জলবায়ু রাজনিতীটা আসলে আমাদের সবারই একটু বোঝা দরকার । যদিও ফ্রাংকলী স্পিকিং আমি নিজেও খুব ভালো বুঝি না । সারা বিশ্বে প্রগতিবাদী সমস্ত আন্দোলনই কিন্তু এখন অনেকবেশী ঝুকে আছে এই দিকে। কেন ? আমি খুব সহজ ভাবে বুঝি আগেতো আসে টিকে থাকার লরাই তারপর না সেটা উৎপাদনের লড়াই, অধিকার আদায়ের লড়াই। ভাই আগেতো বেচে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে । আরো মজার কতক বিষয় আছে জলবায়ু পরিবর্তন এর খারাপ প্রভাব এমন একটা বিষয় যা ধনি গরিব বুঝে আসলে আঘাত হানে না, আঘাত যখন আসে তা রাজা প্রজা বুঝে আঘাত করে না । তবে কিনা এইখানেও ধনির চেয়ে গরিব অনেক বেশী ভালনারেবল তার অবস্থানের কারনেই।
1800 দশক হেইতে 2010 সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে পরিমান কাবর্ন এমিশন ঘটেছে তার 70 ভাগের জন্য দায়ী বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র 20% এর প্রতিনিধিত্ব করে । আর বাকী 30 ভাগ কাবর্র্ন নিঃশ্বরনের জন্য দায়ী হইতেছি বিশ্বের যে তাবত বাকী 80 ভাগ জনগষ্ঠি আছে অথার্র্ৎ এই নাদান আমরা । ভাগ্যের কি নির্মমম পরিহাস র্কাবন ফলাইবেন উহারা আর তার ফলাফল ভোগ করিব আমরা !!!!!!! এটা নিশ্চয় বলার দরকার নাই যে জলবায়ুর এই রাস্টিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী হইতেছে এই কার্বন নিঃষ্মরন !!!!! আরো মজার বিষয় হইলো এইখানেও আমেরিকাই সকলের চাইতে আগাইয়া আছে উহারা একাই 25% কার্বন এমিশন ঘটাইতেছেন । জলবায়ু পরিবর্তনরে ফলে কি কি হইতেছে ওই আলোচনা আজবক আর করিব না । আজকে শুধু পিছনরে রাজনিতীটাই বলি। প্রতি বছর বিভিন্ন নামে ইউ এন এর আয়োজনে কতক রকম জলবায়ু সম্মেলনরে কথা শুনিতে পাইনা আমরা? ওই সব ফোরামে যেয়ে ভুক্তভোগি দেশ গুলা সমানে চিল্লাপাল্লা করতে থাকে তোমরা বড়লোক দেশ, কার্বন এমিশন কমাও তোমাদের কারনে আমরা কেন সাফারার হইব ???? ইউএন আমেরিকা, রাশিয়া এইসকল দেশের হাতে পায়ে ধরিতে থাকে আর বলিতে থাকে ভাই সকল তোমরা দয়া করিয়া উন্নয়নের নামে কাবর্ন নিঃশ্বরন আর বারাইয়ো না । মজার বেপার হলো যে যা বলুক ভাই আমেরিকার কথা একটাই “ভাই আমার উন্নয়ন এখানো অনেক বাকি আছে আমি কোন চুক্তি টুক্তি তে সাক্ষর করিতে পারিব না, আমার উন্নয়নরে এখোনো অনেক বাকি । বরং টাকার অংকে কত কম্পানসেট করিতে হইবে বল উহা দিয়া দিতেছি !!!!!! এই শুনিয়া চীন ইন্ডিয়া এবং অপরাপর আরো যে দেশ এই দায় এরাতে পারে না তারাও বলে আমেরিকাই রাজি হচ্ছে না আমরাতো কথাকার কোন ছাড় !!!!! গত দুই দশক হলো এই নাটকই চলিতেছে! আজকে সুন্দরবনের অবস্থা দেখে বুক কেপে উঠছে ? বিশাস করেন এর চেয়েও ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ঘনফুট ক্ষতিকর বজ্য প্রতিদিন প্রকৃতিতে নিশঃরিত হচ্ছে সো কল উন্নয়নরে নামে !!!! ওই জন্যই পরিবেশবাদী আন্দোলনের কোন আঞ্চল নেই, জাত নেই। পৃথিবী শুদ্ধলোক এর ভুক্তভোগী, পৃথিবীর আর বাকী সব মানুষ এই অল্প কিছু লোকরে লোভের মাসুল গুনছে !!!!!!!