somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈজ্ঞানিক থেকে কর্পোরেটে - প্রথম পর্ব

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(আমি আমার ক্যারিয়ারের অর্ধেক সময় গবেষক ও বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজ করে, পরবর্তিতে ইন্ডাস্ট্রি বা কর্পোরেটে যোগদান করি। আমার সেই অভিজ্ঞতা সিরিজ আকারে লিখছি এইখানে। ক্যারিয়ার বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখুন)

একজন গবেষক অন্য ভাবে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়। তারা একটি সমস্যাকে কিভাবে সামাধান করতে হবে, সেই বিষয়ে নজর দেয়। এবং সাধারণত এই সমস্যাগুলি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সময়সাপেক্ষ। যে সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যাবে, সাধারণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই সেই সমস্যা সমাধান করা হয়। কিন্তু যে সমস্যাটি সমাধান করতে একটু বেশী সময় লাগবে, একটু দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা এর প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে একাডেমিক এর গবেষকরা ভালো করে এবং সেইভাবেই তারা ট্রেনিং পেয়ে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও আমিও সেইভাবে ট্রেনিং পেয়েছিলাম এবং সেইভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছিলাম। তুষারপাতে মধ্যে সবাই যখন কফির পেয়ালা হাতে নিয়ে কোন সিনেমা উপভোগ করছে, আমরা গবেষকরা তখন আমাদের প্রিয় ল্যাবে চলে যেয়ে আমাদের সমস্যাটি নিয়ে ভাবছি। কিংবা হাতে কোন গবেষনাপত্র নিয়ে আমরা চলে গিয়েছি পার্কে। নির্জনে বসে সেই সমস্যাটি নিয়ে ভাবছি। পুকুরের নিস্তব্ধ নিরাবতার মাঝে সেই সমস্যাটির মধ্যে ডুবে তার কোন সমাধান করা যায় কিনা তাই নিয়ে ভাবছি, এবং ভাবছি। এই চিন্তা করার প্রক্রিয়াটি কিভাবে করতে হবে তা গবেষকরা ভালো মতন জানে, এবং সেই দিকে তারা অভিজ্ঞ।
কিন্তু আমি যখন গবেষনার সেই পরিবেশ থেকে কর্পোরেটে প্রবেশ করলাম, তখন আমার সেই চিন্তা করার প্রক্রিয়াটি পুরোটাই পরিবর্তন করতে হল। এবং নিজেকে নতুন করে সাজাতে হল। প্রচুর কর্পোরেটে কাজ করা মানুষজনের সাথে কথা বললাম। তাদের কাছে কর্পোরেট কালচার বা কাজ করার প্রক্রিয়াটি শিখলাম। গবেষনাগারে যে কর্মপদ্ধতি শিখেছিলা তা Unlearn বা ভুলে যেয়ে আবার নতুন করে learn করার জন্য নিজেকে সাজিয়ে তুললাম। যেহেতু আমি অনেকগুলি ক্ষেত্রেই কাজ করেছি তাই নতুন করে কোন নতুন বিষয়ে কিভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হয় তা মোটামোটি আমি অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগলো নতুন করেন। আসলে মাঝে মাঝে আমি ভাবি, কি আমাদের জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া? আমার মনে হয় আমাদের অভিজ্ঞতাই আমাদের সবথেক বড় পাওয়া।
মনে করা যাক আমরা সুইজারল্যান্ডের কোন ভ্রমণ কাহিনি পড়লাম। সেখানে সেই লেখকের চোখে আমরা দেখা শুরু করি কি ভাবে সেই লেখক সেই দেশটিকে দেখেছে। এইযে আমরা শিখলাম, এটি হল জ্ঞান। কিন্তু আমরা যখন সেই দেশে যাব, সেই দেশের পথঘাট নিজ চোখে দেখবো তখন আমরা সেই দেশটি সমন্ধে একটু সাম্যক অভিজ্ঞ হব। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আরো বাড়বে যখন আমরা সেই দেশে বসবাস করবো। তখন বইয়ে পড়া থেকে পর্যটক হিসাবে সেই দেশকে দেখার থেকেও আরো বড় একটি জিনিস আমরা পাব তা হল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সেই দেশকে জানা।
তেমনিভাবে জীবনে আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করি, কিন্তু যখন সেই পরিস্থিত ও প্রক্ষাপট এর ভিতর দিয়ে আমরা যাব তখন আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবো এবং আরো ভালোমতন ব্যাপারটি নিজের মতন করে বুঝবো।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৪৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×