somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় অভিনেতা- Tom Hanks সমগ্র। বিস্তারিত আলোচনা, টপ ৫, মুভি রিভিউ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সব থেকে প্রিয় অভিনেতা সেরা ১০ এ তার অবস্থান তৃতীয়। সাদামাটা অভিনয়ে তিনি অনন্য। এবং তার অভিনিত কিছু মুভি জাষ্ট বোমা। কিছু কিছু মুভি এতটাই ভালো লেগেছে তা আর বলে প্রকাশ করা যাবেনা।



জন্ম ৯ই জুলাই, ১৯৫৬। দুইবার একাডেমি এ্যাওয়ার্ড জয়ী একজন আমেরিকান অভিনেতা। ড্রামাটিক অভিনেতা হিসেবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের আগে তিনি কমেডি ছবিতে কাজ করতেন। তিনি সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কৃত অভিনেতাদের অন্যতম। তার মোট সংযুক্ত আয় ৩.১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি এবং মোট আন্তর্জাতিক আয় ৫.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

হ্যাঙ্কস ক্যালিফোর্নিয়ার কনকর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এ্যামস ম্যাফফর্ড হ্যাঙ্কস ছিলেন ইংরেজ ও ওয়েলসি্ওদের রক্তের উত্তরাধিকারী দক্ষিণাঞ্চলের একজন বাবুর্চি। মা জ্যানেট মেরিলিন ফ্র্যাগার ছিলেন হাসপাতাল কর্মী এবং তিনিও ছিলেন আধা ইংরেজ বংশোদ্ভূত। হ্যাঙ্কসের শৈশব ছিল একঘেয়ে মধ্যবিত্ত জীবন যেখানে তার খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী বা প্রতিভাশালী হওয়ার প্রমাণ মেলেনা। তার বয়স যখন পাঁচ তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তারা বারকয়েক পুনঃবিবাহ ও বিচ্ছেদ ঘটান। পরবর্তীতে তার বাবা অনেক বড় পরিবারসহ এক এশিয়ান মহিলাকে বিয়ে করেন।
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর হ্যাঙ্কস, তার বড় ভাই ল্যারি ও বোন চলে যান বাবার সাথে, যিনি তখন বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে বাবুর্চির কাজ করছেন। যখন তারা ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে স্থায়ী হলো তখন হ্যাঙ্কসের বয়স আট। হ্যাঙ্কসের ছোট ভাই তার মায়ের সাথে থেকে যায়।

তিনি একটা স্কুল নাট্যদলের অর্ন্তগত ছিলেন। অভিনয় ক্লাস চলাকালেই হ্যাঙ্কসের সাক্ষাৎ হয় ভিনসেন্ট ডোওলিং-এর সাথে, যিনি ছিলেন ক্লিভল্যান্ডের গ্রেট লেকস্ নাট্টত্সবের প্রধান। ডোওলিং-এর উপদেশ মত, হ্যাঙ্কস উত্সবে শিক্ষানবিস হিসেবে যোগ দেন। এটি প্রলম্বিত হয়েছিল তিন বছরের অভিজ্ঞতায়, যেখানে আলোকসজ্জা হতে মঞ্চ সজ্জা হয়ে মঞ্চ ব্যবস্থাপনা সকল বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এখানে এতোটাই মনোযোগ ও দায়িত্ব নিয়েছিলেন যে কলেজ থেকে তিনি ঝরে পরেন। কিন্তু তিন বছর পরে, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন যে তিনি একজন অভিনেতা হবেন। অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ক্লিভল্যান্ড কৃটিক্স সার্কেল এ্যাওয়ার্ড পাওয়া, যা শেক্সপিয়ারের টু জেন্টলম্যান অফ ভেরোনায় প্রটিয়াস চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন। দু-একবার তিনি খল চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।

১৯৭৮-এ তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে যান, সেখানে অভিনেত্রী-প্রযোজক সামান্থা লেয়েসকে তিনি বিয়ে করেন। সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে মেয়ে হয়। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পরও তিনি নিয়মিত সন্তানদের দেখাশোনা করেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে কিছুকাল তিনি রিভারসাইড শেক্সপিয়ার কোম্পানিতে অভিনয় করেন। এসময়ই হ্যাঙ্কস একটি কম বাজেটের ছবিতে কাজ করেন এবং মাযেস এন্ড মনস্টার নামের একটি টেলিছবিতে কাজ পান। তিনি বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দেয়া অব্যাহত রাখেন এবং অবশেষে এবিসি টেলিভিশনের একটি পাইলট বোজম বাডিজ-এর একটি চরিত্রে সুযোগ পান।

