somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথাচ্ছলে মহাভারত - ৩২

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরু বংশ কথনঃ

জন্মেজয় বলেন –যযাতি স্বর্গে গেলেন, পুরু রাজা হলেন। কিন্তু আর চারপুত্রের কি গতি হল!

মুনি বলেন –পিতার শাপে চারপুত্র থেকে জন্মালো, যদুর বংশ থেকে যাদবরা। তুর্বসুর থেকে যবনরা, দ্রুহ্যু থেকে ভোজবংশ, অনুর ঔরসে ম্লেচ্ছ অবতংস।

অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ পুরুর ঔরসে পৌরবরা, যার বংশ থেকে জন্মেজয়ের জন্ম।
তপ-জপ, যজ্ঞ-ব্রত ধর্মেতে তৎপর পুরুর সব কর্মই লোকের অগোচরে।

পুরুর রাজ পাটেশ্বরী পৌষ্ঠী। তাদের তিনটি সন্তান হয়।

প্রধান পুত্র প্রবীর রাজ্যভার পান। শূরসেনী হলেন তার স্ত্রী।

তাদের পুত্র মনস্থ্য এরপর রাজা হলেন। তারও তিন পুত্র হল।

সংহনন সিংহাসনে বসেন। রাণী হলেন মিশ্রকেশী। তাদের দশটি সন্তান হয়।

অনাবৃষ্টি রাজা হলে তারপর আসেন পুত্র মতিনার। তার চারপুত্রের মধ্যে তংসু উল্লেখযোগ্য।

ঈলিন হলেন তার পুত্র। তার পাঁচ পুত্র সন্তান।

এই ঈলিন ও রতনতারার প্রধান পুত্র হলেন বিখ্যাত দুষ্মন্ত মহারাজা। শকুন্তলা তার ভার্যারূপে পৃথিবী বিখ্যাত।

ভরত হলেন তাদের সন্তান। ভরতের গুণের শেষ নেই।

তার পুত্র হলেন ভূমন্যু।

ভুমন্যুর সন্তান সুহোত্র।

সুহোত্রের পুত্র হলেন হস্তী। ইনিই পত্তন করেন হস্তীনাপুর।

আজমীঢ় মহারাজ হস্তীর পুত্র।

তারপর রাজা হলেন আজমীঢ় পুত্র সম্বরণ। সম্বরণ রাজা হলে রাজ্যে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। এতে প্রচুর লোক মরতে থাকে। পাঞ্চালরাজ তখন তার রাজ্য জয় করে নেন। সম্বরণ পালিয়ে বনে আশ্রয় নেন। সিন্ধুনদীর কূলে হিমালয়ের কাছে সহস্র বছর লুকিয়ে থাকেন। শেষে বশিষ্ট মুনির কৃপায় আবার রাজ্য ফিরে পান। রাজা তখন নানা যজ্ঞ করেন, প্রচুর দান করেন।

রাজা সম্বরণ সূর্যেরকন্যা তপতীকে বিবাহ করেন। তাদের পুত্র হলেন কুরু। তাঁর নামানুসারে কুরুজাঙ্গল দেশ খ্যাত হয়। তিনি যেখানে তপস্যা করেছিলেন সেই স্থানই পবিত্র কুরুক্ষেত্র।

কুরুর পাঁচ পুত্রের মধ্যে জন্মেজয় রাজা হন।

তার পুত্র ধৃতরাষ্ট্র।

প্রতীপ তার সন্তান।

প্রতীপের তিন পুত্র-দেবাপি, শান্তনু ও বাহ্লীক। দেবাপি জ্যৈষ্ঠপুত্র সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন। শৈশবেই তিনি অরণ্যে গমন করেন।

দ্বিতীয় পুত্র শান্তনু রাজা হলেন। তার স্ত্রী দেবী গঙ্গার গর্ভে ভীষ্মের জন্ম।

বিবাহ না করে ভীষ্ম বংশবিস্তার করলেন না এবং সত্যবতীর সঙ্গে পিতার বিবাহ দিলেন।

তাদের পুত্র চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্য। বীর চিত্রাঙ্গদকে গন্ধর্বরা হত্যা করে।

ফলে অপ্রাপ্তযৌবন বিচিত্রবীর্য রাজা হন। কিন্তু সন্তান না হতেই তিনি মারা যান। শেষে ব্যাসমুনির কৃপায় তিন পুত্রের জন্ম হয়-ধৃতরাষ্ট্র, পান্ডু ও বিদুর।

ধৃতরাষ্ট্রের একশ পুত্রেরা ভাতৃ বিবাদে মারা গেল। বংশরক্ষার্থে পান্ডুর কুমাররা রাজা হন।

পান্ডুর পাঁচ সন্তান দেবতার বরে জন্মান। এদের মহিমা জগৎ বিখ্যাত।

পঞ্চপান্ডবরা হলেন-যুধিষ্ঠির, ভীম, ধনঞ্জয় অর্জুন, নকুল ও সহদেব।

অর্জুনের পুত্র সুভদ্রার গর্ভে জন্মান -অভিমন্যু। তিনি যৌবনে ভারত সমরে প্রাণ দেন। তখন তার স্ত্রী উত্তরা গর্ভবতী ছিলেন।

তাদের পুত্র হলেন পরীক্ষিত।

তার পুত্র মহারাজ জন্মেজয়। রাজার দুই পুত্র, শতানীক ও শঙ্কু।

শতানীকের পুত্র হলেন অশ্বমেধদত্ত।


এই পুরুবংশের কথা যে জন শুনে, তার পূণ্যে আয়ু বারে ক্ষণে ক্ষণে।
..........................................
উৎসর্গ: যৌথ ভাবে
সকল ব্লগার বন্ধুকে ও আমার মাউ ও তার যমজ সন্তানকে

..........................................
আগের পর্ব:
কথাচ্ছলে মহাভারত - ৩১
Click This Link
৪২টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×