somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্রোহী পুরাণ ০৪

২৭ শে মে, ২০০৭ দুপুর ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“দ্রোহী পুরাণ সিরিজের গল্পগুলোর মাল-মশলার যোগানদার মুখফোড়”
******************************************

ঈশ্বর রোষকষায়িত লোচনে আদমকে ভস্ম করিবার ব্যর্থ চেষ্টা করিলেন। আদম একটুও না ভড়কিয়া জানাইলো, “ঈভ বলিয়াছে জ্ঞানবৃক্ষের ফল না খাইতে পারিলে ইয়ে করিতে দিবে না। স্বর্গদূতরা জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাইয়া স্বর্গদেবীদের সাথে রাতভর হই-হুল্লোড়ে মজিয়া থাকে আর এইদিকে সৃষ্টির সেরা জীব হইয়াও আমি রাতভর টাইপরাইটারখানা পাশে রাখিয়া কলমে লিখিয়া মরি! এ বড়ই অবিচার!”

ঈশ্বর ভাবিলেন, হায়! এ কোন চোদনাকে আমি সৃষ্টি করিয়াছি! অতঃপর তিনি ওয়েষ্টপেপার বাস্কেট হইতে ধানক্ষেত সম্পাদিত বড়দের মৌদুধীপুরাণখানি বাহির করিয়া আদমের দিকে নিক্ষেপ করিলেন।

তিনি আদমকে নির্দেশ প্রদান করিলেন-মৌদুধীপুরাণখানা উত্তমরুপে অধ্যায়ণ করিবে, তাহা হইলে তোমার দেহ হইতে জেহাদী জেল্লা বাহির হইবে। সেই জেল্লার রুপে ঈভ এমনই মুগ্ধ হইবে; সে কাজ ফেলিয়া প্রতি রাতে তোমায় কামনা করে বিন্দুর ন্যায় কবিতা টাইপ করিবে।

“ঈশ্বর শালা একটা রসময়গুপ্ত!”- আদম মনে মনে ঈশ্বরকে উদ্দেশ্য করিয়া একটা গালি দিলো।

ঈশ্বর বলিলেন, “বাজে কথা চোদাইয়ো না আদম। যাও কুটিরে ফিরিয়া যাও, যাহা বলিয়াছি তাহা অক্ষরে অক্ষরে পালন করিতে চেষ্টা কর।”

আদম কুটিরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলো ঈভ বাটনা বাটিতেছে। বাটনা বাটার তালে তালে ঈভের পশ্চাৎদেশখানা দুলিতেছে। সে জুলু জুলু দৃষ্টিতে ঈভের দিকে তাকাইয়া বলিল, “রমণ করিতে দিবি না মাগী? তোকে বশ করিবার ঔষধ আনিয়াছি ঈশ্বরের কাছ থেকে। আজ অলক্যাপস লক করিয়া ডাবল স্পেসে টাইপ করিয়া তোকে বুঝাইবো আদম কি চিজ!”

ঈভ হাসিয়া বলিলো, “তোর মত ফুটা বোটের কাপ্তেন করিবে টাইপ? কত ফটর ফটর দেখিলাম! যার সংবিধান ই নাই, সে টাইপ করিবে সংবিধান সমুন্নত হইবার গল্প! যা যা বড় বাজে বকিস না।”

আসন্ন উত্তেজনাকর মুহুর্তের কথা কল্পনা করিয়া আদম ভাবিলো আপাতত ঝগড়াঝাটিতে ইস্তফা দেয়াই মঙ্গলময় হইবে। অতঃপর সে ধানক্ষেত সম্পাদিত মৌদুধীপুরানখানা অধ্যায়ন করিতে বসিলো।

ঈশ্বর আরাম কেদায়ার বসিয়া তাম্বুল সহযোগে ধুম্রপান করিতেছেন। জেমস বন্ডাইল আসিয়া বলিলো, “বন্ডাইল! জেমস বন্ডাইল।”

