somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুযোগের হাত ধরে

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ঠাকুরদা খুব রাশভারি লোক ছিলেন । একদম নিজের ভাবনায় থাকেন । তিনি বাড়ির প্রায় যে কোন কাজে সবাইকে ডাকতেন । সবার মতামত নিতেন । কিন্তু সমস্ত আলোচনার শেষে তাঁর ঠিক করা মতামতের ভিত্তিতে সেই কাজ করতেন ।
আর আমাদের মতামতের কোন দাম দিতেন না বলে আমি সবচেয়ে ছোট সদস্য হয়ে খুব রাগ করতাম । মা বাবাকেও রাগ করতে দেখেছি । কাজ ঠিক না ভুল তা সময় বলবে ? সেই বলা অনেক ভুল অনেক ঠিক ও হয়েছে । বাড়ির খাট আলমারি পূর্ব কোনে বা পশ্চিম কোনে যেখানেই রাখা যায় তাই ঠিক । যেহেতু ঠাকুরদা বলেছেন ।
পরে গ্রামের কোন কাজেও তাই হতে দেখেছি । অনেকে অনেক কথা বলেছে । উনি পাত্তা দেন নি । খালি বলত - ভাল কাজের কথা ভাবতে হবে । আর একটা জিনিস আমিও ধীরে ধীরে বড় হতে হতে লক্ষ্য করি , সবার মতামত নেওয়া হবে কিন্তু তাঁর নির্দিষ্ট করা লোকেরাই আগে সুযোগ পাবেই পাবে । তাতে সারা গ্রামে ধীরে ধীরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ল ।
ঠাকুরদা খুব একটা পাত্তা দিতেন না । কারন যে তাঁর সঙ্গে মত বিরোধে এসেছে সে ই সরে যেতে বাধ্য হয়েছে । ঠাকুরদার মতে হ্যাঁ বলার লোকও কম ছিল না ।
এই মান উৎকর্ষ ভাল এ সব ঠাকুরদা আর তার ...... ঠিক করেন , ফলে ভুল ঠিক থাকবেই । তাতে সবার সুযোগ কখনই সম্ভব নয় তাই এ ধরণের বিতর্ক চলতেই থাকবেই ।
অবিচল ঠাকুরদা সময়ের হাত ধরে এগিয়ে চলার বিভাজনে নিজেকে বদলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু নিজের সংস্কারে বাধা পেয়ে আটকে যেতেন ।
আমি দেখে বুঝেছিলাম তাই আমিও কিছুতেই বলতে পারি নি - না দাদু , ভাল লাগে নি । কিংবা কি গো এ কি যাচ্ছেতাই করলে ।
কিছুজন মুখ ফিরিয়ে নিলেও তাঁর ধারার মূল্যায়ন আমি করতে পারি নি ।
হয়তো তিনিই সফল , হয়তো তিনিই .........।
কিন্তু বিতর্ক পেছন ছাড়ে নি । সবাইকে নিয়ে চলতে হয় , সবার কথা শুনতে হয় , বিশ্লেষণ করতে হয় । তাতে কিছু ভুল থাকলেও ঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি ।
আমার বাবা এখানে অনেক খানি সফল । কাজ করতে প্রায়ই আমাদের সঙ্গে বসতেন । এমন কি আমি ছোট সদস্য হলেও আমার কথা শোনার জন্য আমি নিজেকে আরো বেশি করে সেই সম্বন্ধে জানার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি ।
ভেবেছি অনেক কিছু না জানলে আমি কি করে আলোচনায় কথা বলব । সেই সব আলোচনায় আমারও অনেক শেখা হয়ে যেত ।
বাবা আরো বেশি করে তাঁর বিপক্ষে যিনি বলতেন তাঁর সঙ্গেই তিনি আরো গভীর আলোচনা করতেন । তাঁর না কে নানান বিশ্লেষণের আতস কাচে ফেলে দেখতেন বুঝতেন আর খুব শিখতেন । ফলে বাবার কাজে জীবনমুখীতার স্পষ্ট ছাপ দেখতে পেতাম ।
আর সবার হাত ধরে সুযোগ খুব জীবনের কথা বলত ।
-০-০-০-
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×