গত দুই দিনে দেখা হলো তিনটে মুভি। যদিও সেরকমের রেটিং এর ফিল্ম দেখা হয় নাই। আমি চাচ্ছিলাম কিছুটা বানিজ্যিক আর টাইম্পাস মুভি দেখে বিনোদিত হতে। আমি ৭৫ % হতে পেরেছি। কিন্তু আমি আরো বেশ আশা করেছিলাম। যাই হোক শেষ দেখা হলো দুটা হলিঊড। একটা বাংলা। এগুলো আলাদা আলাদাভাবে সিনেঘরে প্রকাশিত।
The Adjustment Bureau
Bridge to Terabithia
Bipasha ( Bengali )
The Adjustment Bureau-
রোমান্স থ্রিলারের মিশেল:
The Adjustment Bureau ২০১১ সালে রিলিজকৃত একটা রোমান্স,থ্রিলার ফিল্ম। পরিচালনা করেছেন George Nolfi এবং অভিনয় করেছেন Matt Damon, Emily Blunt । এটাই পরিচালকের প্রথম কাজ। এর আগে তিনি বর্ন আল্টিমেটাম এবং অসেন ১২ এর মত ফিল্মগুলোতে স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন। অস্কার বিজয়ী ম্যাট ডেমনের ফিল্ম মানেই প্রেরনাময়ী। স্বাভাবিক। ডেমন এর আগে দ্যা বর্ন ট্রিওলজি, ডিপার্টেড, গুড উইল হাংটিং ইত্যাদি সেরা ফিল্গুলোতে বেশ প্রতিপত্তের সাথে অভিনয় করেছেন। তাছাড়া হলিঊদের বর্তমান সময়ের সেরাদের অবশ্যি একজন।
মুভিটিকে কিছু্টা সাইফাইয়ের ভিতরে থেকে, অন্যরকমের একটা লজিকে কিছুটা রোমান্সের আবহে গড়ে তোলা হয়েছে। ১.৪৫ মিনিটের ফিল্ম। মোটামুটি ভালোলেগেছে ফিল্মটা। বান্যিজিক পাশাপাশি টাইমপাস মুভি। রানিং টাইমের সাথে মুভির স্পিড বেশ ভালো ছিল।
আসলে আমরাকি নিজেকে কনট্রোল করতে পারি। আমরা কি নিজের উপর নির্ভরশীল ? নাকি অন্যদের উপর আর অন্যরা আমাদের উপর ? আমরা বেচে থাকতে চাই কেন ? মৃত্যুভয়, অভ্যাস নাকি দেয়ালে পিট ঠেকে তাই ?
নাকি বাচার জন্য বাচতে চাই ? নাকি বাচাবার জন্য বাচতে চাই ? নাকি বাচাবাচি দেখতে চাই তাই?
উত্তর যাই হোক না কেন মূল ভিত্তি কিন্তু একটা তাহল মায়া । আর এই মায়ার সর্ব্বৃহত এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ভালোবাসা। আর এখানেই সে ব্যাপারটা আলোচনা করা হয়েছে। যদিও ধোয়াটে।
ডেভিড নরিস (ম্যাট ডেমন) সম্প্রতি সরকারি কর্মকতা হতে যাচ্ছে। তিনি বেশ সুকৌশল, আশাবাদি এবং কনফিডেন্টলি সময় কাটাছেন ইলেকশনের জন্য। আর ঠিক এই সময়ে তার সাথে পরিচয় হলো সুহাসিনি, মায়াবী , চৌকস ডান্সার এলিসের সাথে। প্রথম দেখা। পরে আবার । কিস, থেকে রোমান্সে গড়ালো ভালোবাসা।
এই সময়ে হঠাত একদল লোক তাকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে বোঝানো হয় যে তারা নিয়ন্ত্রকারী। তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে একটা সুনিদ্রিষ্ট নিয়মের ভিতরে আবর্তিত করে, মানেজার নামক এক লোক একটা বইয়ে এই প্লান একে রেখেছে। ফলে বই অনুসারে সবাই আবর্তিত হবে। এবং ডেভিডকে তাদের কথা মত চলতে হবে অনথ্যায় তার মেমরি ইরেজ করে দেবার ভয় দেখানো হয়। ড্রামার এক পর্যায়ে তার ওয়ালেট থেকে এলিসের দেওয়া কন্টাক্ট নং পুড়িয়ে ফেলা হয়। আর তাকে দেওয়া প্লানের সহিত মুক্তি।
এর পর থেকে আগামী তিনবছর ডেভিড প্রতিদিন বাস্টান্ডে এলিসের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু পায় না। হঠাত একদিন দেখা মিলে যায়। শুরু হয় আমার প্রেম কাহিনি। আর নিয়ন্ত্রঙ্কারী টিম তাকে বাধা দেবার চেষ্টা করে আর ডেভিড বাধা এড়িয়ে প্রেমে গলে যায়। আর এভাবেই এগিয়ে যায় ড্রামা রোমান্স আর থ্রিলিং। সেকমের কোনো প্লট না হলেও বিনোদন আছে মানতেই হবে।
