পানিয়া, শাহাবুদ্দীন, মন্টু, রায়হান আর সেতাবুল। বয়েস সবের ৮ থেকে ১৫। আঠেরোর নীচের শিশু ওরা, ভাতের সথে একটু আমিষের আশায় জাল পেতে রেখেছিলো জলাশয়ে, পরদিন জাল তুলতে গিয়েছিলো।
একেবারে এ্যামবুশ করে থাকা (সে সময় সীমান্তের ৩৫৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কাঁটাতার পেরিয়ে এসে পাটগাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানেরা হঠাত্ ঘিরে ফেলে তাদের। প্রথম আলো ।) বিএসএফ জওয়ানেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে টেনেহিঁচড়ে কাঁটা তারের ওপারে ভারতের মাটিতে নিয়ে যায়।
পাঁচটি শিশুকে এভাবে ফুলস্কেল মিলিটারি এ্যাম্বুশ করে বিএসএফ প্রমান করলো ভারত ইচ্ছে করলেই আমাদের সার্বভৌমত্বের লংঘন করতে পারে।
আচ্ছা! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! ওয়ার মিনিষ্ট্রি নাকি আপনার হাতেই? এখোনো কেনো আমাদের বিডিআর জওয়ানেরা সারিবদ্ধ ভাবে ফুলস্কেল ব্যাটেল প্রিপারেশানে ওপারের দিকে অস্ত্র তাক করছে না?
কেনো আমরা মুখবুজে আরেকটা নিস্ফল পতাকা বৈঠকের অপেক্ষা করছি?
কেনো ভারতের জানোয়ার গুলো দেখছে না আমাদের ট্যাঙ্ক মহড়া দিচ্ছে কাঁটাতারের সেই ৩৫৪ নম্বরের মেইন পিলারের পাশে? কেনো আমাদের জঙ্গী মিগ একটুক্ষন পরপর উড়ে রিকন করছেনা ওদের নিকটবর্তী এয়ারবেইজের হরকত?
কেনো ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এখোনো হাইকমিশনের মাটিতে? কেনো সে অপরাধি হিসাবে যিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে নেই মানুষের থুতু খেতে? অথবা সে কেনো এখোনো পশ্চাতে লাথি সমপরিমান গালাগাল সহ পার্সনা-নন-গ্রাটা অর্ডার হাতে পায়নি এ্যাম্বাসিতে বসে?
পাঁচ শিশু ফিরবে কি না জানি না, তবে ওরা এটুকু জানিয়ে দিয়ে গেলো, ভারত আমদের সর্বভৌমত্বের থোড়াই কেয়ার করে।
অভিবাদন হে মহামান্যা!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:৪৬