ইদানিং দেখতেছি নারী দের কে নিয়ে কিছু ছেলের অনেক ভুল ধারনা আছে।
আমার এক বন্ধু আমার কাছে মেয়ে দের বিভিন্ন দোষ বলে। এক দিন বলতেছিল, ছেলে দের থাকে সেন্স অব হিউমার আর মেয়ে দের থাকে সেন্স অব রিউমার। যাই হোক প্রথম দিন আমি এটা কে একটা দুষ্টুমি ধরে নিছিলাম।
আর এক দিন বলল মেয়ে দের জন্ম শুধু ছেলে দের সেবা করার জন্য। এরকম বর্তমান যুগ এ একটা ছেলের মুখ এ এরকম একটা কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিল।
এক দিন আমরা পিকনিক এ যাচ্ছিলাম। পিকনিক এর অনেক গুলা আয়োজন ছেলেরা করল। আমি খুশি হয়ে আমার বন্ধু কে বললাম, দোস্ত তোদের আয়োজন এ আমি মুগ্ধ। তখন ও বলল, ছেলের দের কাজ এই মুগ্ধ হবি আর মেয়ে রা তো কোনো কাজ এর না। মেয়ে রা শুধু বোঝা হয়ে এসেছে। আমার গা টা জ্বলে গেল তাই আর সহ্য করতে পারলাম না। আমি বললাম, তুই জানিস তোকে যে জন্ম দিয়েছে সে কিন্তু এক জন নারী। যদি এই পৃথিবী তে কোনো নারী না থাকত তাহলে কোনো মানুষ এর ই জন্ম হত না। একটা মেয়ে কে অপমান করার মানে তুই নিজের মা কে ও অপমান করলি। তোর কথা অনুসারে তোর মা বোঝা। কোনো কাজ এর না। তুই কি মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, মেরি কুরি এদের কথা ভুল এ গেছিস। তুই কিভাবে বললি যে মেয়ে রা কোনো কাজ এর না। এখন মেয়ে রা চাকরি ও করে সাথে সাথে ঘর ও সামলায়। আর ছেলে রা তো শুধু চাকরি করে। আমাদের ইসলাম ধর্ম তেও নারী দের কে অনেক সম্মান এর পর্যায় রাখা হয়েছে। আর তুই একটা আধুনিক ছেলে হয়ে কিভাবে এসব কথা বলিস। টাইম মেশিন দিয়ে অতীত এ চলে যা। তুই তো তোর বউ কে ও সম্মান করতে পারবি না।
আমি এক নিঃশ্বাস এ কথা গুলা বলে গেলাম। তারপর তাকায় দেখলাম ওর মুখ টা কালো হয়ে আছে। ও বলল, আচ্ছা দোস্ত তুই রাগ করিস না। আমি আসলে এত কিছু তো ভাবি নাই।
এভাবে আমি এক জন কে বক্তৃতা দিয়ে নারী দের গুরুত্ব টা বুঝালাম। আমি এত সুন্দর ভাবে বুঝাব এটা ও আমি ভাবি নাই। আমি ওর চেহারা দেখে খুব মজা পাইছিলাম। আমার বন্ধু কোনো তর্ক ই করতে পারে নাই।
আমি এখন ও আশা করি সবাই এক দিন নারী দের গুরুত্ব টা ঠিক মত বুঝবে। আর কখন ও নারী নির্যাতন হবে না। জানি না, কবে আমাদের দেশ এ এটা সত্যি হবে।