“সুন্দর বন গেছিলাম, যা মজা হইছে বন্ধু.............. তোরা তো গেলি না এত্তো করে কইলাম” - আমার বন্ধুর কথা। আমি জানি এই কথার যে আবেগ তা তার মনের গভির থেকেই বের হয়েছে। কারণ আমি জানি প্রকৃতি মানুষকে কতটুকু আবেগপ্রবন আর কতটুকু বিষুদ্ধ করে তোলে।
সুন্দরবন, প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য। সময়ে সময়ে তা যেন বদলায়। এক এক সময় তার রূপ এক এক রকম। সূর্যোদয়ের সময় শত শত পাখির ডাক, ওড়াউড়ি, দু-একটি নৌকার আবার আঁধারের বুক চিড়ে বেরিয়ে আসা পাগোল করে দেবে আপনাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের তাপও এখানে বাড়ে। আর তাই এখানটায় শীত কালটাই ভ্রমনের উপোযোগি বলে আনেকেই মনে করেন। তবে সুন্দরবনকে দেখাই যাদের একমাত্র লক্ষ তাদের কাছে আবশ্য গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, রোদ, কাঁদা এগুলো কোন ব্যপার না।
পশু পাখির দেখা পেতে হলে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে বনের গভিরে।ঐ দেখুনে একটি কুমির রোদ পোহাচ্ছে (আপনার ভাগ্য ভাল তো! তবেই দেখতে পাবেন)। বিকাল বেলা পাখিদেখার জন্য সব চাইতে উপযোগি মনে হয়েছে আমার। মাছরাঙ্গা, চিল, ঘুঘু, টিয়া, সারস আর বক। অন্তত কিছুতো বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাওয় চাই! তাই শেষ বিকেলে তাদের একটু বেশিই ওড়াউড়ি। ভোঁদোর, কাঠবিড়ালি, হরিন এদের সাথেও আপনার দেখা হবে।
বিকালের হাটে যাচ্ছেতো কারো সাথে দেখা না হলে ভাববেন সে আগেই হাটে চলে গেছে।
দলেবলেই সুন্দরবন ভ্রমন করা ভাল। এতে কারে কিছু সবিধা পাওয় যায়। লঞ্চ ভাড়া ইত্যাদিতে। লঞ্চে বিদ্যুৎ খাওয় এসবের ব্যবস্থাও আগে বলে নিলে থাকবে। যে যেভাবে যেতে চান পারবেন । একা একা, দুজন, অনেক জন চলবে। তবে একা বা দুজন গেলে আপনাকে অন্যদলের সাথে যোগদিতে হবে।
সুবিধা হলো লোক যত বেশি খরচ তত কম।
কিছু জিনিস সাথে নেওয়া ভাল যেমন- দূরবিন, হাঁটার জন্য ভাল জুতা, কাটাছেঁরার মলম, ব্যন্ডেজ, ছাতা, সানগ্লাস ও পারলে একটি ক্যামেরা।
বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের সাথে কথা বলে সুন্দরবন যাওয়াই ভাল। তবে বন বিভাগে অনুমতি পত্রটি আগেই দেখে নিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