ঈশ্বর একখানি পাদুকা ছুড়িয়া মারিলেন জেমস বন্ডাইলকে লক্ষ্য করিয়া। জেমস বন্ডাইল নিজেকে পাদুকা হইতে রক্ষা করিয়া বলিলো, “মাননীয় জেন্টুলম্যান, আদম-ঈভের কুটির হইতে অশ্রাব্য গালিগালাজ ভাসিয়া আসিতেছে। কতিপয় স্বর্গদূত মারামারির শব্দ শুনিয়াছে বলিয়া জানাইয়াছে।”

ঈশ্বর জেমস বন্ডাইলকে বলিলেন স্বর্গদূত গুজরিল কে খবর দিবার জন্য। জেমস বন্ডাইল আসিয়া দেখিলো গুজরিল এক স্বর্গবালার সহিত ঊনসত্তর ধারায় প্রেমরত!

গুজরিল ঈশ্বরের সম্মুখে আসিয়া বলিলো, “গুস্তাখী মাফ করিবেন জনাব, আমি ছাগুরামের জন্য পনসপত্রের খোঁজে বাহির হইয়াছিলাম।”

ঈশ্বর গুজরিলকে বলিলেন, “আদম-ঈভ কাজিয়া করিতেছে। উহাদের দুইজনকে চটকনা মারিয়া আমার কাছে লইয়া আস।”

কিয়ৎকাল বাদেই আদম-ঈভ সমবিব্যহারে গুজরিল আসিয়া উপস্থিত হইলো। ঈশ্বর দেখিলেন আদমের ঠোঁট কাটিয়া ফুলিয়া রহিয়াছে। ঈভের সমগ্র শরীর রক্তাক্ত, তাকে চেনা যাইতেছে না।

ঈশ্বর রোষকষায়িত নেত্রে আদমকে বলিলেন, “রে পামর! তোর এত বড় আস্পর্ধা? আমার সৃষ্ট জীবের গায়ে হাত?”

আদম উল্টা রাগ দেখাইয়া বলিলো, “আপনি বালের ঈশ্বর। আপনার ঔষধে কাজ হয় না। নিজে রমণ করিতে পারেন না দেখিয়া আমাকেও রমণ হইতে বঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছেন?”

আদমের এহেন আচরণে ঈশ্বর বাক্যহারা হইয়া গেলেন। খানিকটা সুস্থির হইবার পর তিনি আদমকে জিজ্ঞাসিলেন, “কি হইয়াছিল? খুলিয়া বল।”

আদম বলিলো, “আপনার দেয়া মৌদুধীপুরাণখানা পড়িয়া উত্তেজিত হইয়া ঈভকে আদর করিতে চাইলাম। মাগী আমায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। তখন জোর করিতে চাইলাম, মাগী আমায় বেলুন লইয়া তাড়া করিল। আমি দমিলাম না। চাপিয়া ধরিয়া উপগত হইতে গেলাম। তখন মাগী আমায় গালি দিয়েছে। গালি শুনিয়া আমার বেজায় রাগ হইয়াছিল, তাই মাগীকে ধরিয়া গোটা কতক মারিয়া বসিয়াছি।”

“গালি দিয়াছে?” অবাক ঈশ্বর শুধাইলেন।

“ঈভ আমায় সৃষ্টিজগতের সবচাইতে ঘৃণ্য প্রাণীর নাম ধরিয়া ডাকিয়াছে।” বলিলো আদম।

ঈশ্বর অবাক হইয়া জিজ্ঞাসিলেন, “কি সেই প্রাণী? ঈভ কি নামে ডাকিয়াছে?”

আদম বলিলো, “ঈভ আমাকে গোলাম আযমের পায়ুজাত ইবনে সালাম বলিয়াছে।”
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০০৭ রাত ১০:১২
২৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×