দেশের শিক্ষাব্যবস্থার যে কি পরিমান বিপর্যয় হয়েছে তার একটা চিত্র ফুটে ওঠে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ।বলা হয় স্বরনকালের সবচেয়ে সহজ প্রশ্ন হয়েছিল এবার । অথচ পাসের হার মাত্র 20 % অথচ গত দুই বছরে যে পরিমান গোল্ডেন জিপিএ 5 বা জিপিএ 5 পেয়েছে তাতে মেধাবীদের এমন করুন পরিনতি অবশ্যয়ী অকামনীয় । আসলে এটা ছাত্রদেরকে জোর করে মেধাবী বানানোর ফল ।
.
একটা পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখলাম, ””মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দুটিতেই জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই ভর্তি পরীক্ষায় টেকাতো দূরের কথা, উত্তীর্ণই হতে পারছেন না। গত তিন বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।””””
.
এভাবে জিপিএ 5 এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে কতৃপক্ষ সুনাম বৃদ্ধির একটা মিথ্যা চেষ্টা করে কিন্তু দেশের তাতে কোন লাভ হয় না । তাও ভাগ্য ভালো যে ঢাবিতে জিপিএ অনুসরে ভর্তি হয় না , যদি হতো তবে ................. ।
.
এ দেশে সব সরকারই পরীক্ষার রেজাল্টকে শিক্ষার মান উন্নয়নের মানদন্ড হিসাবে দেখেছে । জোর করে ও শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষিত শাস্তির ভয়েও অস্বীকার করতে পারছি না এদেশে পরীক্ষার্থীরা পরিক্ষার আগের রাত্রে একটা “ সহজলভ্য কাগজ “ এর জন্য কত দ্যেড়ঝাপ ।
.
ফেজবুকে আমি :তাওহীদ রহমান
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১