সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। এরা দেশ ও জাতির দুশমন। জনগণ যে কোনো মূল্যে এ দুশমনদের হাত থেকে মুক্তি চায়। সন্ত্রাসীদের কারণে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। তাদের ধ্বংস ছাড়া দেশ ও জাতিকে রক্ষা ও উন্নয়ন করা অসম্ভব। আইনের শাসনের মূল প্রতিপাদ্য হলো, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়ায় সত্যিকার অপরাধী, দেশ ও সমাজের দুশমন টেররিষ্টদের বিচার করা কোনো অবসহাতেই সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ায় নিহত ব্যক্তিকেই নতুন করে জন্ম নিয়ে এসে আদালতে প্রমাণ দিতে হবে তার হত্যাকারী কে! যেহেতু অপরাধীর বিপক্ষে কোনো সাক্ষী নেই বা জীবনের ভয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতে আসে না বা পাওয়া যায় না, কাজেই বিনা সাক্ষীতে অপরাধীর বিচারের যেহেতু সুযোগ নেই তাই বর্তমানের প্রচলিত আইনে কোনো অপরাধীর বিচার হতে পারছে না। ধরা পড়লেই সব অপরাধী ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে যায়। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কানাডা সহ বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশেই জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে দুসকৃতিকারী অহরহ হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমাদের সুশীল সমাজ তা দেখে না । আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাও তাদের তথাকথিত গণতন্ত্রের জন্য যায়েজ । তাদের ভাষায় দেশের সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষের শান্তি ও দেশের ক্ষতিও গণতন্ত্রের স্বার্থে আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য করতে দিতে হবে কারণ সুশীল সমাজের ভন্ড রাজ~েনতিকদের মতে এটা নিরীহ মানুষ মারা সন্ত্রাসীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও তা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন। এখানে অপরাধীর সব অধিকার ভোগ নিশ্চিত করতে হবে। একশ্রেণির সংসদ সদস্য বা রাজনৈতিক নেতারাও অপরাধীদের চরিত্রের সাফাই গাইতে মাঠে নেমে পড়ে। যেহেতু অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া সবার কাম্য তাই দেশের জনগনের সবাইকে সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করতেও দেশীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। তাই দয়া করে আমাদের শান্তি দিন।