somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিটামিন-এ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এর নানা দিক।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভিটামিন-এ সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সবাই অবগত ।সব বয়ষের মানুষের জন্য ইহা প্রয়োজন বিশেষ করে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ , বেড়ে ওঠা , চোখের দৃষ্টির বিষয়সহ আরো অনেক প্রয়োজনে উদ্ভিদ উৎস হতে হোক কিম্বা প্রানিজ উৎস থেকে হোক ইহা আমাদের প্রতিদিন গ্রহন করতে হয় ।এর অভাবে যেমন নানাবিধ সমস্যা হয় তেমনি অতিরিক্ত গ্রহনেও মারাত্বক প্রতিক্রিয়া হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা । ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইন এর অংশ হিসেবে সরকার প্রতিবছর ৬ মাস হতে ৫ বছর বয়ষী বাচ্চাদের বিনামুল্যে প্রদান করে থাকে । একটি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইহা ভালো খবর । কিন্তু এই ভিটামিন খাওয়নোর পুর্বে কি আমরা চিন্তা করে দেখছি এর ক্ষতিকর দিকগুলো ? দেখি নাই বলেই প্রতিবছর ভিটামিন-এ খাওয়ানোর পর দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা হয় ।যা আমরা এ বছরও দেখেছি ।
এখন আমরা দেখব একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন-এ দরকার ।
০-৬ মাস বয়সি - ৪০০ মাইক্রোগ্রাম (১৩৩৩ আইইউ)
৭-১২ মাস বয়সি - ৫০০ মাইক্রোগ্রাম (১৬৬৭ আইইউ)
১-৩ বছর বয়সি - ৩০০ মাইক্রোগ্রাম (১০০০ আইইউ)
৪-৮ বছর বয়সি - ৪০০ মাইক্রোগ্রাম (১৩৩৩ আইইউ)
৯-১৩ বছর বয়সি - ৬০০ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
১৪-১৮ বছর বয়সি - ৯০০ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)-ছেলে,৭০০ মাইক্রোগ্রাম (২৩৩৩ আইইউ)-মেয়ে
>১৯ বছর বয়সি - ৯০০ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)
আমেরিকার খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ড ( এফএনবি) জানুয়ারী ২০০১ সালে ভিটামিন –এ গ্রহনের এই সীমা নির্ধারন করে ।
একজন মানুষের প্রতিদিন ভিটামিন-এ গ্রহন সর্বোচ্চ কতটুকু হতে পারে তা এখন জানব । :

০-১২ মাস বয়সি - ৬০০ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
১-৩ বছর বয়সি - ৬০০ মাইক্রোগ্রাম (২০০০ আইইউ)
৪-৮ বছর বয়সি - ৯০০ মাইক্রোগ্রাম (৩০০০ আইইউ)
৯-১৩ বছর বয়সি - ১৭০০ মাইক্রোগ্রাম (৫৬৬৭ আইইউ)
১৪-১৮ বছর বয়সি - ২৮০০ মাইক্রোগ্রাম (৯৩৩৩ আইইউ)
>১৯ বছর বয়সি - ৩০০০ মাইক্রোগ্রাম (১০০০০ আইইউ)

এখন জানব সরকারীভাবে কতটুকু খাওয়ানো হচ্ছে ?
৬ মাস- ১১ মাস =১০০০০০
১২ মাস -৫ বছর= ২০০০০০

কখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
১) ভিটামিন-এ এর মাত্রা যদি ২৫০০০ আইইউ বা তার উপরে চলে যায় তাহলে বিষক্রিয়া হতে পারে ।
২) যদি মানসম্মত না হয় ।
৩) সঠিকভাবে সংরক্ষন না করা হলে ।
৪) লম্বা সময় ধরে খেলে ।
উপরের হিসেবে দেখা গেলো যতটুকু প্রতিদিন আকজন মানুষের প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশি সরকারীভাবে একদিনে খাওয়ানো হচ্ছে ।হিসেব অনুযায়ী দেখা যায় একটা বাচ্চার একদিনে যতটুকু ভিটামিন-এ দরকার তার থেকে অনেক বেশি তার শরিরে প্রবেশ করানো হয় ।যার ফলে হাইপারভিটামিনোসিস-এ অর্থাৎ ভিটামিন-এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে ।কারন অতিরিক্ত ভিটামিন ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর । যা মারাত্বক আকার ধারন করার কথা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা আছে । ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি এর বিষক্রিয়া অনেক মারাত্বক ।

কি কি পার্শ্ব পতিক্রিয়া হয় ?
-বমি বমি ভাব কিম্বা বমি
-মাথায় প্রেসার বেড়ে যাওয়া।( ইহা হইতে মৃত্যুও হইতে পারে )
-পাতলা পায়খানা
-অরুছি
-পেটে ব্যথা
-মাথা ব্যথা
-মাথা ঘোরা
-ঝাপ্সা দেখা
- গোশ্ত পেশির অসংগলতা
-অস্থির থাকা
-দুর্বল
-ঝিম ঝিম ভাব
-চামড়া ও ঠোট শুকিয়ে যাওয়া
-অতিরিক্ত ঘাম
-ভাঙ্গা ভাংগা নখ
-মাড়ির সমস্যা
-চুল পড়া
-গিটে ব্যথা
-ওজন কমে যাওয়া
-বাচ্চাদের মাথার নরম অংশ ফুলে যাওয়া ।
-মানষিক অবষাদ
-অজ্ঞান যাওয়া
-লিভারের ক্ষতি
-জ্বর
-রক্তস্বল্পতা
- বাচ্চার বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া
-ক্যালসিয়াম বেড়ে যাওয়া ।

কি করা উচিত ?
১) ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা ।
২) শরিরের প্রয়োজন অনুযায়ী ডোজ ঠিক করা ।
৩) যাদের শারীরিক লক্ষন দেখে মনে হবে ভিটামিন-এ এর অভাব আছে কেবল মাত্র তাদের খাওয়ানো ।
৪) খালি পেটে না খাওয়ানো।
৫) মানের দিকে খেয়াল রাখা ।
৬) সঠিকভাবে সংরক্ষন করা।
৭) এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করনিয় সম্পর্কে অবহিত করা ।

উপরের আলোচনায় বুঝা গেল যে ভিটামিন-এ অতিরিক্ত গ্রহনের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তা আমাদের স্রেফ গুজব বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই । সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে কৌশল নির্ধারন করার কথা চিন্তা করা উচিত ।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×