১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় এক একান্ত সাক্ষাৎকার কালে সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সল বঙ্গবন্ধুকে বলেন ...
"আমি শুনেছি, বাংলাদেশ আমাদের কাছ থেকে কিছু সাহায্যের প্রত্যাশী ...অবশ্য এসব সাহায্য দেওয়ার জন্য আমাদের পূর্ব শর্ত রয়েছে "..
জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন ...
"আমারতো মনে হয় না, বাংলাদেশ মিসকিনের মতো আপনাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য চেয়েছে ...বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরীফে নামাজ আদায়ের অধিকার চাচ্ছে। পবিত্র কাবা শরীফে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের নামাজ আদায়ের হক রয়েছে। এ ব্যাপারে আবার শর্ত কেন? আমরা আপনাদের কাছ থেকে ভ্রাতৃসুলভ সমান ব্যবহার প্রত্যাশা করি। "
সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ আসলে কি চায় তা জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বলেন ...
"এই দুনিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। তাই আমি জানতে চাই, কেন সৌদি আরব আজও পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।"...
উত্তরে বাদশাহ ফয়সল বলেন ...
"সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ রাখতে হবে। "
বঙ্গবন্ধু উত্তর দেন ...
আপনাদের দেশের নামও তো "ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি এরাবিয়া" নয়। কই আমরা কেউই তো এ নামে আপত্তি করিনি। "
আত্মসম্মান, জাত্যাভিমান ও মর্যাদাবোধ কি জিনিস, সেটা বিশ্ব নেতৃত্ব দেখেছে বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে। একটি সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের নেতা যে ইস্পাত কঠিন আত্মসম্মান বজায় রেখে চলতে পারেন, সেটা অতুলনীয়।
আত্মসম্মান ও জাত্যাভিমান অনেক দুর্লভ একটা গুণ। এই গুণ সব রাজনীতিবিদদের মধ্যে পাওয়া যায়না।
উল্লেখ্য: ১৯৭৪ সালে ওআইসি সম্মেলনে সৌদিআরবের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশিদের জন্য হজ্জ করার অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারলেও স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি। কারন সৌদি আরবের সাথে ছিল পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা। বাংলাদেশকে তারা স্বীকৃতি দিয়েছিল ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে
বিঃদ্র: অনেক আগে পড়েছিলাম রেখে দিয়েছিলাম , কেই রাজনৈতিকভাবে
ত্যানা পেচাবেন না । অকা ?
ফেজবুকে তাওহীদ রহমান
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৮