বস্ত্রহরণের মৌসুম আপাতত শেষ। আবার খেলার মৌসুম শুরু। এদিকে নির্বাচনী মৌসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে। বলা যায় না কখন আবার পেট্রোল বোমার মৌসুম শুরু হয়, অথবা বিল্ডিং পতন বা কূপ থেকে উত্তোলন।
বস্ত্রহরণের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই মৌসুমের শেষ স্ট্যাটাসটা দিয়ে রাখতে চাই। কারণ অনেকে আবার শেষ দিকের ফল খেতে আগ্রহী থাকেন। ইলিশ, পান্তা, হুতোম প্যাঁচা ও সর্বশেষ ক্লাইম্যাক্স বস্ত্রহরণের ঘটনা ও তৎপরবর্তী আলোচনায় আপাতত পাবলিকের মন স্যাটিসফাইড। মৌসুমের শেষ ফলের মত এখন তা আবেদনহীন। বাংলা মায়ের কোটি কোটি সন্তানের দামাল চোখ এখন বর্ষবরণের বস্ত্রহরণ থেকে সরে গিয়ে টিভি পর্দায় খেলার ওপর পতিত হয়েছে। তারা এখন ব্যাঘ্রশাবকের পরিণত হয়ে উঠার হুঙ্কার শুনছে। ব্যাঘ্রের হাতে পাকি বানর বা শৃগালদের পরাজয়ের আনন্দে তারা অতিশয় আত্মহারা।
অতএব দ্রুতই ভূমিকা ছেড়ে আসল স্ট্যাটাসে আসি -
"কিয়ামত সে পর্যন্ত সংগঠিত হবে না - যে পর্যন্ত না মানুষজন রাস্তাঘাটে গাধার মত সহবাস করবে।"
তাই ব্রাদার! কিয়ামততো নিকটবর্তী - বুঝাই যাচ্ছে। ইমাম মাহদী আসার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এখন আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি - এ দু'ভাগে দেশ বিভক্ত তা বলা যাবে না। বরং মানুষজন শার্পলি দুই ভাগ হচ্ছে - দাজ্জালের পক্ষের ও ইমাম মাহদীর পক্ষের।
সামনের কয়েক বৎসরের মধ্যে বর্ষবরণে যা দেখবেন - তাতে এবারেরটা মনে হবে ডালভাত, খুবই ভদ্র ও নৈতিকতাপূর্ণ এক অঘটনের দৃষ্টান্ত।
____________________________
ডাঃ জহির
১৭ এপ্রিল, ২০১৫