এরা ধর্মের নামে অধর্ম করবে, আবার পিঠে বেঁধে নেমেইসেই ধর্মগ্রন্থই, যাতে ধর্মপ্রান আর ধর্মভীরু মানুষ দ্বিধা করে আঘাত হানতে।
এরা বিতর্কিত করবে কৌশলে, জাতীয় সংগীত, জাতীয়তাবোধ, ভাতৃত্ব।
এরা ছড়াবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ।
এদের সাথে যোগ দেবে কিছু ছাগলের তিন নম্বর ছানা, কেউ ধর্মের জয়গানে, কেউ নাস্তিকতায়।
সর্বপ্রকার কৌশল ব্যার্থ করে দিন আঘাত হেনে।
আমাদের একাত্তর ছিলো জাত-ধর্ম-বিশ্বাস নির্বিশেষে গনজাগরন, গনপ্রতিরোধ, একেরপর এক গেরিলা হামলা শত্রুকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে।
সেদিনের সেই অপচ্ছায়ার বীজেরা এখন তরুন, এরা অন্তর্জালে ছড়াচ্ছে জঞ্জাল, ইচ্ছাকৃত বিতর্কিত মনগড়া কৌশলী মতবাদ যাতে আমাদের পরের প্রজন্ম দ্বিধায় পড়ে, নিজেদের গৌরবগাঁথা নিয়ে কনফিউজড হয়ে পড়ে।
আসুন এদের রুখে দেই, দেশ আর মানুষের যে কোন বিষয়ে কৌশলী অপপ্রচার আমরা রুখেদেব সম্মিলিত শক্তিতে।
এদের সাথে কোন কথা নেই, ধর্মের নামে অধর্মকারী এসব অমানুষের মুখে আমরা ধর্মের বাণী শুনতে চাই না! আমাদের দেশের কোন কিছুর আলোচনা-সমালোচনের অধিকার নেই এদের! এদের অধিকার নেই এই মাটিতে বেঁচে থাকার, এই তথ্য আর ইতিহাস বিকৃতির।
যার যার অবস্থানে থেকেই লড়ুন।
দেখা মাত্র লাথির উপরে রাখুন।
আপনি লীগ হোন আর দল অথবা কম্যুনিষ্ট, আস্তিক হোন আর নাস্তিক, যাই হোকনা কেন আপনার ধর্ম, রুখে দিন প্রতিমুহূর্ত এই ভার্চুয়াল ধর্ষন আপনার ইতিহাসকে, আপনার গর্বকে, একাত্তরের শহীদ আর ধর্ষিতা বীরাংগনাকে ।
বন্ধুত্বে আমরা হই সবথেকে কোমল,
আসুন, শত্রুকে দেখিয়ে দেই,
আমরা শত্রুকে রুখি সম্মিলিত দানবীয় শক্তিতে,
চড়ের জবাব আমরা মুষ্ঠাঘাতে দিতে জানি!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২০