অফিস থেকে ২ দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে চিটাগাং আসলাম গতকাল রাতের বাসে। আজকে মা মাসিক বাজারের জন্য বাজারে পাঠালেন। মুলত মাসিক বাজার মাসের শেষে করা হয়। কিন্তু পুজা সামনে রেখে মা এবার আগেই এটা করতে বললেন। সাধারনত আমিই মাসিক বাজারটা করে থাকি। সকালে বাজারে গেলাম ছোটভাইকে নিয়ে কাজির দেউড়ি বাজারে। গিয়ে প্রথমেই পরিচিত মুদি দোকানে ঢুকলাম বাজারের লিস্ট নিয়ে। বাজার শেষে লিস্টে মুল্য দেখে আমি আমি কিছুটা ভ্যাঁবাচ্যাকা খেলাম জিনিসের দাম দেখে। রোজার সময় যেখানে আমি চাল নিলাম ৪০ টাকা করে সেটা এখন ৪৫ টাকা, ১কেজি আটার প্যাকেট নিয়েছিলাম ২৩ টাকায় এখন ৩৪ টাকা, চিনি ৪৩ থেকে বেড়ে এখন ৫৩ টাকায়, ৫ লিটার রুপচাঁদা তেল রোজায় নিলাম ৪২৪ টাকায় এখন সেটা হয়েছে ৪৫৪ টাকা, সবচেয়ে যেটা মাথার মেজাজ বিগড়ে দিল সেটা হলো পিঁয়াজ। যা রোজায় ছিল ২৪ টাকা সেটা এখন ৩৫ টাকা। আর রসুন হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়, আঁদা ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। মানে অধিকাংশ দ্রব্যমুল্য বেড়েছে শতকরা ৫০% এর মতো। রোজায় আমার মাসিক বাজার করতে যেখানে লেগেছিল ৪২৮০ টাকা সখানে এবার লেগেছে ৫৯২০ টাকা। মানে ১৬৪০ টাকা বেশি!!!!
সুরন্জিত বাবু সামনে পুজো আসছে। আপনি প্লিজ এ ব্যাপারে নজর দিন। আপনি অনেক ক্ষমতাবান সেটা আমরা জানি। আপনি বললে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রমজানে যেভাবে ব্যাবসায়ীদের ধমক দিয়ে দাম কম রেখেছিলেন সেভাবে পুজাতেও জিনিসের দাম কমাবেন সেটা আমরা বিশ্বাস করি। আর তা করতে পারলে আমরা সংখ্যালগু হিন্দুরা পুজোতে উপোষ থাকতে হবে।