সর্বপ্রথমে আমি শুরু করি আমার নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরের দেয়া বক্তব্য দিয়ে। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,
“ কোন রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনওই রাজনীতি করা যেতে পারে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সময়ে যখনই রাজনীতি করা হয়েছিল সেটা বিফল হয়েছে। কারণ ধর্ম ধর্মই। আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন। রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন, আমরা বারবার দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। ধর্মের অবদান থাকতে পারে রাজনীতিতে, কিন্তু রাজনৈতিক দল ধর্মকে কেন্দ্র করে হতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ”
উপরের বক্তব্যে অনেকটা ক্লিয়ার হয়ে যায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে আমাদের অবস্থান। আমরা কোন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করিনা।
যারা আজ বলে আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি তাদের মুখে এক গাল থুতু মেরে বলতে চাই, আমরাই আপনাদেরকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছি। নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং অবাধ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের নেতাই যত দ্রুত সম্ভব রাজনীতির গণতন্ত্রায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামীলীগ(মজীব) যখন আপনাদের সবগুলারে নিষিদ্ধ করে ফেলে রেখেছিলেন আমাদের নেতাই সর্বপ্রথম আপনাদের পুনরুজ্জীবিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
আর যেসব সংবাদ পত্র আজ আমাদের বদনাম করে বেড়াচ্ছেন তাদেরকে বলতে চাই,
মজীব সাহেব যখন আপনাদেরকে টঙ্গে তুলে রাখছিলেন তখন আমাদের নেতাই সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন, সংবাদপত্রের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
জামাত আমাদের পরজীবি মাত্র আমরা যে কোন সময় এদেরকে বর্জন করে আসবো। এদের সাথে আমাদের আদর্শগত কোন মিল নেই। এরা ভোটের হিসেবেই আমাদের সাথে জড়িত। আমরা কখনোই বলিনি আমরা যুদ্ধাপরাদীদের বিচার চাইনা আমরা বলেছি সকল এবং সঠিক যুদ্ধাপরাদীদের বিচার হউক। খন্দকার মোশারফ,মখা আলমগীর,আশিকুর,সাজেদা , নুরূ এদের বিচারো হওয়া দরকার ছিলো। তাহলে আমরা বুঝতাম যে এটা কোন রাজনৈতিক উদেশ্য নিয়ে করা হচ্ছেনা। অনেকে হয়ত বলতে পারেন উপরের কেউ কেউ তখন ফাকিস্তান সরকারের চাকুরী করতো বলে তাদের আদেশ পালন করেছে। কেনরে ভাই, রাজারবাগে পুলিশরা কি সরকারি করতনা? বা মেজর জিয়া কি সরকারি চাকুরি করতোনা তখন? এই রকম একটা কারন দেখানো ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুইনা। আবার কেউ কেউ বলতে পারেন আস্তে আস্তে সবার নাম আসবে। কেনরে ভাই ? বিচারকে নিরপেক্ষ প্রমান করতে আগেত নিজের ঘরের গুলারেই ধরা উচিৎ তাই না? আবার অনেকেই বলতে পারেন বিচার হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধের। তাই নাকি ভাই? আসলে একটু ক্লিয়ার করেনত?
এই সিরিজে আমি আর অনেক পর্ব লিখবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই ছোট ছোট করে লেখা প্রকাশ করবো। আজ এই পর্যন্তই সামু যদি ব্যান না করে খুব তাড়াতাড়িই পরবর্তী লেখাগুলো প্রকাশ করবো।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস-১ (ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন