১ . হার্ট এটাক – হৃদয়ে ( হৃদপিন্ডে ) রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে এর পেশীগুলি নষ্ট হয়ে ( মারা ) যায় এবং এর প্রধান লক্ষন বুকে তীব্র ব্যাথা। ব্যাথা বুকের বাঁদিকে হয়, অনেক সময় ধরে ব্যাথা থাকে ( ৩০ মিনিটের বেশী ) , ব্যাথা বুকের সাথে বাঁ হাত ,চোয়াল এবং ঘাড়ে ছড়ায়, বুকে তীব্র ব্যাথার সাথে প্রচুর ঘাম হয়, বমিভাব বা বমি হয়, বিশ্রাম নিলেও ব্যাথা কমে না। রক্ত পরীক্ষা এবং ইসিজি (ECG) পরীক্ষায় সহজেই এ রোগ ধরা পরে। সাধারনত জীবনে কখনও হার্ট এটাক হলে ইসিজি পরীক্ষায় তা সব সময় বোঝা যায়।
২. এনজাইনা - হৃদয়ে ( হৃদপিন্ডে ) রক্ত সরবরাহ কোন কারনে কম হয়ে গেলে ( ব্লক, রক্তনালী সরু হয় যাওয়া) এ রোগ হয়। মাঝে মাঝেই ব্যাথা বুকের বাঁদিকে হয়, অল্প সময় ধরে ব্যাথা থাকে ( ৩০ মিনিটের কম ) , ব্যাথা বুকের সাথে বাঁ হাত ,চোয়াল এবং ঘাড়ে ছড়ায়, বিশ্রাম নিলে ব্যাথা কমে যায়। রক্ত পরীক্ষা এবং ইটিটি (ETT) পরীক্ষায় সহজেই এ রোগ ধরা পরে।
৩. গ্যাষ্ট্রিকের ব্যাথা –– গ্যাষ্ট্রিকের কারনেও বুকে তীব্র ব্যাথা হতে পারে। খাবার পরপর অথবা ক্ষুধা লাগলে এ ব্যাথা হয়। ব্যাথা বুকের সাথে পিঠের দিকে ছড়ায়, অনেক সময় ধরে ব্যাথা থাকে ( ৬০ মিনিটের বেশী )। শুয়ে , বিশ্রাম নিলে ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে। এন্টাসিড জাতীয় ওষুধে ব্যাথা কমে যায়।
৪. ফুসফুসের সমস্যায় ব্যাথা – শ্বাস গ্রহনের সাথে এই ব্যাথা কম বা বেশী হয়। সাধারনত কাশি থাকে। তীব্র ব্যাথা হয় এবং দ্রুত কমেও যায়।
করনীয় – বুকে ব্যাথা হলে আপনার চিকিৎসক রোগ নির্নয় করার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে পারেন। সব পরীক্ষায় স্বাভাবিক ফলাফল পাওয়া গেলে দুঃশ্চিন্তা না করাই ভালো।
অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত খাবার না খাওয়া, ধুমপান না করা, সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন শারীরিক পরিশ্রম করা, সময়মত খাবার খাওয়া এবং দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করা উচিত।
এ সব করার পরও যদি বুকের ব্যাথা না কমে তাহলে এন্জিওগ্রামের মাধ্যমে হৃদপিন্ডে কোন সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত করা দরকার।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার ফেসবুক পেজ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