এখানে একটা স্পেশাল লজিক দেখানো হয়েছে বিভিন্ন আয়োজনে। ব্যাপারটা এরকম যারা নিয়ন্ত্রন কারি তারা চাইলেই যেকোনো স্থানে ট্রান্সফার হতে পারে। যার মাধ্যম হিসেবে তার দরজা ব্যাবহার করে। এবং এই মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য তাদের একটা টেকনিকাল হ্যাটের দরকার হয়।
এখানে যে ট্রান্সফারের ব্যাপারটা দেখেনো হয়েছে এই একই এইডিয়া Hows Moving Castel নামের একটা আনুমেশন ফিল্মে আগেই দেখানো হয়েছে। তাই যেহেতু এটা ইউনিক না সেহেতু এখানে কোনো প্রকার প্রশংসা আনা যাচ্ছে না।
Personal Rating: 6.5
Personal Grade : B
Personal Quote :সাইফাই রোমান্সের শুরু এখানেই।
Bridge to Terabithia
কল্পনার মতই যে রাজ্য:
রুপকথা কার না পছন্দ। কার না ভালোলাগে ডিজনীর মুভি। কার না ভালোলাগে ছেলেবেলার আজেবাজে কল্পনার সংস্করন। ডিজনী আমাদের সাইকোলজি বোঝে। বোঝে আমার দুর্বলতা কোথায়। তাইতো কত শত মুভির ভিড়ে সেই কবে থেকে ডিজনী নিজের তৈরী করা স্থান দিন দিন বাড়িয়ে চলছে।
Bridge to Terabithia । একটি কল্পনার গল্প। গল্প সপ্নের। একটা শিশুতোষ হৃদয়ের পরিপুর্ন আবেগের গল্প। গল্প পেয়ে হারানোর, গল্প বিজয়ের। যদিও পুরো মুভিতে বাচ্চা বাচ্চা একটা ভাব ছিল তারপরও দেখতে বেশ ভালোলেগেছে।
Bridge to Terabithia ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স ও ওয়াল্ডেন মিডিয়ার জন্য Gabor Csupo পরিচালিত রূপকথার চলচ্চিত্র। ক্যাথরিন পেটারসন রচিত একই নামের উপন্যাস থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পায়, আর নিউজিল্যান্ডে মুক্তি পায় জুনের ১৬ তারিখে। মুক্তির সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বক্স অফিসে এটি দুই নম্বর স্থানে ছিল। স্কুল ছাত্রদের একে অপরের উপর বলপ্রয়োগ ও খুব বিদসংকুল কিছু পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলার জন্য এমপিএএ থেকে ছবিটিকে PG (অভিভাবকদের নির্দেশনা প্রয়োজন) রেটিং দেয়া হয়।
জেসি "জেস" অ্যারন্স (জশ হাচারসন) ১১-১২ বছর বয়সী আত্মকেন্দ্রিক ছেলে। নিজের উৎসাহে চমৎকার ছবি আঁকতে শিখেছে। স্কুলে বা প্রতিবেশে কখনই কোন বন্ধু পায়নি। লেসলি বার্ক (আনাসোফিয়া রব) নামের ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে তাদের স্কুলে নতুন ভর্তি হয়। লেসলির বাসাও জেসের বাসার ঠিক পাশে। শুধু ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় জোড় করেই অংশ নেয় লেসলি এবং সবাইকে হারিয়ে প্রথম হয়। দ্বিতীয় হয় জেস। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয়। অচিরেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। প্রতিদিন জেস, জেসের ছোট বোন মে বিল আর বার্ক একসাথে স্কুল বাসে উঠে। আসেও একসাথে।
লেসলির মূল বৈশিষ্ট্য অসাধারণ কল্পনাশক্তি আর উন্মুক্ত মন। জেস আর লেসলি বাড়ির পাশের বনে এক নতুন রাজ্য আবিষ্কার করে। লেসলির কল্পনার মতই সে রাজ্য। লেসলিই সে রাজ্যের নাম দেয় টেরাবিথিয়া। টেরাবিথিয়ার রাজা হয় জেস, আর রাণী হয় লেসলি। টেরাবিথিয়ার অদ্ভুত সুন্দর সব জীব-জন্তুর সাথে তাদের পরিচয় হয়। শত্রুপক্ষের সাথে তারা যুদ্ধ করে, টেরাবিথিয়ানরা সে যুদ্ধে তাদেরকে সহায়তা করে। এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যায়। সিনেমার শেষে তাদের সেই রূপকথার রাজ্যে অনেক পরিবর্তনই দেখা যায়, কেউ রাজ্য ছেড়ে চলে যায়, আবার নতুন কেউ এসে যোগ দেয়।
Personal rating : 6.2 +
Personal Grade : B
Personal Quote : IMdb Rating 7.3 . Rottentomatoes 85 % Freash .
