বাংলাদেশ সামুদ্রিক সীমা নির্ধারন নিয়ে এখনি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন, আসুন ব্লগে এব্যাপারে ক্যাম্পেইন করে সরকারকে উদ্যাগী হতে সচেতন করে তুলি
Click This Link
জাতিসংঘে ২০১১ সালের মধ্যে নিজেদের সমুদ্রসীমার দাবি করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে বেসরকারি সংগঠন 'বাংলাদেশ সামুদ্রিক অঞ্চল ও সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটি'।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ সঠিক সময়ে দাবি জানাতে না পারলে দেশের জলসীমার একটি বড় অংশ দুই প্রতিবেশী দেশের কাছে চলে যাবে।
মিয়ানমার এরই মধ্যে জলসীমার ব্যাপারে নিজেদের দাবি জাতিসংঘে উপস্থাপন করেছে। ভারতের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত কমোডোর খুরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের আনক্লজ-৩ সনদ অনুযায়ী সঠিক সময়ে দাবি জানাতে না পারলে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের নেওয়ার পরে যা থাকবে তাই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসাবে চিহ্নিত হবে। আর সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা হারাতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।
এসব বিষয়ে দেশের সরকার ও জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্যেই 'বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের' নিয়ে 'বাংলাদেশ সামুদ্রিক অঞ্চল ও সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটি' গঠন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সমস্যা সমাধানে আলাদা একটি সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা প্রয়োজন। দক্ষিণ তালপট্টি নিয়ে বিরোধের মীমাংসা করে ওই দ্বীপের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে আন্তজার্তিক ট্রাইবুনালে আবেদন করে বিষয়টি নিস্পত্তি করতে হবে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "বাংলাদেশ শুধু নদীমাতৃক দেশই নয়, সমুদ্রমাতৃকও। সমুদ্রের ওপর নির্ভর করে এ দেশের অসংখ্য মানুষ বেঁচে আছে। নিজেদের দাবি আদায়ে আমাদের গণআন্দোলন তৈরি করতে হবে। নতুন সংসদেই সমুদ্র বিষয়ে আলোচনা হোক। সরকার নিজে থেকে না করলে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।"
অধ্যাপক আনু মুহম্মদ সমুদ্র ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনো আপস মেনে না নেওয়ার ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, "বঙ্গোপসাগরে অঢেল সম্ভাবনার কারণেই স¤প্রতি মিয়ানমার ও ভারত আমাদের জলসীমায় ঢুকে অনুসন্ধান চালিয়েছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের এ সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য আগে নিজেদের জলসীমা চিহ্নিত করা দরকার।"
বাংলাদেশ ১৯৮২ সালে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দি ল অব দি সি' আনক্লজ-৩ এ স্বাক্ষর করে। এই আন্তর্জাতিক সনদের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশকে ২০১১ সালের মধ্যে জলসীমা নির্ধারণ করে জাতিসংঘে প্রাথমিক দাবি উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্তেই আসতে পারেনি।
সূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম