবার মধ্যে দিয়ে আসছি ।শুনেছি আজকাল তাদের শরীর ও টিপি য়ে দিচ্ছ বাচ্চারা ।
এদিকে আজকের খবর হলো, নেত্রকোনার এক কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বেলালী পাঁচ থেকে এগারো বছর বয়সী ছয়জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে দীর্ঘদিন ধরে। সে নাকি যৌন নিপীড়ন শেষে ওই শিশুদের কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করাতো যেন কাউকে এই ঘটনা না বলে , বললে তাদের উপর গজব পরবে । মুসলমানদের কুরআন নিয়ে ও তামাশা করা যায় । কুরআন কে সাক্ষি রেখে যৌন পিপাসায় লিপ্ত ভন্ড হুজুর , জজ্ঞি রা দিন দিন তাদের সমস্ত অনৈতিক কাজ করেই যাচ্ছে। অপর দিকে কোন নারী যদি হিজাব বিহীন দেখে তাকে চুলকানির শেষ নেই। এখন তো তারা নতুন করে নিজের যৌন সাধ বাচ্চাদের মাঝে নিচ্ছে।
এই ভন্ড হুজুরা বাচ্চাদের কোন আবেদন ময়ি পোশাক দেখে জানোয়ার মানে পশুর মত তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে।
এরা নাকি আবার মানুষ হেদায়েত করার কারিগর, মুসলমানদের এক পবিএ দিন জুমার দিন মানে শুক্রবার ।এই দিনটাতে নাকি কওমি মাদ্রাসার প্রতিস্টাতা অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বেলালীর খুতবা শোনার জন্য ভীর হয়ে যায় ।আসলে দোষটা আমাদেরই আমরা এদের জজ্ঞি তৈরীর কারখানা, হুজুর নামে ভন্ডদের উগ্রপন্হী দের নির্মুল করে দেওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই । ভেঙে ফেলা উচিত ছিল তাদের আস্তানা তাহলে আজ এমন হতো না ।আদিম যুগ থেকে দিনের পর দিন ধর্মের দোহাই দিয়ে নারী কে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে । প্রত্যেক ক্ষেত্রে নারী কে ঘর বন্দি করে রাখতে চায় তারা আর যখনি নারী কোন ভাবে নিজেকে প্ররিবতন করতে চায় তখনি ঐ ভন্ড মৌলভী মানুষ নামের জানোয়ার থামিয়ে দেয়ধর্মের দোহাই দিয়ে । আজ ছোট্ট অবুঝ বাচ্চা গুলো তো তাদের কাছে ধর্মে শিক্ষা নিয়ে বরো হতে চেয়েছিল তাহলে কেন এই বর্বরতা , নিসংসতা !!!!
তাই প্রত্যেক মা বাবাদের বলছি আপনার আমার বাচ্চার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। প্রশাসন শুধু চাদর গায়ে দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা জন্য সকল অপরাধ ঢাকা দেয় । যে দেশে জজ্ঞি লালন করা হয় , জনসমক্ষ মানুষ হত্যা করা হয়, যে দেশে ৯ মাসের শিশু থেকে ৬০ বছরের নারী ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা পায় না।আর তাঁরাই আবার নতুন বেশে কোন এক মাদ্রাসায় খুতবা শুনাবে। তাই নারী কে বলছি....,,
গঠন গত দিক থেকে আলাদা হলেও আমি মানুষ।তুমিও মানুষ।এটা প্রত্যেক নারীকে তার মন থেকে বিশ্বাস করে নিজেকে ঐ সব নরপিচাশ থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখে নিজে কে বাঁচাতে হবে।কারন তাদের কোন জাত নেই, মা নেই, বোন নেই !!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×