টেনশনের কিছু নাই ভালো টাইম্পাস হবে।
বিপাশা- ১৯৬২
উত্তম-সুচিত্রার একটা মুভি:
সেরা জুটির কথা উঠলেই উত্তম সুচিত্রার নাম যে কেউ আগে বলবে। কেন ? কারন মুভি দেখলেই বোঝা যায়। এত জোশ ক্যামেষ্ট্রি। সত্যিই রেয়ার !!!
ইদানিং উত্তম সুচিত্রার কিছু মুভি দেখা হয়েছে। একটা একটা করে সিবগুলো মুভির রিভিউ দিয়ে দিব। ডাউনলোড লিঙ্কসহ। ডাউনলোড লিঙ্ক নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমার কাছে সব সংগ্রহ করা আছে। দরকার পরলে আপ্লোড করে দিব।
আজ আমাদের কথা হবে উত্তম-সুচিত্রার একটা মুভি যার নাম বিপাশা। নায়িকা ভিত্তিক মুভি হলেও নায়কের চরিত্রের গুরুত্ত্ব বেশি। পুরোনো মুভি দেখে যারা নাক কোচকান তাদের জন্য আমার কিছু সাজেশন আছে। সেই বিষয়েও আগামীতে লিখবো। যাই হোক কাহিনি হালকা জেনে নেই।
দিবেন্দু ( উত্তম কুমার ) ঘনঘটা চাকুরিজীবি। পাশাপাশি প্রতিভাবসত নাট্যরচনা এবং পরিচালনা করে থাকেন। বেশ সম্পত্তির মালিক তিনি। বাবার সুত্র থেকে।
আর বিপাশা একটা খ্রীষ্ট বোডীং কলেজে পড়ে। এতিম এবং জীবন যুদ্ধেবাজ।
ড্রামাতে পরিচয় তাদের। দেখা পরিচয়। ভালোবাসা। বিপাশার বিতৃষ্ণ অতীত। তাই সেই চায় সাহায্য, পাশের মানুষ, ভালোবাসা। যা তার থকে সর্বদা দূরে থেকেছে অথবা নিয়তি কেড়ে নিয়েছে।
ভালোবাসা যখন তীব্র রুপ নীল, তখন চলছে বিয়ের আয়োজন। ওদেরই। ভালোবাসার মিলন। আহা কি প্রশান্তি। কত আয়োজন, মানসিক, শারিরিক।
কিন্তু ঐ যে নিয়তি। বিয়ের সন্ধায় দিবেন্দু অনুপুস্থিত। কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কই কই কই গেল সে ?
একতা চিঠি পেয়েই দিবেন্দু ছুট লাগিয়েছে। আর চিঠি প্রেরকের কাছে গিয়ে জানতে পারলো।
দিবেন্দু ???
সে তার বাবা মার প্রতারনার ফলাফল। অবৈধ।
রাগে, দুখে , অভিমানে সে নেমে গেল রাস্তায়, উদ্দেশ্য তার মাকে খুজে বের করা।
আর এদিকে বিপাশাও দিবেন্দুকে খুজে ফিরছে,
হলো দেখা, করুন ড্রামা।
আর অপেক্ষার ক্লাইমাক্সের।
ওই সময় তার উপর বাংলা ফিল্মে এই টুইষ্ট সত্যি অসাধারন।এটা সেরকমের একটা মুভি। নায়কিয়তার ছীটে ফোটা নেই। অসাধারন সব লজিকে মুভি ভরপুর। টানটান সংলাপ পুরোটাতে সাহিত্যের একটা ষ্পষ্ট ছাপ পাওয়া যায়।
Personal Rating: 7.2
Personal Grade : A-
Personal Quote : ভালোবাসা বেশ অহংকারী।
**************************************************************************
সম্প্রতি দেখা তিনটি মুভি পর্ব- ৪
The Departed (2006)
Taxi Driver (1976)
Rear Window (1954)
সম্প্রতি দেখা তিনটি মুভি পর্ব- ৩
Open Your Eyes (1997)
House of Usher (1960)
The Asphalt Jungle (1950)
সম্প্রতি দেখা তিনটি মুভি পর্ব- ২
Fast Five 2011
Psycho (1960)
The Chronicles of Narnia: The Voyage of the Dawn Treader
সম্প্রতি দেখা তিনটি মুভি পর্ব- ১
Pirates of The Caribbean on Stranger Tides
X-Men First Class
Thor 2011
সময় করে আমার ব্লগখানা ( সিনেঘর ) একবার ঘুরে আসবেন