দেশ যেখানে নিরব নিস্তব্ধ
হয়ে গিয়েছে চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ করোনাভাইরাসের কারণে । তাই মানুষের জীবন্ত লাশ আর হাহাকারের জন্য লকডাউন করে দিল প্রত্যেক দেশের সরকার ।লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা, পুরুষ মানুষেরা, ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘরে ঘরে পুরুষ নির্যাতন নিয়ে নানারকম ফানি পোস্ট শেয়ার করছি এবং এক ধরনের বিমলানন্দ পাচ্ছি। ‘পুরুষরা বন্দী এবং জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বন্দীদের সাথে ন্যায্য আচরণ করা উচিত’ – এ ধরনের পোস্ট আমিও পেয়েছি এবং হাহা রিঅ্যাক্ট দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? বাস্তবতা বলছে, লকডাউনের কারণে দুনিয়া জুড়ে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে বহুগুণে। বিশেষ করে আমাদের সোনার বাংলাদেশ । যেখানে এানের নামে মেয়েদের মান হানি করা হচ্ছে সাহায্য করার কথা বলে ধর্ষণ করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের জন্য আইসোলশনের ব্যবস্হা করা হয় আর সেখানে ধর্ষনের শিকার ।সি এন এন বলছে, সেদেশের বিশটি বড় শহরে লকডাউনের সময় গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার নারীদের পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে কল বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এক নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোভিড-১৯’এর ভয়ে তিনি বাইরে যাননি। এক চীনা নারী জানিয়েছেন, ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে তাঁর স্বামী অনেকবারই খারাপ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু লকডাউনের সময় একদিন স্বামী তাঁকে চেয়ার দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। ‘আমি আমার এগারো মাস বয়সী বাচ্চাকে এক হাতে ধরে আরেক হাত দিয়ে স্বামীর আঘাত ঠেকাচ্ছিলাম,’ পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি, ‘আমার পায়ে এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে ক্ষত হয়নি।’
চলমান লকডাউনের সময় ব্রিটেনের গার্হস্থ্য নির্যাতনের জন্য পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন আসা বেড়েছে ২৫ শতাংশ আর স্পেনে বেড়েছে ১৮ শতাংশ। ফ্রান্সের পুলিশ জানিয়েছে, সেদেশে লকডাউনের সময় নারী নির্যাতন বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ভারতে ২৩ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
আমাদের দেশে এরকম পরিসংখ্যান সংগ্রহের ব্যবস্থা আছে কিনা জানি না, থাকলে সম্ভবত ওসব দেশ থেকেও করুণ চিত্র বেরিয়ে আসত। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের নারীরা পুলিশ বা আর কাউকে অভিযোগ করাতো দূরে থাক, এটাকে বিধিলিপি হিসেবেই মেনে নেন। এটি মেনে নিতে তাঁদের শেখানো হয়েছে।
অতএব ঘটনা হচ্ছে, আমরা যখন ঘরে বসে পা নাচাতে নাচাতে পুরুষ নির্যাতনের কৌতুক আর ফ্যান্টাসি গল্প তৈরি করছি এবং হাহা রিঅ্যাক্ট দিচ্ছি, তখন কোথাও না কোথাও কোনো স্বামী স্ত্রীকে পেটাচ্ছেন, গালিগালাজ করছেন, গলা টিপে ধরছেন । কিন্তু এই লকডাউনের সময় এক পুরুষ কিন্তু jobless ভাসায় বসে relax আর একটা নারী সে কিন্তু আপনার আর আপনার সন্তানের জন্য 24 hours সময় দিচ্ছে আর Relax সেতো নির্যাতন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৬