মিডিয়ায় ঢোকার প্রথম দিকে টম হ্যাঙ্কস কে কেউ ভালোভাবে নেয় নি। প্রথম দিকে বেশ অবহেলিত হন। যদিও শুরুর দানগুলো ওতটা ভাবার মত ছিলনা।

Philadelphia মুভি টম হ্যাক্সকে একটা মাধ্যম দেখিয়ে দেয় এবং তাকে চিনাতে শেখায়। তার কিছু পরই আসে Forrest Gump । এ্টা থেকে দর্শক এবং সমালোচক ঊভয়ই বুঝতে পারেন টম হ্যাক্স কি জিনিষ। একাডেমি সহ আরো বিভিন্ন্রকম পুরস্কার ঘরে তোলেন তিনি এই মুভি দিয়ে। পরে একটার পর একটা টাইম বোম্ব দিয়েছেন তিনি। তার ভিতরে তাকে আরো সমৃদ্ধ করে স্পেল্বার্গের Saving Private Ryan । The Green Mile দিয়েও তিনি তাক লাগিয়ে দেন। সাধারনত দর্শক ড্রামা এড়িয়ে চলে। অথচ স্রোতের বিপরীত জেনার ড্রামাই হ্যাকন্সের একমাত্র সম্বল এবং তিনি সফল। তার প্রতিটি ড্রামা দর্শক গোগ্রাসে গিলেছে। সমালোচকরাতো বটে।

টম হ্যাক্সের সেরা ৫ ফিল্ম ( আমার মত )


Forrest Gump

The world will never be the same once you've seen it through the eyes of Forrest Gump.

একটি পরিস্কার জীবনের প্রতিচ্ছবি। স্থানে স্থানে শিক্ষা। চরম অনুপ্রেরনামুলক মুভি। একটা লোক সব হারিয়ে আবার সব পেয়ে টিকে থাকার যুদ্ধ। নিজেকে বাচিয়ে রাখার বিলিয়ে দেবার যুদ্ধ এই মুভির ড্রামা। নিজেকে ভালোবাসা ও ম্যানকাইন্ডের মধ্যে জীবনের সফলতা।

The Green Mile

Paul Edgecomb didn't believe in miracles. Until the day he met one.

কাহিনি স্টিভেন কিং এর। অসাধারন মুভি। একটা প্রিজন ড্রামা। পুলিশ অফিসার হিসেবে টম হ্যাংক্স। এবং আরো কিছু চরিত্র। তারা খেয়াল করে জেলে কয়েকজন আসামীর ভিতরে একজন খুনি কিন্তু তার ভিতরে স্পেশাল কিছু আছে। আর সেই স্পেশাল থ্রিলার নিয়েই মুভির ড্রামা। এক কথায় অসাধারন।

Saving Private Ryan

In the Last Great Invasion of the Last Great War, The Greatest Danger for Eight Men was Saving... One.

স্পেল্বার্গ মুভি। বুঝতেই পারছেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের উপরে আমেরিকান ভিউ থেকে একটা ড্রামা মুভি। জার্মান যুদ্ধে আমেরিকান এক পরিবারের চার ভাউয়ের তিন ভাই মারা যায়। একজন নিখোজ। ধারনা করা হয় সে বেচে আছে কিন্তু বন্দি অবস্থায়। আর তাকে মুক্তির উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটা টিম। কাপ্টেন থাকে টম হ্যাঙ্কস। আর নিখোজ ছেলে রেয়ান। ডেমন।

Toy Story trilogy

Be The First To Meet Fourteen New Characters.


এনিমেশন ফিল্ম। মুল চরিত্রে ভয়েস দিয়েছেন টম। এবং এই মুভিটি প্রশংসা করার মত। যে কারো কাছে মুভিটি ভালো লাগবেই।


Catch Me If You Can

The true story of a real fake

এটাও স্পেল্বার্গের মুভি। টম হ্যংক্স এবং ডি কাপ্রিও। বুঝতেই পারছেন। চোর পুলিশ খেলা। অসাধারন একটা থ্রিলার।

টম হ্যক্সের আরো বেশ ভালোকিছু মুভিঃ

Angels & Demons

The Da Vinci Code

The Terminal

Road to Perdition

Cast Away

Apollo 13

Philadelphia


মুভি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট সংকলন-আপডেটিত-
১৯টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×