০১.
প্রগলভ দ্রুত পরিচিতি এনে দেয় - রচনামিস্ত্রিরা এই জায়গায়ই বিভ্রান্ত হন। এ ধারার দু'জন লেখকের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রয়াত হুমায়ুন আজদ এবং তসলিমা নাসরিন। দু'জনেরই টার্গেট সমান। দ্রুত এবং যেকোনো কিছুর বিনিময়ে পরিচিতি আনতে হবে। অথচ তাদের এ ত্রুটি ছাড়া অনেক গুনও আছে, ছিল। আমরা সেদিকে না তাকিয়ে তাদের প্রগলভ আচরণই ধারণ করি বেশি।
দেখা গেছে, চর্বিতচর্বন খুব সহজে পাঠ্য হয় - নিজেই নিজের মাংস চিবিয়ে খাই প্রতিদিন। এসব কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ছায়ার সাথে বালকসুলভ বাক্যালাপে জমজমাট হেচ্চু তুলে।
০২.
গাঞ্জাখুর আর মদখুর বললে কারোর উলন ফেটে পড়ে। অথচ জাগভর্তি মদখেয়েও তারা সুস্থ হবার সবক শোনান। এমন হাস্যকর বয়ানে আমরা বিদ্ধ হবো না বলেই আমাদের পাপবিদ্ধ করতে চারপাশে মাতালরাত্রি হাঁটে। আমরা সচকিত ফিরেও তাকাই না দেখে আফসুসে তাদের গাড় বেঁকে রয়।
০৩.
একজন ইঞ্জিনচালিত কবির সাথে বেশ পরিচয় হয়ে উঠেছিলাম। একদিন বললাম, হিসবাকষে কবিতা লিখেন কষ্ট হয় না? বেকুবের উত্তর ছিল, সেটা ক'জন আর বুঝে। তবে একটু ধাধাঁ রেখে দেই বলেই তো মুর্খরা আমার কবিতায় হাবুডুবু খায় আর ডিকশনারি দেখে শব্দ খুঁজতে থাকে।
০৪.
বিলেতের বাঙালি কবিদের নিয়ে বেশ কথা চাউর করছে একদল কাকেশ্বর। তাদের কর্কশ আওয়াজে এখন নিজেদেরই কান ফেটে পড়েছে। কবি রোদেলা খাতুনের ব্লগে এসব পড়ে খানিকটা জানতে পারলাম যে, তাদের ঘুম এখনও আসে না। রোদেলা যতই বিরক্ত প্রকাশ করেন পিছুদার আর লগছাড়তে চায় না। কী অসুস্থ প্রয়াশ। তুমি গিলবে না তোমাকে গিলিয়ে ছাড়বো - এই হলো তাদের স্বভাব। হায়, সত্য মানুষ আপনা-আপনি গ্রহণ করে - জোর করতে হয় না।