এখানে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের তুলনা করা হবে।
১. ১২ তারিখ বিএনপির মহাসমাবেশের দুইদিন আগে থেেক ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো।
আজ শতাধিক বাসে করে কুমিল্লা থেকে লোক আসছে !
(OMG ! সেখানে নিয়মমাফিক বিএনপি-জামাতের বর্বরোচিত হামলাও হয়েছে)
২. বিএনপির মহাসমাবেশের আগেরদিন এবং মহাসমাবেশের দিন -- উভয় দিনই সমস্ত দোকানপাট, এমনকি চায়ের টং দোকান পর্যন্ত বন্ধ ছিলো।
"আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চললেও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আশপাশের এলাকায় সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু খোলা রয়েছে।"
৩. বিএনপি-জামাতের লোকেরা এসেছিলো বরাবরের মত খালি হাতে।
আওয়ামী লীগ এসেছে শান্তিকামী বাহিনীর মত -- লগি-বৈঠা হাতে। (বিডিনিউজের হলুদ সাঙবাদিকতা দেখুন : লিখেছে : "২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর চার দলীয় জোট সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ১৪ দলীয় জোট লগি-বৈঠা নিয়ে মিছিল বের করলে পল্টন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন পাঁচজন। " সারা বিশ্ব জানে, ২৮ অক্টোবরে শিবিরের পাঁচজনকে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ। অথচ বিডিনিউজ একপাক্ষিক নৃশংস আক্রমণকে লিখেছে "সংঘর্ষ হয়" এবং শিবিরকর্মীদের হত্যা করা হয় না লিখে লিখেছে "পাঁচজন নিহত হয়"।
৪. বিএনপির সমাবেশে আসার সমস্ত পথ বন্ধ করে রেখেছিলো সরকার। ছাত্রলীগের কর্মীরা বেশ কয়েকজনকে মারধরও করেছে। ট্রেন, বাস, লঞ্চ, স্টীমার -- জল-স্থল পথ সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ ছিলো।
আজকে নারায়নগঞ্জ থেকে গার্মেন্টস কর্মীদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনেছে। ওরা বাসে করে ভ্রমণে এসেছে, সরকারী ভ্রমণ
৪. বিএনপির মহাসমাবেশে আসা মানুষেরা শুকনা চিড়া-মুড়ি খেয়ে, চা খেয়ে দিন কাটিয়েছে। তারা যেনো কোনো খাবার খেতে না পারে, কোথাও রাত কাটাতে না পারে, সেজন্য সমস্ত হোটেল / রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এমনকি এজিদের মত করে পানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো -- বোতলজাত পানি পর্যন্ত মানুষ কিনতে পারে নাই।
আজকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ তৈরীকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস চকলেট-চুইংগাম-পানি সরবারাহ করছে । (সবাই যেনো পিকনিক করছে !
৫. বিএনপি বরাবরই বলে আসছিলো শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ করবে, তারা তা করেছে এবং সরকারের প্রবল বাধা সত্ত্বেও তিন লক্ষাধিক লোক সমাগম করে দেখিয়ে দিয়েছে, বাধা না দিলে ঢাকায় পনরো থেকে বিশ লাখ লোকের সমাগম হতো।
আওয়ামী লীগ জোর করে লোক আনছে, না আসলে শোকজ করা হবে সরকারী কর্মকর্তাদের, ইত্যাদি ভয় দেখিয়েছে। বিডিনিউজ / বাংলানিউজের মত পত্রিকাগুলো বহু কৌশল করেও "জনসমুদ্রের" ছবি বানাতে পারছে না। সম্ভবত ফোটোশপের সাহায্য নিতে হবে। আর পহেলা মার্চ থেকে মহাসমাবেশ বলে আসলেও এখন বলছে -- জনসভা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




