আজকের সুস্থ শরীর কাল কোথায়
কি ভাবে থাকবে আমরা কেউই জানি না।
একজনের পক্ষে এটা অনেক বড় বোঝা। কেন
কয়দিন আগেই তো আমরা ফিলিস্থিনের
শিশুদের চিকিৎসার জন্য ফান্ড রাইজ
করছিলাম। এখন পারবনা কেন।
আমরা নিশ্চই আমরা পারি। চাইলেই
পারব।
এখনকার যুগে টাকা (সাহায্য
বলতে চাইনা)
পাঠাতে কাউকে না জানালে পাঠানো কনোও
ব্যাপারনা। বিকাশে আপনার
পাঠানো অর্থ সামান্য মনে হতে পারে,
কিন্তু একবার যদি ভেবে দেখি এই ছোট
হাত গুলো একের পর এক সজ্জ্বিত হলে কত
শক্তিধর হয়। সবার কাছে অনুরোধ, এই
ভাইয়ের দুর্দিনে এগিয়ে আসুন, আর
দুয়া করবেন
যাতে আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাই
কে সমস্ত মুসিবত থেকে হেফাযত করেন।
সহজ কথা -- আমার সাহায্য দরকার। খুবই
জরুরি দরকার। আমি আমার
ভাইকে বাঁচাতে চাই। অর্থ
দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার
নেই। কিন্তু এভাবে আমি আমার
ভাইকে মৃত্যুর
পথে হাঁটতে দেখতে চাইনা।
এই পৃথিবীতে সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী।
সবাইকেই মরতে হবে একদিন। কিন্তু তাই
বলে শুধুমাত্র টাকার
অভাবে চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ
হয়ে আমি আমার
ভাইকে মরে যেতে দেখতে চাইনা।
লজ্জায় মুখ ফুটে কিছু বলতে পারিনা।
কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারিনা।
ভার্সিটিতে যখন পড়তাম, অন্যরা যখন
সাহায্যের জন্য আমাদের
কাছে আসতো, অনেকবার
নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে তাদের জন্য
টাকা তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু নিজের
যখন প্রয়োজন হলো, অনেক চেষ্টা করেও
মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারছিনা।
মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মানোর এটাই
সবচাইতে বড় অভিশাপ।
আমার খালাতো ভাই Shahid Mannan
বিগত ৩ বছর ধরে Polycystic kidney disease
এ ভুগছেন। মানুষের ভাগ্য এতো খারাপ
কি করে হয়, শুনবেন?
সেই ছোটবেলায় উনার
আব্বুকে হারিয়েছেন। আমার মেজ
খালা অনেক কষ্টে উনার তিনটি ছোট
ছোট ছেলেকে বড় করেছেন।
তারপরে যখন বড় ছেলে শহীদ ভাই
পরিবারের হাল ধরতে গেলেন, তখন
থেকেই অসুস্থ হওয়া শুরু করলেন। আর ঠিক
যখন উনার দু'টো ফুটফুটে জমজ
বাচ্চা পৃথিবীতে আসার সময় হলো,
তখনই উনার এই রোগটা ধরা পড়েছে।
উনার চিন্তায় পরিবারের সবাই অসুস্থ
হয়ে গিয়েছে।
মনে পড়ে ছোটবেলায় শহীদ ভাইয়ের
কাছ থেকেই দাবা খেলার হাতে-
খড়ি হয়েছিল আমার। উনার থেকে কত
জানা-অজানা তথ্য জানতাম। কত
বইয়ের নাম শুনেছি উনার থেকে।
আগে সবসময় ওদের বাসায় যেতাম। আর
এখন উনাকে আমি ভয়ে ফোন দেইনা।
বাসায় যেয়ে উনার সামনা-
সামনি হতে ভয় করে।
কি বলবো আমি উনাকে? কি বলার
আছে? আমি একটা অপদার্থ ভাইয়ের
মতো এভাবে আমার
ভাইকে দিনকে দিন মৃত্যুর
পথে ঠেলে দিচ্ছি। তার জন্য কিছুই
করতে পারছিনা।
ডায়ালাইসিস করাতে করাতে উনাদের
দোকানটা পর্যন্ত
বিক্রি করে দিয়েছেন। নিজেদের
বাড়ি ছাড়া আর যত সহায়-
সম্পত্তি ছিল, সবই
বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু
কিভাবে এই খরচ মেটাবেন?
প্রতি সপ্তাহে এমনও হয় যে দু'তিন বার
উনার ডায়ালাইসিস করানো লাগছে!
আর শুধু ডায়ালাইসিস করাতেই
প্রতি মাসে নিদেনপক্ষে ৩০-৪০ হাজার
(কিছু মাসে আরও বেশি) টাকা খরচ হয়।
ডাক্তারের
রিপোর্টে ধরা পড়েছে উনার
দু'টো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই
যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপন
করা দরকার।
আমাকে আপনারা বুদ্ধি দেন,
আমি কি করতে পারি? উনার
চিকিৎসার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
উনার বা আমাদের পরিবারের পক্ষে এই
বিশাল অঙ্কের টাকা ম্যানেজ
করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা।
যদি সবাই মিলে উনাকে বাঁচানোর
জন্য অর্থ সাহায্য দিতে পারি,
তাহলে উনাকে বাঁচানো সম্ভব।
নইলে এভাবে চলতে থাকলে উনাকে বাঁচাতে পারবো না।
আমার ভাইকে বাঁচাতে আমি কি ফান্ড
রেইজ করতে পারবো?? শহীদ ভাইয়ের
কিছু বন্ধু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
দিয়ে একটা উদ্যোগ নিয়েছে। আমিও
উনাদের
সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সাহায্যের
হাত বাড়ানোর জন্য সবাইকে আহবান
জানাচ্ছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ
---------------------------------
হাসিনা বেগম
Account Number: 165.151.0007656
Dutch-Bangla Bank Limited,
হালিশহর শাখা, চট্টগ্রাম।
অথবা, bKash Number: +8801817-727438
Facebook Help Page: Help for shahid mannan