মোট ৩৬ টি ট্যাক্সি নামানো হয়েছে ঢাকা শহরে। পর্যায় ক্রমে আরও ৬০০ নামবে। ঢাকা শহরের চলমান জ্যামের মধ্যে এর উপযোগিতা দেখি।
প্রথম দুই কিলো ১০০ টাকা থেকে ৮৫ , প্রতি দুই মিনিট ৮,৫০ টাকা ওয়েটিং চার্জ।
এর মানে, সকালে অফিস টাইমে সিটি কলেজ থেকে গুলশান-২ যেতে ৬০ মিনিট ওয়েটিং চার্জ ২৫৫ টাকা, আর ১০ কিলো ৮৫+(৩৪*৮)= ৩৫৭ টাকা। মোট খরচ - ৬১২ টাকা। যেতে আসতে ১২২৪ টাকা । ধরি ১০০০ টাকা। মাসে ২৫০০০-২৬০০০ টাকায় তো আরামে গাড়ি পোষা যায়।
এবার দেখি ঢাকার বাসের পরিস্থিতি।
প্রতিটি রুটের বাসের চেহারা দেখলে মনে হয় ডাইনোসর আমল থেকে চলছে, সেটা সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে, বাসগুলির ভেতরে একজনের কাঁধের উপর আরেকজন চলমান। দাড়িয়ে ধাক্কা-ধাক্কি,অসহনীয় গরম, ঘামে জবজবে, বাদুর-ঝোলা হয়ে ঝুঁকি নিয়ে অফিস যাতায়াত এগুলি খুব পরিচিত দৃশ্য এ শহরে। এরা উপায়হীন শ্রেণী,এরা যে টাকা বেতন পায়, তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দেয়ার পর আর তেমন থাকে না, অতএব বাসের ভেতর মারামারি, পারাপারি চলে। এই মানুষ গুলোর জীবনটাই যে ভাঙ্গা,অভিশপ্ত ! মরে যাওয়া যায়না বলেই বেঁচে থাকা ।
যে ট্যাক্সি গুলি নামানো হয়েছে , তাতে এই মানুষেরা চরতে পারবে ?
এই টাকা দিয়ে আরও কিছু ডাবল ডেকার নামানো যেত , যাতে অল্প জায়গায় বেশি মানুষ ধরে আর এটা দুইটি ডেক থাকায় জ্যাম কমাতে ভুমিকা রাখে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা এই বুদ্ধি দিয়েছেন তারা তাদেরটা হিসেব করেই বুদ্ধি দিয়েছেন। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এইসব বাদুড়ঝোলা মানুষের দূরত্ব সাত-আসমান আর জমিন বললেও কম বলা হবে। উনি তাদের জ্বালা কিভাবে বুঝবেন। বোঝার দরকার নাই, চলুক।
আল্লাহপাকের রহমত আমাদের সাথে আছেন বলেই এ দেশের মানুষ দুবেলা খেতে পায়, তা না হলে আমাদের এতদিনে সোমালিয়া হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে ঝড়ের আগে সব যেমন স্তব্ধ হয়ে যায়, তেমনি স্তব্ধ সবকিছু। মাননীয় রাজনীতিবিদেরা অপেক্ষা করেন, আল্লার মাইরের আওয়াজ নাই।