(ইহা গতকালের ভ্রমণ কাহিনী, কিছুতেই সামুতে ঢুকিতে না পারিবার কারনে আজ পোস্ট করিলাম)
আজও ঘর হইতে অফিসের উদ্দেশ্যে বাহির হইয়াছিলাম হাঁটিয়া আসিবার নিয়তেই। কিন্তু হাজীপাড়া হইতে হাঁটা শুরু করিয়া রামপুরা ব্রিজ আসিয়াই একজন সদয় সিএনজি চালকের আহবানে সাড়া না দিয়া পারিলাম না।জানিতাম, তিনি চারিজন করিয়া যাত্রী লইবেন।দেখিলাম আরও দুইজন ভ্রাতা আমার নিকট থুক্কু সি এন জির নিকট দৌড়াইয়া আসিলেন।তৎক্ষণাৎ আমার মনে কিঞ্চিত সঙ্কোচের উদয় হইল। কিন্তু উহা সাময়িক অনুভূতিমাত্র। আমি গাড়িতে প্রবেশের আগ্রহ প্রকাশ করিবা মাত্রই ভ্রাতাগণ আমাকে Ôলেডিস ফার্স্টÕ কথাটি নিরবে স্মরণ করাইয়া দিলেন। অবশেষে পেছনে তিনজন, সামনে একজনকে লইয়া গাড়ীখানা গুলশান ১ এর উদ্দেশ্যে ছুটিয়া চলিল। একথা মিথ্যা নহে, হৃদয় মাঝে একবার সন্দেহের উদ্রেক হইয়াছিল যে এই ভ্রাতাগণের সহিত গাড়ীতে উঠিয়া কোন ভুল করিয়া বসিলাম কিনা! আমার কোন বিপদ হইতে পারে কিনা! পরোক্ষনেই মনে হইল শুধু কি নারীগণেরই বিপদ হয়? সেই ভ্রাতাগণও কি একজন নারীকে পাশে বসাইয়া কিছুমাত্র সঙ্কোচে ছিলেননা? আমার হাতের প্যাকেটখানা দেখিয়া উহারা বোমা ভাবিয়া ভীত ছিলেন কিনা একথাওতো অমূলক নয়।......... প্রয়োজনে আমাদেরকে কত কিছুই করিতে হয়। এত চিন্তা-ভাবনা করিয়া কাজ করিলে ফলাফল সবসময় শুভই হইবে এমনটা বোধহয় সঠিক করিয়া বলা যাইবেনা।ইহাও সত্য যে বাস্তবতা আমাদিগকে অনেক কঠিন কাজের জন্য প্রস্তুত করিয়া তোলে।
বিঃদ্রঃ যেহেতু গতকাল পোস্ট দিতে সফল হইনাই তাই বিকালের যাত্রা কাহিনীও তুলিয়া দিলাম। যথারীতি যানবাহন না থাকিবার কারনে লিঙ্ক রোড পর্যন্ত শেয়ারে রিক্সা ভ্রমণ করিতে হইল এবং অবশ্যই একজন ভ্রাতার সহিত। কারন কোন নারী যাত্রীকে পথে পাই নাই। লিঙ্ক রোড থাকিয়া মালিবাগ পর্যন্ত একজন বোনের সহিত রিক্সায় ভ্রমণ করিয়াছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